Ajker Patrika

আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে সরকার একমত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে সরকার একমত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ ভঙ্গ করেছেন অভিযোগ করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে একমত অন্তর্বর্তী সরকার। তবে রাষ্ট্রপতিকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যা বলেছেন, তার সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করে।’ তখন সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রপতিকে সরানোর উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’ ভবিষ্যতে উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা ভবিষ্যৎ বলতে পারবে।’

সম্প্রতি একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ তাঁর কাছে নেই। রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্য দেশজুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে সোমবার আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও শপথ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির স্ববিরোধী কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। যদি উনি এই বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে ওনার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না, সেটা উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় ভেবে দেখা হবে।’

রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে গতকাল এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যে সিদ্ধান্ত হয়নি সে বিষয় কোন প্রক্রিয়ায় হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা অবান্তর।’

প্রেস উইংয়ের ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার দুই উপ-প্রেস সচিব।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বিদ্যমান আইন মেনে সার্চ কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘দ্রুত নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি আছে রাজনৈতিক দলগুলোর। নির্বাচন প্রক্রিয়ারই একটা অংশ সার্চ কমিটি। সংস্কার এবং সার্চ কমিটি দুটো প্রক্রিয়া আলাদা আলাদাভাবে চলছে।’

সার্চ কমিটির প্রসঙ্গ টেনে আজাদ মজুমদার বলেন, সার্চ কমিটি নিয়ে একটি আইন আছে। আইনে বলা হয়েছে, কারা কারা থাকবেন। যেহেতু আইনটি বলবৎ আছে। আইনের এখনো পরিবর্তন হয়নি। সার্চ কমিটি গঠন করতে হলে এই আইনটা অনুসরণ করেই করতে হবে। এই বাইরে অন্য কোনো বিকল্প নেই।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা সার্চ কমিটির জন্য নাম প্রস্তাব করেছেন কি না জানতে চাইলে উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘সেটা ব্যক্তিগতভাবে নাম চাইতেই পারে। আইনে একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া বলা আছে। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই সার্চ কমিটি গঠন হবে।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আজাদ মজুমদার বলেন, ‘যে দাবিগুলো আছে, সেই দাবিগুলো যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সরকার অবশ্যই পর্যালোচনা করবে।’ দীর্ঘদিনের অপশাসনের কারণে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেকের যৌক্তিক দাবিদাওয়া সরকার শুনবে এবং নির্দিষ্ট একটি চ্যানেলের মাধ্যমে দাবিগুলো জানানোর জন্য। সরকার প্রত্যেকটা দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল।’

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মামলা করাটা গণতান্ত্রিক অধিকার। গণহারে মামলা আমরাও সাপোর্ট করছি না। মামলা করাটা আপনি কাউকে ঠেকাতে পারবেন না। যখন বাদী বলেছেন তাঁকে চিনেন না, তখন তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

বিজয়ের পূর্বক্ষণে বেছে বেছে হত্যা করা হয় বুদ্ধিজীবীদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাঙালিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। বধ্যভূমি হয়ে ওঠে রায়েরবাজার, মিরপুরসহ বেশ কিছু এলাকা। দিনটি স্মরণে পরিষ্কার করা হচ্ছে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাঙালিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। বধ্যভূমি হয়ে ওঠে রায়েরবাজার, মিরপুরসহ বেশ কিছু এলাকা। দিনটি স্মরণে পরিষ্কার করা হচ্ছে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। পূর্ব দিগন্তে দেখা যেতে থাকে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যের আভা। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।

মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাসই বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, তবে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে একযোগে ধরে নেওয়া হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে। এদিনটিকে তাই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে জাতি।

পাকিস্তানের সামরিক জান্তা পরিকল্পনা করেছিল, বুদ্ধিজীবীশূন্য করে দিলে বাংলাদেশ কোনো দিন স্বাধীন হলেও আত্মনির্ভর হয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ ছিলেন শিক্ষক। ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতিবাদী ভূমিকার কারণে পাকিস্তান আমলের গোড়ার দিক থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সামরিক শাসকদের ক্ষোভ ছিল। একাত্তরে সে ক্ষোভ ঘৃণায় পরিণত হয়।

গবেষকদের ধারণা, বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা রাও ফরমান আলী। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গভর্নর হাউস থেকে তাঁর একটি ডায়েরি পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের অনেক বুদ্ধিজীবীর নাম লেখা ছিল। তাঁদের অধিকাংশই ১৪ ডিসেম্বরে আটক হয়ে প্রাণ হারান। পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীসহ অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারাও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন বলে গবেষকেরা মনে করেন।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর বাংলাদেশের মানুষ যখন বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা—তখনই খবর পাওয়া যায়, রাজধানীর রায়েরবাজারের বধ্যভূমির। সেখানে ইটের গাদার মধ্যে পড়ে ছিল বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর বিকৃত মরদেহ। কারও হাত-চোখ বাঁধা। বুক, মাথা ও পিঠে ছিল গুলির আঘাত এবং সারা দেহে বেয়নেটের ক্ষতচিহ্ন। ভয়ঙ্কর নির্মমভাবে নির্যাতনের পর তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল। ক্রমেই বের হতে থাকে আরও বধ্যভূমি। বিজয়ের আনন্দের মধ্যে শোকাতুর হয় জাতি। বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে চিরজাগরূক রাখতে রায়েরবাজার ও মিরপুরের বধ্যভূমির স্থানে পরবর্তী সময়ে গড়ে তোলা হয়েছে স্মৃতিসৌধ।

রায়েরবাজার ছাড়া ঢাকা শহরের প্রধান বধ্যভূমি ছিল আলেকদি, কালাপানি, রাইনখোলা, মিরপুর বাঙলা কলেজের পশ্চাদ্‌ভাগ, হরিরামপুর গোরস্তান, মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এবং মোহাম্মদপুর থানার পূর্বপ্রান্ত। ডিসেম্বরের বিভিন্ন সময়ে ধরে নিয়ে হত্যা করা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন মুনীর চৌধুরী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, ফজলে রাব্বী, আলীম চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, নিজামুদ্দীন আহমদ, সেলিনা পারভীন, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ। সাহিত্য, সাংবাদিকতা, চিকিৎসাসেবাসহ নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাঁরা ছিলেন সুপ্রতিষ্ঠিত।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল বলে নিহতদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সমকালীন সংবাদপত্রের খবর ও গবেষণা সূত্রে জানা যায়। লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গ্রামাঞ্চলে এ কাজ করেছিল বাঙালি রাজাকার ও মুসলিম লীগাররা। তারা পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে এসে লোকজনকে চিনিয়ে দিয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের পরামর্শ দিয়েছে। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল।

বাংলাপিডিয়ার হিসাব অনুযায়ী, পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ হাজার ১১১ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। শহীদদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী, ৯ জন সাহিত্যিক ও শিল্পী, ৫ জন প্রকৌশলী এবং অন্যান্য ২ জন। রাও ফরমান আলী হত্যার জন্য মোট ১৫০০ বাঙালির তালিকা করেছিলেন বলে জানা যায়।

যুদ্ধের শেষ কয়েক দিন

এদিকে নিশ্চিত পরাজয়ের প্রাক্কালে এসে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানিদের শীর্ষপর্যায়ে মতভেদ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শীর্ষ কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে রাও ফরমান আলীর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যুদ্ধবিরতির আবেদন পাঠানোকে তারই প্রমাণ মনে করা হয়। ঢাকার শহরতলিতে অগ্রসরমান ভারতীয় বাহিনীর গোলা এসে পড়ছিল। শহরের কয়েকটি স্থানে তো মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা অপারেশন আগে থেকেই চলছিল। জেনারেল নিয়াজী তখনো দ্বিধার মধ্যে ছিলেন। মনস্থির করতে পারেননি প্রাদেশিক গভর্নর মালেকও। তবে ১৪ ডিসেম্বরই গভর্নর হাউসে (বর্তমান বঙ্গভবন) মালেক মন্ত্রিসভার বৈঠক চলার সময় ভারতীয় বিমানের বোমা হামলার পর তিনি ভড়কে গিয়ে সপারিষদ পদত্যাগ করে বসেন। ছটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের হামলায় গভর্নর হাউসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এদিকে ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণের জন্য মিত্রবাহিনীর জেনারেল মানেকশর আহ্বান রেডিওতে বারবার প্রচারিত হতে থাকে। ১৪ তারিখ সন্ধ্যার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জেনারেল নিয়াজী ও গভর্নর মালেককে ‘যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ গ্রহণের অনুমোদন দেন। উপায় না দেখে নিয়াজী শেষ চেষ্টা হিসেবে মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। তাঁর প্রস্তাব ছিল, পাকিস্তানি বাহিনীর অবশিষ্ট সেনারা এক জায়গায় সমবেত হবে। সেখান থেকে তাদের পশ্চিম পাকিস্তানে অক্ষত অবস্থায় ফিরে যেতে দিতে হবে। ১৫ তারিখ প্রস্তাবটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছায়।

এদিকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের জাহাজ চট্টগ্রাম উপকূলে ঘেঁষার চেষ্টা করতে পারে, এই আশঙ্কায় বাংলাদেশি বাহিনীর সেনারা বন্দর অচল করতে উদ্যোগ নেন। ভারতীয় বিমান ও নৌবাহিনী এতে সহায়তা করে। বন্দরে প্রচুর বোমা ফেলে তা অচল করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের অদূরে কুমিরার কাছে ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলামের বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় ২৩ ডিভিশনের ৮৩ ব্রিগেডের যোদ্ধারা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, যত দ্রুত সম্ভব চট্টগ্রাম দখলে নেওয়া। সব মিলিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় এবং ঢাকার পতন তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুদানে ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ৬ জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরও ৮ জনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের বিশেষ নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপিকে ইসির চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ও মাঠপর্যায়ের অফিসের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া ইসির এক চিঠিতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং সিনিয়র সচিবের বিশেষ নিরাপত্তা বিধান প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট বিদ্যমান থাকলেও নির্বাচনকালে তাঁর জন্য অতিরিক্ত আরও একটি গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট প্রয়োজন। এ ছাড়া চারজন নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের ঢাকার বাসভবন ও অফিসে যাতায়াতসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট দেওয়া প্রয়োজন।

এ ছাড়া মহাপুলিশ পরিদর্শককে দেওয়া অন্য চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারির পর দুর্বৃত্তরা লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে সারা দেশে মাঠপর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিস এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসসমূহে নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালপত্র, যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে বিধায় উক্ত অফিসসমূহে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও নির্বাচনী মালপত্রের সুরক্ষাসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসসমূহের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।

এছাড়া পুলিশ কমিশনার বরাবর দেওয়া আরেকটি চিঠিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার আঞ্চলিক কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য গানম্যান নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানালেন রোকেয়া পদকজয়ীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ জয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রেস উইং
‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ জয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রেস উইং

‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ জয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন এ বছর বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত রুবহানা রাকিব, নাবিলা ইদ্রিস, কল্পনা আক্তার ও ঋতুপর্ণা চাকমা। এ সময়ে তাঁরা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদীর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান রোকেয়া পদকজয়ীরা।

রোকেয়া পদকজয়ীরা বলেন, আপনার কাছে সংবর্ধনা পাব এ নিয়ে উৎফুল্ল ছিলাম। কিন্তু গতকালকের ঘটনা পর আমরা বিচলিত। নির্বাচনের জন্য দেশের রাজনৈতিক দল ও মানুষের মধ্যে ঐক্য বাড়ানো প্রয়োজন বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেন তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমি পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। নিয়মিত হাদির চিকিৎসার খোঁজ নিচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তারাও সহায়তা করছে।’

রোকেয়া পদকজয়ী প্রত্যেকের কাছে নিজ নিজ কর্মস্থল ও অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা।

শ্রম আইনের পরিবর্তন ও শ্রম কনভেশনে স্বাক্ষর করায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত কল্পনা আক্তার। তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের পরিবর্তন ও কনভেশন-দুটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এত অল্প সময়ের মধ্যে আপনি এটা করে দিয়েছেন সে জন্য ধন্যবাদ।’

কল্পনা আক্তার আরও বলেন, ‘গত সরকারের আমলে মামলা দিয়ে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে। গুলশানের নাভানা টাওয়ার থেকে চশমা লুটের মতো অবাস্তব ঘটনায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন করে, শ্রমিক অধিকারে কাজ করে এমন কেউ রোকেয়া পদক পাবে এটা আগে কখনো কেউ ভাবেনি। অন্তর্বর্তী সরকারকে এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কল্পনা আক্তার একজন শক্তিশালী নারী, সব সময় ন্যায্য কথা বলেন। বিশ্বজুড়ে তাঁকে সবাই সম্মান করে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর যা যা করার কথা ছিল এর কোনো কিছুই করা হয়নি। শ্রম অধিকার ও কনভেশন এগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল। চেষ্টা ছিল, যতটুকু পারি করে দিয়ে যাব।’ তিনি শ্রমিকদের বেতন, কর্মপরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে কল্পনা আক্তারের কাছে জানতে চেয়েছেন এবং শ্রম আইন বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

গবেষক ড. রুবহানা রাকিবের কাছে আইসিডিডিআরবি’র (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) সার্বিক খোঁজ খবর নেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সাহায্য বন্ধ হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আইসিডিডিআরবি প্রতিষ্ঠান ও রোহিঙ্গারা। এ নিয়ে সরকার নিরন্তরভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার কাছেও দলের ব্যাপারে সার্বিক খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা। নারী দলের থাকা-খাওয়া-অনুশীলনের ব্যবস্থা, দলে নতুন খেলোয়াড় আসছে কি না, যারা আসছে তারা কেমন পারফর্ম করছে, এসব বিষয়ে খোঁজ নেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সবাই তোমাদের (নারী ফুটবল দল) ভক্ত। তোমাকে বহু ছেলেমেয়েরা অনুসরণ করে। তোমাকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তোমাকে সম্মানিত করার অর্থ হলো তোমাকে যারা অনুসরণ করে, তাদেরও অনুপ্রাণিত করা। আমরা চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও অনুপ্রাণিত হোক।’

মানবাধিকার ক্যাটাগরিতে রোকেয়া পদকজয়ী নাবিলা ইদ্রিসের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তুমি শুরু থেকেই তোমার দৃঢ়তার জন্য প্রশংসিত হয়েছ। মানুষের মধ্যে তুমি সাহস জুগিয়েছো। বহু মানুষকে মানবাধিকার নিয়ে সচেতন করেছ। আগামী দিনগুলোতেও যেন তোমার লড়াই অটুট থাকে।’

প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের বিচার শুরু করায় বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান নাবিলা। তিনি বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত এবং বিচার এখন যে পর্যায়ে এসেছে এটি ঐতিহাসিক। আপনি না থাকলে আমরা গুম ও জুলাই গণহত্যার বিচার দেখতে পারতাম না।’

অনুষ্ঠানে রোকেয়া পদকজয়ী চারজনকে গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক সংগ্রাম ও তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে তাঁর নিজের লেখা বই ‘বেলতৈল গ্রামের জরিমন, ও অন্যান্যরা’ উপহার দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত