অনলাইন ডেস্ক
রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ের দ্বারপ্রান্ত। গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়াতে জয়ের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তিনি। বিজয়ী হতে প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ার পথেই তিনি। আলাস্কা বা অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে জিতলেই ট্রাম্প হয়ে যাবেন আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট। তাঁর দরকার আর মাত্র ৩ ভোট।
নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের চীন নীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে। ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর যে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে বোদ্ধাদের নতুন করে ভাবতে হবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা নতুন করে আরও একটি বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করতে পারে। তিনি মার্কিন রিয়েল এস্টেট ও অবকাঠামো খাত, বিশেষ করে শক্তি ও প্রযুক্তি খাতে চীনা মালিকানা লাভের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান।
তাইওয়ান সম্পর্কেও ট্রাম্প তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমেরিকান ও তাইওয়ানি কূটনীতিকদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়িয়েছিলেন, যা চীনের ক্ষোভের কারণ হয়েছিল। তাইওয়ান আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে হস্তক্ষেপ করবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গত বছর ট্রাম্প এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের সম্পাদকীয় পরিষদের সঙ্গে আলোচনার সময় ট্রাম্প বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন বাহিনীকে ব্যবহার করে তিনি চীনকে হুমকি দেবেন না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘চীনের সি চিন পিং আমাকে সম্মান করেন এবং তিনি জানেন আমি পাগলাটে।’ এই ‘পাগলাটে’ শব্দের ওপর বেশ জোরই দেন তিনি।
চীনার ট্রাম্পকে খুব একটা না চাইলেও সম্ভাব্য ফলাফল বলছে, ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে মার্কিন থিংক ট্যাংক কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো টং ঝাও বলেন, ‘বেইজিং আমেরিকার নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিল। যদিও ট্রাম্পের বিজয় চীনের কাঙ্ক্ষিত বিষয় নয়। তবে তারপরও তিনি নির্বাচিত হলে চীনা নেতৃত্ব সম্ভবত ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ চিত্র তৈরি রাখার চেষ্টা করবে, সেই সঙ্গে চীনের ক্ষমতা এবং শক্তি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা আরও তীব্র করবে।’
ঝাও আরও বলেন, ‘বেইজিং বিশেষভাবে, এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে—ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও শুরু হতে পারে। চীন মনে করে, ট্রাম্প প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে চীনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যা চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে এবং এর ফলে দেশটির সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।’
এ প্রতিক্রিয়ায় চীন সম্ভবত আরও বেশি প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক স্বতন্ত্রতার জন্য চেষ্টা বাড়াবে, এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার চাপ অনুভব করবে, তিনি যোগ করেছেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন আসতে পারে। এই বিষয়ে সাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ শেন ডিংলি বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন তাইওয়ান নিয়ে চীনকে চাপ দিতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ, তাইওয়ানে বর্তমানে মার্কিন সেনা অবস্থান করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে অস্ত্রও বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এটি ছিল না...যা ট্রাম্প প্রশাসনের তাইওয়ান নীতির তুলনায় একটি বড় পরিবর্তন। ভবিষ্যতে ট্রাম্প তাইওয়ানকে বাইডেন প্রশাসনের মতো একই রকম সমর্থন দেবেন সম্ভাবনা কম।’
ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে এটি অনুমান করা যায় যে, তিনি চীন বাণিজ্যিকভাবে মোকাবিলা করার চেষ্টা বেশ ভালোভাবেই করবেন। তবে চীনের যে পররাষ্ট্রনীতি, সে বিষয়ে উপযাচক হয়ে তাঁর প্রশাসন হাত বাড়াবে বলে মনে হয় না।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ের দ্বারপ্রান্ত। গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়াতে জয়ের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তিনি। বিজয়ী হতে প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ার পথেই তিনি। আলাস্কা বা অন্য কোনো অঙ্গরাজ্যে জিতলেই ট্রাম্প হয়ে যাবেন আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট। তাঁর দরকার আর মাত্র ৩ ভোট।
নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের চীন নীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে। ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর যে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে বোদ্ধাদের নতুন করে ভাবতে হবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা নতুন করে আরও একটি বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করতে পারে। তিনি মার্কিন রিয়েল এস্টেট ও অবকাঠামো খাত, বিশেষ করে শক্তি ও প্রযুক্তি খাতে চীনা মালিকানা লাভের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান।
তাইওয়ান সম্পর্কেও ট্রাম্প তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমেরিকান ও তাইওয়ানি কূটনীতিকদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়িয়েছিলেন, যা চীনের ক্ষোভের কারণ হয়েছিল। তাইওয়ান আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে হস্তক্ষেপ করবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গত বছর ট্রাম্প এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের সম্পাদকীয় পরিষদের সঙ্গে আলোচনার সময় ট্রাম্প বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন বাহিনীকে ব্যবহার করে তিনি চীনকে হুমকি দেবেন না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘চীনের সি চিন পিং আমাকে সম্মান করেন এবং তিনি জানেন আমি পাগলাটে।’ এই ‘পাগলাটে’ শব্দের ওপর বেশ জোরই দেন তিনি।
চীনার ট্রাম্পকে খুব একটা না চাইলেও সম্ভাব্য ফলাফল বলছে, ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে মার্কিন থিংক ট্যাংক কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো টং ঝাও বলেন, ‘বেইজিং আমেরিকার নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিল। যদিও ট্রাম্পের বিজয় চীনের কাঙ্ক্ষিত বিষয় নয়। তবে তারপরও তিনি নির্বাচিত হলে চীনা নেতৃত্ব সম্ভবত ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ চিত্র তৈরি রাখার চেষ্টা করবে, সেই সঙ্গে চীনের ক্ষমতা এবং শক্তি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা আরও তীব্র করবে।’
ঝাও আরও বলেন, ‘বেইজিং বিশেষভাবে, এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে—ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও শুরু হতে পারে। চীন মনে করে, ট্রাম্প প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে চীনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যা চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে এবং এর ফলে দেশটির সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।’
এ প্রতিক্রিয়ায় চীন সম্ভবত আরও বেশি প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক স্বতন্ত্রতার জন্য চেষ্টা বাড়াবে, এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার চাপ অনুভব করবে, তিনি যোগ করেছেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন আসতে পারে। এই বিষয়ে সাংহাইয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ শেন ডিংলি বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন তাইওয়ান নিয়ে চীনকে চাপ দিতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ, তাইওয়ানে বর্তমানে মার্কিন সেনা অবস্থান করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে অস্ত্রও বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এটি ছিল না...যা ট্রাম্প প্রশাসনের তাইওয়ান নীতির তুলনায় একটি বড় পরিবর্তন। ভবিষ্যতে ট্রাম্প তাইওয়ানকে বাইডেন প্রশাসনের মতো একই রকম সমর্থন দেবেন সম্ভাবনা কম।’
ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে এটি অনুমান করা যায় যে, তিনি চীন বাণিজ্যিকভাবে মোকাবিলা করার চেষ্টা বেশ ভালোভাবেই করবেন। তবে চীনের যে পররাষ্ট্রনীতি, সে বিষয়ে উপযাচক হয়ে তাঁর প্রশাসন হাত বাড়াবে বলে মনে হয় না।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
সদ্য নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনা। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর চার বছর পর লাখ লাখ আমেরিকানের সমর্থনে ট্রাম্প আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে যাচ্ছেন।
৩০ মিনিট আগেচলমান ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া একটি নজিরবিহীন আইনি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন যখন ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দোষ প্রমাণিত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতের যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হলেও ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নয়া দিল্লির জন্য বেশ কিছু সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে, বাণিজ্য, অভিবাসন, সামরিক সহযোগিতা এবং কূটনীতি—এই চারটি ক্ষেত্রে। ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে একাধিকবার বন্ধু বলে সম্বোধন করলেও সামগ্রিকভাবে ট্রাম্প
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নীতি গ্রহণ করেছিলেন। সেটা হলো সবার আগে আমেরিকার স্বার্থ (আমেরিকা ফার্স্ট)। কিন্তু এরপর যেটা দেখা গেল, সেটা হলো তাঁর বিশৃঙ্খল পররাষ্ট্রনীতি। এটা ট্রাম্পের সহযোগী ও উপদেষ্টারা খুব ভালোভাবেই জানেন।
৪ দিন আগে