Ajker Patrika

সারা রাত সালমানের বাসায় ছিলেন শাবনূর

খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ২৯
সারা রাত সালমানের বাসায় ছিলেন শাবনূর

মর্গের ট্রলিতে যে মরদেহ শুইয়ে রাখা, তার গায়ে হলুদ গেঞ্জি, ডোরাকাটা হাফপ্যান্ট। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গায়ের রং ফরসা। চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ। দুই হাত শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি, হাতের আঙুলের নখ নীল। গলায় দুই কানের লতির নিচে ঘাড় বরাবর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির গাঢ় কালো দাগ। বুকের বাঁ পাশে নিচে আরেকটি কালো দাগ। পুরুষাঙ্গ দিয়ে বীর্য বের হচ্ছিল, মলদ্বার দিয়ে মল বের হয়েছে। এ ছাড়া শরীরের কোথাও আর কোনো দাগ নেই।

মরদেহের সুরতহাল করা হলো বেলা ৩টার কিছু আগে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. তেজেন্দ্র চন্দ্র দাস রিপোর্টে লিখলেন, ‘মৃত্যু ফাঁসের দরুন ঝুলিয়া শ্বাসরুদ্ধ হইয়া সম্পন্ন হইয়াছে, যাহা মৃত্যুপূর্ব ও আত্মহত্যাজনিত।’

ওই দিন রাতে মৃতের বাসা থেকে অন্যান্য আলামতের সঙ্গে উদ্ধার হয় আকাশি রঙের প্যাডের একটি ছেঁড়া পাতা। যাতে কাঁপা কাঁপা হাতে লেখা, ‘আমি চৌঃ মোঃ শাহরিয়ার।...এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আজ অথবা আজকের পরে যে কোনো দিন আমার মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।’ প্যাডের ওপরে ইংরেজি হরফে বড় করে লেখা ‘সালমান শাহ’। হস্তলিপিবিশারদ নিশ্চিত করেন, হ্যান্ডনোটটি সালমানেরই লেখা।

বাংলা চলচ্চিত্রে নব্বই দশকের শুরুতে যাঁর হঠাৎ আবির্ভাব, কয়েক বছর রাজত্বের পর এভাবে হঠাৎ একদিন লেখা হলো তাঁর প্রস্থানের চিত্রনাট্য। শেষবারের মতো এফডিসিতে এলেন সালমান শাহ। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে নায়ককে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছুটল সিলেটের পথে। নায়কের জন্মভূমি। হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ প্রাঙ্গণে হলো দ্বিতীয় জানাজা। সেখানকার কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো সালমানকে। তখনো বোঝা যায়নি, ৯ দিন পরেই আবার তোলা হবে তাঁর লাশ।

সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর লিখিত এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে রমনা থানায় যে অপমৃত্যুর মামলাটি হয়, তার তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সালমানের পরিবার। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সালমানের লাশ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। পাশাপাশি চলতে থাকে আলামত সংগ্রহ ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ। পরের বছর ১৯৯৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে ডিবি যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়, তাতেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় ‘আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু’। এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন সালমানের বাবা। পুনঃ তদন্তের আদেশ দেন আদালত।

সালমান শাহ যে আত্মহত্যা করতে পারেন, এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না নায়কের পরিবার। তাদের দাবি ছিল, হত্যা করা হয়েছে সালমানকে। সালমানের স্ত্রী সামিরা খানের দিকেই ছিল তাদের অভিযোগের তির। সালমানের মা শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন, সামিরাসহ ১১ জনের যোগসাজশে সালমানকে চেপে ধরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে গলায় ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনো প্রমাণ মিলছিল না। থানা-পুলিশ ও ডিবির তদন্তে যখন বেরিয়ে আসছিল, সালমানের মৃত্যুর একটাই কারণ—আত্মহত্যা, তখন একটি ঘটনা মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় অন্যদিকে।

salman-shah-sabnur১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানায় খবর যায়, লেলিন নামের এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে সালমানের বাবার বাড়িতে। পরিচালক আলমগীর কবীরের ছেলে পরিচয়ে সে গিয়েছিল সেখানে। তার কথায় সন্দেহ হয় সালমানের মা নীলা চৌধুরীর। পুলিশ গিয়ে লেলিনকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। জানা যায়, তার আসল নাম লেলিন নয়, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আদালতে সে জবানবন্দি দেয়, ডন, ডেভিড, ফারুক, আজিজ মোহাম্মদ, সাত্তার, সাজু, সামিরা, লতিফা হক লুসি, রুবিসহ সে নিজে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সালমান শাহকে। ফলে এত দিন যেটা ছিল অপমৃত্যুর মামলা, সেটা এবার হত্যা মামলায় রূপ নেয়। সালমানের স্ত্রী সামিরাকে করা হয় প্রধান আসামি। তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

কিছুদিন পর বক্তব্য বদলে যায় রেজভী ওরফে ফরহাদের। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদে রেজভী জানায়, সে সালমানের একজন ভক্ত। ভক্ত হিসেবেই সালমানের ব্যবহৃত কাপড়চোপড় ও ছবি সংগ্রহের জন্য সে গিয়েছিল সালমানের বাবার বাসায়। সালমানের মৃত্যুর বিষয়ে সে কিছুই জানে না। হত্যা মামলায় তার সঙ্গে যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদেরও চেনে না। নীলা চৌধুরীর ইন্ধনে তাকে মারপিট করে রাজসাক্ষী করা হয়েছে। পরে ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় রেজভীকে।

এরপর সিআইডি রিপোর্ট ও বিচার বিভাগীয় তদন্তে সালমানের মৃত্যুর আগের কারণটাই বহাল থাকে—আত্মহত্যা। তবে সিআইডির রিপোর্টে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এই প্রথম উঠে আসে অন্য একটি নাম—চিত্রনায়িকা শাবনূর। সালমান শাহর সঙ্গে শাবনূরের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা মানতে পারেননি সামিরা। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

পিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের জুলাই নাগাদ মৃত্যুর দুই মাস আগে, সালমানের হাতে ছিল ২৭টি সিনেমার কাজ, বেশির ভাগেই তাঁর সহশিল্পী শাবনূর। অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁদের মধ্যে। শুটিংয়ের সময় শাবনূরকে নিয়ে সালমান শাহ বিভিন্ন স্থানে থাকতেন। এমনকি নায়কের বাসায়ও শাবনূর আসতেন মাঝেমধ্যে। বিষয়টি ভালো চোখে দেখতেন না সামিরা। তবে শাবনূরের সঙ্গে ছেলের এ সম্পর্কে পূর্ণ সমর্থন ছিল সালমানের মা নীলা চৌধুরীর। তিনি চাইতেন, শাবনূরের সঙ্গে সালমানের আবার বিয়ে দেবেন। শাবনূরকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে রাখতে চাইতেন সালমানও।

সালমানের বাসার কাজের মেয়ে জরিনা বেগম আদালতে জানান, সামিরা চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় শাবনূর দুই দিন সালমানের বাসায় আসেন। এক দিন সারা রাত ছিলেন, অন্যদিন চলে যান রাত ১২টার দিকে। সামিরা চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এ নিয়ে জরিনাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সত্যিটাই জানিয়ে দেন। যত দিন যাচ্ছিল, এ নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছিল সালমান-সামিরার দাম্পত্যে। এমনকি সালমানের মৃত্যুর আগের রাতেও এ নিয়ে ঝগড়া হয় তাঁদের মধ্যে। তার আগে সন্ধ্যায় এফডিসিতে গিয়ে সামিরা দেখেন, ডাবিং রুমে সালমান ও শাবনূর ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বসে আছেন। রাগ করে বেরিয়ে আসেন সামিরা।...

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
পান্থ কানাই।
পান্থ কানাই।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই। তাঁর এবারের গানের শিরোনাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’।

এই সময়ের অস্থিরতা ও হতাশা ফুটে উঠেছে পান্থর নতুন এই গানে। মানুষ যেন তাদের বিবেককে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, সে প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে গানের কথায়। ফারুক আনোয়ারের লেখা গানটিতে সুর দিয়েছেন কামাল আহমেদ, সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ। গানের ভিডিও বানিয়েছেন সম্রাট আহমেদ। জানা গেছে, এফ এ মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে শিগগির প্রকাশ পাবে গানটি।

আবার তোরা মানুষ হ গানটি নিয়ে গীতিকার ফারুক আনোয়ার বলেন, ‘সময়টা অস্বস্তিকর। চারপাশে এত শব্দ, অথচ সত্যি কথাগুলো যেন আরও একা হয়ে পড়ছে। ভাঙচুর শুধু রাস্তায় নয়, মানুষের ভেতরেও চলছে। এই গান কাউকে দোষারোপ করতে নয়, নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করাতে। সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর মধ্যে কোনো সফলতা নেই। বরং ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মঙ্গলে পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় বহন করে।’

আবার তোরা মানুষ হ ছাড়াও পান্থ কানাইয়ের আরও কিছু নতুন গান রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে ৩০টির বেশি গান আছে, সব আমার নিজের সুর ও সংগীতে। সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, কোন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করব। তবে তিনটি গানের রেকর্ডিং আর ভিডিওর শুটিং পুরোপুরি শেষ।’ গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর বিটিভিতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র যে নতুন পর্বটি প্রচারিত হবে, তাতেও রয়েছে পান্থ কানাইয়ের গান। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ওই গানে তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি।

ছোটদের মধ্যে সংগীতকে ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সালে পান্থ কানাই শুরু করেছিলেন সংগীত শেখানোর স্কুল ‘ড্রামবাজ’। তবে করোনার সময় থেমে যায় এ উদ্যোগ। এখন আবার প্রতিষ্ঠানটি শুরুর স্বপ্ন দেখছেন পান্থ কানাই। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নটা এখনো মরেনি। মনমতো জায়গা পেলে আবার শুরু করব। আবার ড্রামস, গিটার, গান শেখানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আবুল হায়াত ও ডলি জহুরকে নিয়ে ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ নাটকের দৃশ্যে ডলি জহুর ও আবুল হায়াত। ছবি: সংগৃহীত
‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ নাটকের দৃশ্যে ডলি জহুর ও আবুল হায়াত। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। টানা তিন দিনের শুটিং শেষে এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। নতুন বছর উপলক্ষে নাটকটি প্রকাশ করা হবে রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে।

লাইফ ইজ বিউটিফুল নিয়ে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘কমেডি আর থ্রিলার গল্পের ভিড়ে দর্শক এখন পারিবারিক গল্পের নাটকে স্বস্তি খোঁজেন। প্রযোজক আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নতুন করে ঝুঁকছে পারিবারিক সম্পর্কের গল্পে। ২৪ বছর ধরে আমি সম্পর্ক, ভালোবাসা আর জীবনের নানা টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক, টেলিফিল্ম বানিয়েছি। সে কারণেই প্রযোজক জামাল ভাই আমাকে নব্বইয়ের দশকের আবেগ নিয়ে একটি নাটক নির্মাণের জন্য বললেন। গল্পটা তিনি খুব পছন্দ করেছেন। শান্তনু ভালো লেখে। আমি কী চাই তা ভালো বোঝে সে। চমৎকার একটি চিত্রনাট্য লিখেছে সে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই বেছে নিয়েছি আবুল হায়াত আর ডলি জহুরের মতো গুণী দুই শিল্পীকে। দারুণ একটি নাটক হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, দর্শকের মন জয় করতে পারব।’

অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে চয়নিকা সব সময়ই ভীষণ সচেতন, বিচক্ষণ। তাঁর নাটকে গল্পই হচ্ছে প্রাণ। আর যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে নিজের মতো করে অভিনয়টা করার সুযোগ পান। লাইফ ইজ বিউটিফুল নাটকটি নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেক দিন পর ডলির সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগল।’

ডলি জহুর বলেন, ‘হায়াত ভাই বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে বহু নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছি। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ চয়নকে এত সুন্দর একটি গল্প নির্বাচনের জন্য। নাটকটি প্রচারে এলে আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনের ছুটিতে বটতলার ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: বটতলার সৌজন্যে
‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: বটতলার সৌজন্যে

নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে। বড়দিনের ছুটিতে রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকের দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বটতলা নাট্যদল।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে রাইজ অ্যান্ড শাইন। ইতালীয় নাট্যকার যুগল দারিও ফো ও ফ্র্যাঙ্কা রামের লেখা নাটকটি ইংরেজি থেকে রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম, নির্দেশনা দিয়েছেন ম. সাঈদ।

বটতলা নাট্যদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাইজ অ্যান্ড শাইন মূলত একজন শ্রমজীবী নারীর দৈনন্দিন জীবনসংগ্রামের মোড়কে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের গল্প। ক্ষমতাচর্চার বিবিধ সমীকরণে পিষ্ট মানুষ কীভাবে বাঁচে, তারই শিল্পিত উপস্থাপন এই নাটক। মঞ্চে একজন মরিয়মের মা প্রতিনিধিত্ব করেন দীপু চন্দ্র দাসের মতো যেকোনো শ্রমজীবী, প্রান্তিক, ভাগ্যাহত মানুষের।

নির্দেশক বলেন, ‘এটি আমাদের সবার গল্প। প্রায় সব নারীর, সব মায়ের, সব কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীবনাচার, তার রোজনামচা, সংসারের যন্ত্রণা চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন।’

এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা, তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, হাফিজা আক্তার ঝুমা, শাহ নেওয়াজ ইফতিসহ অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির জন্য গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘কোটি হাদির ডাক’ গানের পোস্টার
‘কোটি হাদির ডাক’ গানের পোস্টার

১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জিয়ার লেখা আরও এক গান ‘এই হাদি একা নয়, হাদি কোটি লক্ষ’। ১৮ ডিসেম্বর মারা গেছেন হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতি ও বিপ্লবী চেতনাকে সংগীতে ধারণ করে এবার নতুন গান লিখেছেন জিয়া হক। মুনাইম বিল্লাহর কণ্ঠে গতকাল ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘কোটি হাদির ডাক’ শিরোনামের গানটি। সুর করেছেন আবু উবায়দা।

নতুন গানটি প্রসঙ্গে মুনাইম বিল্লাহ বলেন, ‘কোটি হাদির ডাক শুধু একটি গান নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি বিপ্লবের প্রতিধ্বনি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের যে চেতনা, যে সাহস, এই গান তারই স্বীকৃতি। এই গান শুধু বিপ্লবী মানুষের নয়, সাধারণ মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলবে এবং হাদি ভাইকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।’

অন্যদিকে ব্যান্ড বাংলাদেশ রেবেলস তাদের দুটি গান উৎসর্গ করেছে শরিফ ওসমান হাদিকে। গান দুটি হলো ‘এ কোন লাশ যায় না চেনা’ ও ‘আমি হুংকার দিয়ে আসব’। এখন থেকে প্রতিটি শোতে তারা হাদির স্মরণে গান দুটি গাইবে বলে জানিয়েছে। ব্যান্ডের ভোকাল মালিহা তাবাসসুম খেয়া বলেন, ‘হাদি ছিলেন নিখুঁত দেশপ্রেমিক। আমাদের গান তিনি খুব পছন্দ করতেন। ঢাকায় আমাদের শো মানেই হাদি ভাই উপস্থিত! এই দুটি গান তিনি সব সময় গাইবার জন্য বলতেন। তাই গান দুটি তাঁকে উৎসর্গ করলাম। এখন থেকে আমাদের ব্যান্ড প্রতিটি শোতে গান দুটি পরিবেশন করবে এবং হাদি ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

ভাড়াটে চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন স্ত্রী, বাধা দেওয়ায় স্বামীকে হত্যা: পুলিশ

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত