আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সুন্দরবনে ফের বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে তারা। আতঙ্কে অনেকে পেশা ত্যাগ করছেন। অনেকে আবার কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
বন বিভাগ সূত্র বলেছে, ২০১৬ সাল থেকে কয়েক ধাপে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন দস্যু ৪৬২টি অস্ত্র ও ৫০৪টি গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেছিল। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে বনদস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর বনজীবীরা স্বচ্ছন্দে মাছ, কাঁকড়া, মধু ও গোলপাতা আহরণ করে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি বনদস্যুদের উৎপাত আবার বেড়েছে।
শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালীগঞ্জের স্থানীয় সূত্র বলেছে, গত সাত মাসে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার তিন শতাধিক জেলে সুন্দরবনে অপহৃত হয়েছেন। সর্বশেষ অপহৃত হয়েছেন আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েকজন জেলে। তবে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের কোনো তথ্য পুলিশ কিংবা বন বিভাগের কাছে নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে জানান, সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আন্ধারমানিক, আড়পাঙ্গাসিয়া, আড়ুয়া, শিবসা, মান্ধারখালিসহ কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে শরীফ বাহিনী, মজনু বাহিনী, রবিউল বাহিনী, মঞ্জুর বাহিনীসহ কমপক্ষে ১০টি বাহিনী দস্যুতা শুরু করেছে। পশ্চিম সুন্দরবন থেকে পূর্ব সুন্দরবন পর্যন্ত সব এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল হান্নান বাহিনী। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটের রামপাল খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ সহযোগীসহ হান্নান শেখকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি আবু দাউদ বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি রাতে দুবলারচরের বাহির সমুদ্রের ৮ নম্বর বয়া এলাকা থেকে ১৫ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি করে জলদস্যুরা। তাঁদের ৯ জনেরই বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে। জনপ্রতি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে অপহরণের ১৭ দিন পর ১৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় তাঁদের ছেড়ে দেয় বনদস্যুরা।
অপহরণের শিকার আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন গ্রামের নূরে আলমের মা আম্বিয়া খাতুন বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চাকলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফের নৌকা নিয়ে তাঁর ছেলে নূরে আলমসহ অনেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ২৬ জানুয়ারি রাতে দুবলারচরের বাহির সমুদ্রের ৮ নম্বর বয়া এলাকা থেকে তাঁর ছেলেসহ ১৫ জনকে অপহরণ করে বনদস্যুরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ফিশিং বোটের মালিক আব্দুর রউফ বলেন, ২৬ জানুয়ারি যেদিন জেলেরা অপহৃত হন, সেদিন কোনো এক মাধ্যমে তাঁর কাছে একটি মোবাইল নম্বর পাঠানো হয়। তবে পাঁচ দিন ওই নম্বর বন্ধ ছিল। ৩১ জানুয়ারি সকালে ওই নম্বর খোলা পেলে জেলেদের সন্ধান চেয়ে কথা বলেন তিনি। বনদস্যুরা জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
শ্যামনগরের ভেটখালি এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘একটা নৌকায় ৪-৫ জন লোক যাচ্ছি। তখন দস্যুরা ধরে ফেলল। বাড়িতে ফোন দিল, মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমাদের এমনিতেই সংসার চলে না, তাতে টাকা দেব কীভাবে। সরকার যদি এটা নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারে, তবে আমরা বনে যেতে পারব না।’ একই এলাকার কমলা দাশ বলেন, ‘আমরা রাত হলেই ভয়ে থাকি। একদিকে বাঘের ভয়, নদীতে কুমিরের ভয়, অন্যদিকে ডাকাতের ভয়। এখন বনে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।’
ট্রলারমালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন হলো ডাকাতের তৎপরতা বেড়ে গেছে। জেলেরা ভয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছেন না। আমরা যাঁরা ট্যুরিস্টের ব্যবসা করি, তাঁরাও সুন্দরবনে পর্যটক কমে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ, যারা খবরাখবর রাখে, তারা সুন্দরবনে আসতে চায় না।’
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনি খাতুন বলেন, বনদস্যুদের নিয়ে প্রশাসন উদ্বিগ্ন। জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় বনদস্যুদের তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ফলাফলও এসেছে। কোস্ট গার্ড অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করেছে।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার অনিক মাহমুদ জানান, সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকাকে দস্যুমুক্ত রাখতে কোস্ট গার্ড দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। হান্নান বাহিনীর প্রধান হান্নান শেখসহ তাঁর সহযোগীরা অস্ত্রসহ আটক হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য বাহিনীকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
সুন্দরবনে ফের বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে তারা। আতঙ্কে অনেকে পেশা ত্যাগ করছেন। অনেকে আবার কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
বন বিভাগ সূত্র বলেছে, ২০১৬ সাল থেকে কয়েক ধাপে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন দস্যু ৪৬২টি অস্ত্র ও ৫০৪টি গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেছিল। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে বনদস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর বনজীবীরা স্বচ্ছন্দে মাছ, কাঁকড়া, মধু ও গোলপাতা আহরণ করে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি বনদস্যুদের উৎপাত আবার বেড়েছে।
শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালীগঞ্জের স্থানীয় সূত্র বলেছে, গত সাত মাসে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার তিন শতাধিক জেলে সুন্দরবনে অপহৃত হয়েছেন। সর্বশেষ অপহৃত হয়েছেন আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েকজন জেলে। তবে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের কোনো তথ্য পুলিশ কিংবা বন বিভাগের কাছে নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে জানান, সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আন্ধারমানিক, আড়পাঙ্গাসিয়া, আড়ুয়া, শিবসা, মান্ধারখালিসহ কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে শরীফ বাহিনী, মজনু বাহিনী, রবিউল বাহিনী, মঞ্জুর বাহিনীসহ কমপক্ষে ১০টি বাহিনী দস্যুতা শুরু করেছে। পশ্চিম সুন্দরবন থেকে পূর্ব সুন্দরবন পর্যন্ত সব এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল হান্নান বাহিনী। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটের রামপাল খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ সহযোগীসহ হান্নান শেখকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি আবু দাউদ বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি রাতে দুবলারচরের বাহির সমুদ্রের ৮ নম্বর বয়া এলাকা থেকে ১৫ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি করে জলদস্যুরা। তাঁদের ৯ জনেরই বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে। জনপ্রতি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে অপহরণের ১৭ দিন পর ১৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় তাঁদের ছেড়ে দেয় বনদস্যুরা।
অপহরণের শিকার আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন গ্রামের নূরে আলমের মা আম্বিয়া খাতুন বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চাকলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফের নৌকা নিয়ে তাঁর ছেলে নূরে আলমসহ অনেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ২৬ জানুয়ারি রাতে দুবলারচরের বাহির সমুদ্রের ৮ নম্বর বয়া এলাকা থেকে তাঁর ছেলেসহ ১৫ জনকে অপহরণ করে বনদস্যুরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ফিশিং বোটের মালিক আব্দুর রউফ বলেন, ২৬ জানুয়ারি যেদিন জেলেরা অপহৃত হন, সেদিন কোনো এক মাধ্যমে তাঁর কাছে একটি মোবাইল নম্বর পাঠানো হয়। তবে পাঁচ দিন ওই নম্বর বন্ধ ছিল। ৩১ জানুয়ারি সকালে ওই নম্বর খোলা পেলে জেলেদের সন্ধান চেয়ে কথা বলেন তিনি। বনদস্যুরা জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
শ্যামনগরের ভেটখালি এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘একটা নৌকায় ৪-৫ জন লোক যাচ্ছি। তখন দস্যুরা ধরে ফেলল। বাড়িতে ফোন দিল, মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমাদের এমনিতেই সংসার চলে না, তাতে টাকা দেব কীভাবে। সরকার যদি এটা নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারে, তবে আমরা বনে যেতে পারব না।’ একই এলাকার কমলা দাশ বলেন, ‘আমরা রাত হলেই ভয়ে থাকি। একদিকে বাঘের ভয়, নদীতে কুমিরের ভয়, অন্যদিকে ডাকাতের ভয়। এখন বনে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।’
ট্রলারমালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন হলো ডাকাতের তৎপরতা বেড়ে গেছে। জেলেরা ভয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছেন না। আমরা যাঁরা ট্যুরিস্টের ব্যবসা করি, তাঁরাও সুন্দরবনে পর্যটক কমে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কারণ, যারা খবরাখবর রাখে, তারা সুন্দরবনে আসতে চায় না।’
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনি খাতুন বলেন, বনদস্যুদের নিয়ে প্রশাসন উদ্বিগ্ন। জেলা ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় বনদস্যুদের তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ফলাফলও এসেছে। কোস্ট গার্ড অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করেছে।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার অনিক মাহমুদ জানান, সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকাকে দস্যুমুক্ত রাখতে কোস্ট গার্ড দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। হান্নান বাহিনীর প্রধান হান্নান শেখসহ তাঁর সহযোগীরা অস্ত্রসহ আটক হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য বাহিনীকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
পেশাদার মোটরযান চালকদের নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরিতে ও নবায়ন করাতে মেডিকেল সার্টিফিকেট (চিকিৎসা সনদ) বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা লাইসেন্সও পেয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন..
৪৪ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালনকালে হাসপাতালটিতে বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে...
১ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার বর্জ্য ফেলার নিজস্ব কোনো জায়গা বা ভাগাড় না থাকায় তা ফেলা হচ্ছে নদীতে। ফলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদী। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। আবর্জনার স্তূপে মৃতপ্রায় নদীটি রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি..
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার শহরের উত্তর পাশ ঘেঁষে মহেশখালী চ্যানেল হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে খরস্রোতা নদী বাঁকখালী। এ নদীর মোহনা ঘিরেই গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান পর্যটন শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য। কিন্তু সেই নদীই দখল-দূষণে এখন সরু খালে পরিণত হচ্ছে। প্রভাবশালী দখলদারেরা নদীতীরের প্যারাবন কেটে ও চর ভরাট করে একের পর এক...
১ ঘণ্টা আগে