
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় নাসরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে। রহস্যময় এই ছায়ামানবের ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়ে গেছে। তাঁর নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ লেবাননসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এক বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছে এবং আজকের এই অবস্থানে এসেছে। সমর্থকদের মধ্যে নাসরুল্লাহ ব্যাপক জনপ্রিয়।
নাসরুল্লাহর নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, ইরাক ও ইয়েমেনের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান থেকে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটের বিশাল মজুত গড়ে তুলেছে।
লেবাননে মূলত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেখান থেকে নাসরুল্লাহ গোষ্ঠীটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখার আকার লেবাননের মূল সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়। সামরিক শক্তিতে হিজবুল্লাহ লেবানিজ সশস্ত্র বাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী। দেশটির ক্ষমতার অন্যতম ভারকেন্দ্র এই গোষ্ঠী। সামরিক শাখার বাইরেও গোষ্ঠীটি লেবাননের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সেবা খাতের প্রতিষ্ঠাতা। শিক্ষা, সমাজ সেবার এমন কোনো খাত নেই যেখানে হিজবুল্লাহর পদচারণা নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহকে ইরানের সবচেয়ে বড় প্রক্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ ১৯৬০ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পূর্বাঞ্চলের বুর্জ হাম্মাদ নামা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা বাবা আব্দুল করিম ছোট্ট একটি ফল ও শাকসবজির দোকান পরিচালনা করতে। নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বড়।
লেবাননে ১৯৭৫ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তিনি আমল মুভমেন্ট নামে শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে তিনি ইরাকের শিয়া ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শহর নাজাফে একটি শিয়া আশ্রমে যোগ দেন। পরে তিনি আবারও আমল মুভমেন্টে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাবে ইসরায়েল লেবাননে আক্রমণ চালালে নাসরুল্লাহ আমল গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে আসেন।
পরে তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সহায়তায় গঠিত ইসলামিক আমল নামে একটি নতুন গোষ্ঠীতে যোগ দেন। লেবাননের বেকা উপত্যকাকেন্দ্রীক ছিল এই গোষ্ঠীটি। অল্প দিনের মধ্যেই গোষ্ঠীটি খ্যাতি অর্জন করে এবং শিয়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। যা পরে হিজবুল্লাহ নাম ধারণ করে।
হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৫ সালে আত্মপ্রকাশ করে। সে বছর এক খোলা চিঠিতে গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ইসলামের মূল শত্রু হিসেবে ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে, মুসলিমদের ভূমি দখল করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করায় ইসরায়েলের বিলুপ্তি চায়।
হিজবুল্লাহর শক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসান নাসরুল্লাহরও পদমর্যাদা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তিনি হিজবুল্লাহর বালবেক অঞ্চলের পরিচালক নিযুক্ত হন। পরে পুরো বেকা অঞ্চলের। এরপর ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান আব্বাস আল-মুসাভি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হওয়ার তিনি মাত্র ৩২ বছর বয়সে গোষ্ঠীটির প্রধান নিযুক্ত হন। এরপর থেকে তিনিই গোষ্ঠীটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নেতা হিসেবে তার প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি ছিল মুসাভির হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া। তিনি উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে এক কিশোরী মারা যায়। তুরস্কে ইসরায়েলি দূতাবাসের একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা গাড়ি বোমায় নিহত হন এবং আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে ইসরায়েলি দূতাবাসে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৯ জন নিহত হয়।
হিজবুল্লাহ ২০০০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননে একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে এই যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু এই যুদ্ধে তাঁর বড় ছেলে হাদি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর ইসরায়েল দাবি করে, এই প্রথমবার কোনো আরব পক্ষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করল। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হিজবুল্লাহ অস্ত্র সংবরণ করবে না। তিনি বলেন, শেবা ফার্মসহ লেবাননের যেসব জায়গা ইসরায়েল দখল করে রেখেছে তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। সে বছর হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে যাতে ৮ ইসরায়েলে সেনা নিহত হয় এবং দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
জবাবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণে এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করে। একই সময়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে প্রায় ৪ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে। ৩৪ দিনে এই যুদ্ধে ১ হাজার ১২৫ জন বেসামরিক লেবানিজ, যাদের ১১৯ ইসরায়েলি সৈন্য এবং ৪৫ জন বেসামরিক লোক মারা যায়। এ সময় নাসরুল্লাহর বাড়ি ও কার্যালয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায় কিন্তু তিনি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান।
এরপর ২০০৯ সালে নাসরুল্লাহ একটি নতুন রাজনৈতিক ইশতেহার জারি করেন যা হিজবুল্লাহর ‘রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি’ তুলে ধরে। এই ইশতেহারে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের গঠনের কথা বাদ দেয় গোষ্ঠীটি। কিন্তু ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখে। এই ইশতেহারে হিজবুল্লাহ এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করে যে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে।
এর চার বছর পর, ২০১৩ সালে নাসরুল্লাহ ঘোষণা করেন, হিজবুল্লাহ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে বিদ্রোহ দমন করতে সিরিয়ায় যোদ্ধা পাঠাবে। ২০১৯ সালে লেবাননে গভীর অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার অভিযোগে রাজনৈতিক এলিটদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। নাসরুল্লাহ প্রাথমিকভাবে সংস্কারের আহ্বানের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন, কিন্তু আন্দোলনকারী রাজনৈতিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তনের দাবি করতে শুরু করলে তিনি মনোভাব পরিবর্তন করেন।
এরপর, দীর্ঘদিন শান্ত অবস্থা বজায় রাখে হিজবুল্লাহ। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর চিত্র পাল্টে যায়। এই হামলার পরদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে। গোষ্ঠীটি উত্তর ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানগুলোতে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে এবং বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে।
এর কয়েক দিন পর, ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়, ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করে। যাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
ইসরায়েলি গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় নাসরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে। রহস্যময় এই ছায়ামানবের ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়ে গেছে। তাঁর নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ লেবাননসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এক বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছে এবং আজকের এই অবস্থানে এসেছে। সমর্থকদের মধ্যে নাসরুল্লাহ ব্যাপক জনপ্রিয়।
নাসরুল্লাহর নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, ইরাক ও ইয়েমেনের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান থেকে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটের বিশাল মজুত গড়ে তুলেছে।
লেবাননে মূলত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেখান থেকে নাসরুল্লাহ গোষ্ঠীটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখার আকার লেবাননের মূল সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়। সামরিক শক্তিতে হিজবুল্লাহ লেবানিজ সশস্ত্র বাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী। দেশটির ক্ষমতার অন্যতম ভারকেন্দ্র এই গোষ্ঠী। সামরিক শাখার বাইরেও গোষ্ঠীটি লেবাননের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সেবা খাতের প্রতিষ্ঠাতা। শিক্ষা, সমাজ সেবার এমন কোনো খাত নেই যেখানে হিজবুল্লাহর পদচারণা নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহকে ইরানের সবচেয়ে বড় প্রক্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ ১৯৬০ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পূর্বাঞ্চলের বুর্জ হাম্মাদ নামা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা বাবা আব্দুল করিম ছোট্ট একটি ফল ও শাকসবজির দোকান পরিচালনা করতে। নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বড়।
লেবাননে ১৯৭৫ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তিনি আমল মুভমেন্ট নামে শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে তিনি ইরাকের শিয়া ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শহর নাজাফে একটি শিয়া আশ্রমে যোগ দেন। পরে তিনি আবারও আমল মুভমেন্টে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাবে ইসরায়েল লেবাননে আক্রমণ চালালে নাসরুল্লাহ আমল গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে আসেন।
পরে তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সহায়তায় গঠিত ইসলামিক আমল নামে একটি নতুন গোষ্ঠীতে যোগ দেন। লেবাননের বেকা উপত্যকাকেন্দ্রীক ছিল এই গোষ্ঠীটি। অল্প দিনের মধ্যেই গোষ্ঠীটি খ্যাতি অর্জন করে এবং শিয়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। যা পরে হিজবুল্লাহ নাম ধারণ করে।
হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৫ সালে আত্মপ্রকাশ করে। সে বছর এক খোলা চিঠিতে গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ইসলামের মূল শত্রু হিসেবে ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে, মুসলিমদের ভূমি দখল করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করায় ইসরায়েলের বিলুপ্তি চায়।
হিজবুল্লাহর শক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসান নাসরুল্লাহরও পদমর্যাদা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তিনি হিজবুল্লাহর বালবেক অঞ্চলের পরিচালক নিযুক্ত হন। পরে পুরো বেকা অঞ্চলের। এরপর ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান আব্বাস আল-মুসাভি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হওয়ার তিনি মাত্র ৩২ বছর বয়সে গোষ্ঠীটির প্রধান নিযুক্ত হন। এরপর থেকে তিনিই গোষ্ঠীটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নেতা হিসেবে তার প্রথম পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি ছিল মুসাভির হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া। তিনি উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে এক কিশোরী মারা যায়। তুরস্কে ইসরায়েলি দূতাবাসের একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা গাড়ি বোমায় নিহত হন এবং আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে ইসরায়েলি দূতাবাসে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৯ জন নিহত হয়।
হিজবুল্লাহ ২০০০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননে একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে এই যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু এই যুদ্ধে তাঁর বড় ছেলে হাদি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর ইসরায়েল দাবি করে, এই প্রথমবার কোনো আরব পক্ষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করল। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হিজবুল্লাহ অস্ত্র সংবরণ করবে না। তিনি বলেন, শেবা ফার্মসহ লেবাননের যেসব জায়গা ইসরায়েল দখল করে রেখেছে তা পুনরুদ্ধার করতে হবে। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। সে বছর হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে যাতে ৮ ইসরায়েলে সেনা নিহত হয় এবং দুজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।
জবাবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণে এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করে। একই সময়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে প্রায় ৪ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে। ৩৪ দিনে এই যুদ্ধে ১ হাজার ১২৫ জন বেসামরিক লেবানিজ, যাদের ১১৯ ইসরায়েলি সৈন্য এবং ৪৫ জন বেসামরিক লোক মারা যায়। এ সময় নাসরুল্লাহর বাড়ি ও কার্যালয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায় কিন্তু তিনি অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান।
এরপর ২০০৯ সালে নাসরুল্লাহ একটি নতুন রাজনৈতিক ইশতেহার জারি করেন যা হিজবুল্লাহর ‘রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি’ তুলে ধরে। এই ইশতেহারে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের গঠনের কথা বাদ দেয় গোষ্ঠীটি। কিন্তু ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখে। এই ইশতেহারে হিজবুল্লাহ এই দাবি পুনর্ব্যক্ত করে যে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে।
এর চার বছর পর, ২০১৩ সালে নাসরুল্লাহ ঘোষণা করেন, হিজবুল্লাহ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে বিদ্রোহ দমন করতে সিরিয়ায় যোদ্ধা পাঠাবে। ২০১৯ সালে লেবাননে গভীর অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার অভিযোগে রাজনৈতিক এলিটদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। নাসরুল্লাহ প্রাথমিকভাবে সংস্কারের আহ্বানের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন, কিন্তু আন্দোলনকারী রাজনৈতিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তনের দাবি করতে শুরু করলে তিনি মনোভাব পরিবর্তন করেন।
এরপর, দীর্ঘদিন শান্ত অবস্থা বজায় রাখে হিজবুল্লাহ। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর চিত্র পাল্টে যায়। এই হামলার পরদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে। গোষ্ঠীটি উত্তর ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানগুলোতে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করেছে এবং বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে।
এর কয়েক দিন পর, ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়, ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করে। যাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
২ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। পটাশ বেলারুশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য।
১২৩ বন্দী মুক্তির পর জন কোয়াল বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে আরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পটাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা দীর্ঘ সময় একাকী বন্দিত্বে ছিলেন। মুক্তির পর তাঁর বোন তাতিয়ানা খোমিচ ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোমিচ বলেন, ‘সে মুক্ত। তাকে ভালো ও সুস্থই দেখাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও জানান, কোলেসনিকোভা প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া বেলারুশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বেলারুশের একটি আদালত ২০২৩ সালের মার্চে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির আদালত চোরাচালান ও জনজীবনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
৬৩ বছর বিলিয়াতস্কি ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন। ২০২১ সালে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে বিলিয়াতস্কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে সহযোগিতার জন্য অবৈধভাবে বাইরে থেকে বেলারুশে অর্থ আনার অভিযোগে আনা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজনকে শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছেন।
এই সমঝোতাকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে। সে সময় শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কোলেসনিকোভা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর বেলারুশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়। কারণ, দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করেই রুশ সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কোয়াল জানান, আলোচনায় তিনি লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় মিনস্ক কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মিনস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত, যা ইউরোপের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউরোপ যেখানে এখনো বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চাপে রাখতে চায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। পটাশ বেলারুশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য।
১২৩ বন্দী মুক্তির পর জন কোয়াল বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে আরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পটাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা দীর্ঘ সময় একাকী বন্দিত্বে ছিলেন। মুক্তির পর তাঁর বোন তাতিয়ানা খোমিচ ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোমিচ বলেন, ‘সে মুক্ত। তাকে ভালো ও সুস্থই দেখাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও জানান, কোলেসনিকোভা প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া বেলারুশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বেলারুশের একটি আদালত ২০২৩ সালের মার্চে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির আদালত চোরাচালান ও জনজীবনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
৬৩ বছর বিলিয়াতস্কি ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন। ২০২১ সালে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে বিলিয়াতস্কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে সহযোগিতার জন্য অবৈধভাবে বাইরে থেকে বেলারুশে অর্থ আনার অভিযোগে আনা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজনকে শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছেন।
এই সমঝোতাকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে। সে সময় শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কোলেসনিকোভা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর বেলারুশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়। কারণ, দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করেই রুশ সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কোয়াল জানান, আলোচনায় তিনি লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় মিনস্ক কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মিনস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত, যা ইউরোপের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউরোপ যেখানে এখনো বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চাপে রাখতে চায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
২ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৩ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতভর চালানো এসব হামলায় দেশের পাঁচটি অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগুন নেভানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করবেন। বার্লিনে প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেঙ্কো জানান, হামলার শিকার অঞ্চলগুলো হলো—দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা ও চেরনিহিভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, এসব হামলায় তারা কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সারা রাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হামলার কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে চালু নেই, তবে রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
এদিকে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর রোমান বুসারগিন।

রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতভর চালানো এসব হামলায় দেশের পাঁচটি অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগুন নেভানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করবেন। বার্লিনে প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেঙ্কো জানান, হামলার শিকার অঞ্চলগুলো হলো—দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা ও চেরনিহিভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, এসব হামলায় তারা কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সারা রাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হামলার কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে চালু নেই, তবে রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
এদিকে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর রোমান বুসারগিন।

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আজ শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গতকাল শুক্রবারে বৈরুতে বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লাহ এই
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
২ ঘণ্টা আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪ ঘণ্টা আগে