Ajker Patrika

বৈদ্যুতিক গাড়ি চলবে পাড়া-মহল্লায়

শাহ আলম খান, ঢাকা
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৩৬
বৈদ্যুতিক গাড়ি চলবে পাড়া-মহল্লায়

দেশে ইঞ্জিনবিহীন ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) বা বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির সীমিত ব্যবহার এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এ সংখ্যা অর্ধশতাধিকের বেশি নয়; যার বেশির ভাগই ব্যবহৃত হচ্ছে ঢাকায়। উল্টো দিকে পরিবেশের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বব্যাপী এখন এই ইভির ব্যবহার জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, উন্নত দেশের কোনো কোনো শহরের কোনো একটি এলাকাতেই ইভির চলাচল সহস্রাধিক ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে এখনো যোজন যোজন দূরে বাংলাদেশ। আর এখানেই ভবিষ্যতের বড় সম্ভাবনা দেখছেন সরকারের নীতিনির্ধারক ও খাতসংশ্লিষ্ট বেসরকারি উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) হালনাগাদ তথ্য বলছে, দেশে ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৩৮টি নিবন্ধিত যানবাহন রয়েছে; যার ৯৯ দশমিক ৯৯ ভাগের বেশি হলো জ্বালানি তেলনির্ভর ইঞ্জিনচালিত গাড়ি। অপর দিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, প্রতিবছর গড়ে ৬৫ লাখ টন জ্বালানি ব্যবহার হয় দেশে; যার ৯০ ভাগই আমদানি হয়ে থাকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার জ্বালানি তেল আমদানি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চাহিদাকৃত এ জ্বালানির অর্ধেকই ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সচল রাখার কাজে। সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়ানো ইঞ্জিনচালিত এসব যানবাহন নির্বিচার কার্বন নিঃসরণ ঘটাচ্ছে; যা জলবায়ুগত পরিবর্তন ত্বরান্বিত করছে এবং উষ্ণতাকে উসকে দিচ্ছে।

এর বিপরীতে যেসব গাড়ি শুধু বৈদ্যুতিক বা ব্যাটারির শক্তিতে পরিচালিত হয়, সেসব গাড়িকে ইলেকট্রিক গাড়ি বা ইভি গাড়ি বলে। অন্যান্য গাড়ির মতো এসব গাড়িতে জটিল পার্টসের সমাহার থাকে না, শুধু বডির সঙ্গে এক সেট ব্যাটারি ও একটি মোটর থাকে। এগুলো ঐতিহ্যবাহী গাড়ির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম ধোঁয়া নির্গমন করে, যা কম দূষণ এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে সহায়তা করে।

এমন বাস্তবতার মুখে প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হিসেবে বাংলাদেশও এখন জ্বালানি তেলনির্ভর ইঞ্জিনচালিত গাড়ির বিকল্প ভাবছে। এ লক্ষ্যে সরকার ইলেকট্রিক ভেহিকল বা ইঞ্জিনবিহীন বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত নীতিমালাও প্রায় চূড়ান্তের পথে।

ওই নীতিমালার খসড়া তথ্যের মোদ্দাকথা হলো—সরকার চায় দেশে পরিবেশবান্ধব ইভির ব্যবহার বাড়াতে। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে এ ধরনের গাড়ি আমদানিকে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ইভি ব্যবহার নির্বিঘ্ন করতে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্তের মাধ্যমে সারা দেশে প্রয়োজনীয় চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হবে। প্রচলিত ধারার যানবাহনগুলোকে পর্যায়ক্রমে ইলেকট্রিক ভেহিকলে রূপান্তর করা হবে।

এর পাশাপাশি নীতি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে দেশেই যাতে ইভি ইন্ডাস্ট্রির বিকাশ ঘটে, সরকার তার পরিবেশও নিশ্চিত করবে। এভাবে সরকার ২০৪০ সালের পর দেশের পাড়া-মহল্লায়ও ইভির আধিক্য দেখার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে; যার উদ্দেশ্যেই হলো পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং আমদানিজনিত ওই বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়।

সরকারের এ পরিকল্পনাকে যুগান্তকারী হিসেবেই দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলেন, ‘কেননা বিশ্বজুড়ে যেভাবে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে, তাতে ২০৪০ সালে যত গাড়ি বিক্রি হবে, তার সবই হবে বিদ্যুৎ-চালিত। সেই তুলনায় আমরা যেহেতু পিছিয়ে, তাই ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে যাতে ওই মার্কেটের বড় একটা আমদানি অংশীদার বাংলাদেশ হতে পারে, তার পথ আগে থেকেই সুগম রাখতে হবে। আশার কথা হচ্ছে, সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। একটি নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এটাই সম্ভাবনার পরবর্তী ধাপকে এগিয়ে নেবে।’ 

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান সরকারের পরিকল্পনা জানিয়ে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ গাড়ি আমদানি হতে পারে, যার ৩০ শতাংশই হবে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি। বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার সেই পথ তৈরি করে দেবে।

এদিকে দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোয় এখন যে কটি বৈদ্যুতিক গাড়ি চলছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বখ্যাত টেসলা, অডি, পোরশে ও মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের ইভি কার। এর বিপরীতে ঢাকায় ইতিমধ্যে তিনটি ইভি চার্জিং স্টেশন স্থাপিত হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা ৩০টি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তথ্যমতে, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এরই মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইভি কার নির্মাণে কারখানা স্থাপন করেছে। বিশ্বখ্যাত বিওয়াইডির পরিবেশক হয়ে বাংলাদেশেও ইভি বাজারজাত শুরু করেছে রানার গ্রুপ। ইতিমধ্যে রাজধানীর তিব্বত এলাকার শোরুমে তারা বিওয়াইডি সিল ও বিওয়াইডি অ্যাটো-৩ নামক দুটি মডেলের বাজারজাতে কাজ করছে। আরও একটি মডেল তারা খুব দ্রুতই বাজারজাতের ঘোষণা দেবে।

ইঞ্জিনচালিত গাড়ির পরিবর্তে ইভির ব্যবহারে কোথায় কী ধরনের সুবিধা রয়েছে, জানতে চাইলে রানার গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) আমিদ সাকিফ খান জানান, ‘ইভি পরিবেশবান্ধব। গ্রাহকদের জন্য বেশ সুবিধাজনক। যাদের গাড়ি চড়ার সময় অতিরিক্ত শব্দ ও কম্পন পছন্দ নয়, তাদের জন্য ইভি সেরা একটি বিকল্প। কেননা ইভিতে শব্দ ও কম্পন হয় অতি সামান্য এবং এ গাড়ি কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। আরেকটি সুবিধা হলো—আপনি বাসায় বসে চার্জ দিতে পারবেন, স্টেশনে যাওয়ার দরকার নেই। তার ওপর ইভিতে গ্রাহকের খরচ অনেক কম। ইভির ক্রয়মূল্য একটু বেশি হলেও এর অপারেশনাল খরচ এবং মেইনটেন্যান্স খরচ নেই। বাংলাদেশে, পেট্রলচালিত গাড়িতে আপনার প্রতি কিলোমিটার যাত্রায় প্রায় ২৫ থেকে ২৬ টাকা খরচ হবে। কিন্তু ইভিতে খরচ হবে ১ থেকে ২ টাকা, বেশি হলে ৩ টাকা। ইঞ্জিন ওয়েল চেঞ্জ করানো, সার্ভিসিং করানো—এ ধরনের কোনো ঝামেলা ইভিতে নেই।’

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএসও বলছে, বিশ্বে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির বিক্রি ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। এই বাস্তবতায় এরই মধ্যে জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশন, জার্মানির ভক্সওয়াগন, যুক্তরাজ্যের জাগুয়ার, যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মোটরস, ফোর্ড মোটরের মতো বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ইভি নিবন্ধন ও পরিবহন নীতি প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ গাড়িকে ইভি গাড়িতে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিএসটিসি স্টুয়ার্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ড. নূর মোহাম্মদ

বিজ্ঞপ্তি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (পিএসটিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদকে সংস্থার পিএসটিসি স্টুয়ার্ডশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। সংস্থার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অধিকারভিত্তিক কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়া, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দৃঢ় স্টুয়ার্ডশিপের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার আফতাবনগরে অবস্থিত পিএসটিসি ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) উপলক্ষে পিএসটিসি গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। সভায় গভর্নিং বডির সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

গভর্নিং বডি জানায়, ড. নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে পিএসটিসি প্রাতিষ্ঠানিক টেকসই ও উৎকর্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেবার পরিসর ও কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তাঁর দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও কৌশলগত নেতৃত্বে সংস্থাটি জাতীয় পর্যায়ে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

গভর্নিং বডির মতে, ড. নূর মোহাম্মদের অবদান পিএসটিসিকে একটি শক্তিশালী, বিশ্বাসযোগ্য ও ভবিষ্যৎমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি স্থায়ী ও অনুকরণীয় কর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস পেল ফুডি

বিজ্ঞপ্তি
: গত রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুডির সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংকের সিইও আলী রেজা ইফতেখার।
: গত রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুডির সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংকের সিইও আলী রেজা ইফতেখার।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির (ইবিএল) গত এক বছরের ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রবৃদ্ধি যাত্রায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অর্জন করেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কিউ-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড (Foodi)। ‘এক্সিলেন্স ইন কিউ-কমার্স (ইমার্জি)’ ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার।

ডিজিটাল মার্কেটিং, উদ্ভাবনী অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকসেবায় বৈচিত্র্য আনায় বিশেষ অবদানের জন্য ফুডি এক্সপ্রেসকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় এ সংস্করণে ইবিএল মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে (এনাবলার, এক্সিলেন্স এবং পার্টনার্স ইন প্রোগ্রেস) ৪০টি পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে।

সম্মাননা প্রাপ্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নান বলেন, ‘ইস্টার্ন ব্যাংকের মতো একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই অর্জন আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে নতুন সব উদ্ভাবনী ফিচার ও উন্নত সেবা নিয়ে আসার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি, ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে এই অংশীদারত্ব দেশের কিউ-কমার্স (Q-commerce) খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একনেকে ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প পাঁচটি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প তিনটি।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আটটি ১৫তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন বা ক্লাইমেট রেজলিয়েন্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোজেক্ট (সিআরএএলইপি)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER) প্রকল্প।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলক নদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision) প্রকল্প’।

এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত