মেহেরপুরের গাংনীতে সনদ ছাড়াই চিকিৎসা দেওয়ায় সুজন আলী নামের এক ব্যক্তিকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কারাদণ্ডাদেশের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন জানান, গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন সুজন আলী। খবর পেয়ে গতকাল রাত ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সুজনকে আটক করা হয়। এরপর চিকিৎসাসংক্রান্ত বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। সে ক্ষেত্রে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন লঙ্ঘন করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
নাদির হোসেন বলেন, ‘যারা কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, যাঁরা অবৈধভাবে কাগজপত্র ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছেন, তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।