অনলাইন ডেস্ক
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একদিকে যেমন গাজায় নিরীহ মানুষেরা মরছে, অন্যদিকে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা দ্বিগুণ করেছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, বিগত সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে আটবার হামলা করছে।
কিন্তু ইসরায়েলের অবৈধ এসব বসতি স্থাপনকারী আসলে কারা? কেনই–বা তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর এভাবে হামলা চালায়?
এ বিষয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের জমিতে জোর করে যারা বসবাস করছে, তারা ইসরায়েলেরই নাগরিক। ইসরায়েলের ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে ৭ লাখই অবৈধ বসতি স্থাপনকারী। ১৫০টি অধিকৃত জমিতে সরকারি বসতি এবং ১২৮টি দখলকৃত ফাঁড়ি এলাকায় তারা বসবাস করে।
সাধারণত ফিলিস্তিনি ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রায় প্রতিবছরই সরকারিভাবে বসতি নির্মাণ করা হয়। আবার কোনো ইসরায়েলি যদি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে বসবাস শুরু করে, তবে এসব ফাঁড়ি এলাকাকে একটি বন্দোবস্তের মাধ্যমে অনুমোদন দেয় ইসরায়েল সরকার। এ ধরনের বসতিতে একটি ছোট ঝুপড়ি ঘর থেকে শুরু করে ৪০০ লোকের বসবাসও হতে পারে। আর সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করা এলাকাগুলোতে এমনও বসতি আছে, যেখানে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ বর্তমানে বসবাস করছে।
কিছু লোক এসব বসতিতে গেছে অধিকতর সরকারি সুযোগ–সুবিধা পাওয়ার আশায়। কারণ, সেখানে ঘরবাড়ি বানানোর খরচ খুব কম। সরকারি প্রণোদনা ছাড়াও অনেক কম খরচ করেও এসব এলাকায় উন্নত জীবনযাপন করা যায়। আবার ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণেও অনেকে বসতি স্থাপনকারী হয়। কারণ, দখল করা এলাকাকে তারা ‘ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত দান’ বলে মনে করে। ফলে দেখা গেছে, বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে এক–তৃতীয়াংশই কট্টর ইহুদি।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী, পশ্চিম তীরে বসবাসকারী বেশির ভাগ ইসরায়েলি ইহুদি মনে করে, অধিগ্রহণ কিংবা জবরদখল—যেভাবেই হোক না কেন, বসতি নির্মাণ দেশের নিরাপত্তাকে উন্নত করে। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, এসব বসতি ফিলিস্তিনিদের চলাচলকে সীমাবদ্ধ করে এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কার্যকারিতা হ্রাস করে। ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য এটি জরুরি বলেই মনে করে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের জুনে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকা দখল করার পরই প্রথমবারের মতো বসতি স্থাপন শুরু করে। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে হেবরনের ইটিজিয়ন ব্লক ছিল অধিকৃত পশ্চিম তীরে নির্মিত ইসরায়েলের প্রথম বসতি। সেখানে এখন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করে।
ইসরায়েলের প্রতিটি সরকারই এই নীতি অনুসরণ করার ফলে অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে বসতি স্থাপনকারী জনসংখ্যা ক্রমে বেড়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, গত শতাব্দীর শুরুর দিকে এমন একটি বসতি থেকেই এখন একটি দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ইসরায়েল। ১৯০৯ সালে আরব শহর জাফার উপকণ্ঠে গড়ে ওঠা ছোট্ট সেই বসতিই এখন দেশটির বর্তমান রাজধানী ও বৃহত্তম শহর তেল আবিব।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একদিকে যেমন গাজায় নিরীহ মানুষেরা মরছে, অন্যদিকে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা দ্বিগুণ করেছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, বিগত সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে আটবার হামলা করছে।
কিন্তু ইসরায়েলের অবৈধ এসব বসতি স্থাপনকারী আসলে কারা? কেনই–বা তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর এভাবে হামলা চালায়?
এ বিষয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের জমিতে জোর করে যারা বসবাস করছে, তারা ইসরায়েলেরই নাগরিক। ইসরায়েলের ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে ৭ লাখই অবৈধ বসতি স্থাপনকারী। ১৫০টি অধিকৃত জমিতে সরকারি বসতি এবং ১২৮টি দখলকৃত ফাঁড়ি এলাকায় তারা বসবাস করে।
সাধারণত ফিলিস্তিনি ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রায় প্রতিবছরই সরকারিভাবে বসতি নির্মাণ করা হয়। আবার কোনো ইসরায়েলি যদি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে বসবাস শুরু করে, তবে এসব ফাঁড়ি এলাকাকে একটি বন্দোবস্তের মাধ্যমে অনুমোদন দেয় ইসরায়েল সরকার। এ ধরনের বসতিতে একটি ছোট ঝুপড়ি ঘর থেকে শুরু করে ৪০০ লোকের বসবাসও হতে পারে। আর সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করা এলাকাগুলোতে এমনও বসতি আছে, যেখানে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ বর্তমানে বসবাস করছে।
কিছু লোক এসব বসতিতে গেছে অধিকতর সরকারি সুযোগ–সুবিধা পাওয়ার আশায়। কারণ, সেখানে ঘরবাড়ি বানানোর খরচ খুব কম। সরকারি প্রণোদনা ছাড়াও অনেক কম খরচ করেও এসব এলাকায় উন্নত জীবনযাপন করা যায়। আবার ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণেও অনেকে বসতি স্থাপনকারী হয়। কারণ, দখল করা এলাকাকে তারা ‘ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত দান’ বলে মনে করে। ফলে দেখা গেছে, বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে এক–তৃতীয়াংশই কট্টর ইহুদি।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুযায়ী, পশ্চিম তীরে বসবাসকারী বেশির ভাগ ইসরায়েলি ইহুদি মনে করে, অধিগ্রহণ কিংবা জবরদখল—যেভাবেই হোক না কেন, বসতি নির্মাণ দেশের নিরাপত্তাকে উন্নত করে। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, এসব বসতি ফিলিস্তিনিদের চলাচলকে সীমাবদ্ধ করে এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কার্যকারিতা হ্রাস করে। ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য এটি জরুরি বলেই মনে করে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের জুনে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকা দখল করার পরই প্রথমবারের মতো বসতি স্থাপন শুরু করে। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে হেবরনের ইটিজিয়ন ব্লক ছিল অধিকৃত পশ্চিম তীরে নির্মিত ইসরায়েলের প্রথম বসতি। সেখানে এখন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করে।
ইসরায়েলের প্রতিটি সরকারই এই নীতি অনুসরণ করার ফলে অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে বসতি স্থাপনকারী জনসংখ্যা ক্রমে বেড়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, গত শতাব্দীর শুরুর দিকে এমন একটি বসতি থেকেই এখন একটি দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ইসরায়েল। ১৯০৯ সালে আরব শহর জাফার উপকণ্ঠে গড়ে ওঠা ছোট্ট সেই বসতিই এখন দেশটির বর্তমান রাজধানী ও বৃহত্তম শহর তেল আবিব।
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
১৬ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
১ দিন আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
৩ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে