জাহাঙ্গীর আলম
যুদ্ধের বাজারে কামিয়ে নিচ্ছে জ্বালানি খাতের দুই ভারতীয় মহারথী। চলতি বছরের শুরু থেকেই তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ শুরু করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ফলে বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে জ্বালানি পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। আর এই যুদ্ধের আগুনে আলু পোড়া খাচ্ছেন গৌতম আদানি আর মুকেশ আম্বানি। জীবাশ্ম-জ্বালানির ব্যবসা বাড়ছে তাঁদের। যদিও এশিয়ার এই শীর্ষ ধনী ব্যক্তিরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে তাঁদের উৎসাহের কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন।
কয়লার দাম এখন আকাশচুম্বী। আদানি গ্রুপ বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে অস্ট্রেলিয়ায় একটি বিতর্কিত খনির সম্প্রসারণ করছে। আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল পরিশোধন কমপ্লেক্সের জন্য যুদ্ধের কারণে বিপাকে পড়া কার্গোগুলো ডিসকাউন্ট মূল্যে কিনছে। এমনকি আরও বেশি পরিমাণ ডিজেল এবং পেট্রল পরিশোধন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পরিশোধন কমপ্লেক্সের পূর্ব নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ শিডিউল পিছিয়ে দিয়েছে রিলায়েন্স। এই কমপ্লেক্সের মার্জিন এখন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই দুই ভারতীয় টাইকুন এমন এক সময় এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে যখন অনেক উন্নত দেশ জ্বালানিতে রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা থেকে সরে গিয়ে বিকল্প উৎসের খোঁজে নেমেছে। চলতি মাসে সাতটি প্রধান শিল্পোন্নত দেশের গ্রুপ রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই ঘোষণা কয়লার চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্নকারী এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা এবং দীর্ঘ মেয়াদে সম্পূর্ণ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশগুলো।
গৌতম আদানি (৫৯) এবং মুকেশ আম্বানি (৬৫) কয়লা এবং জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আগামী কয়েক দশকের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে সম্মিলিতভাবে ১৪২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন। যদিও তাঁদের এই ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের মূল ভিত্তি জীবাশ্ম-জ্বালানি। কিন্তু সংঘাত যখন চাহিদা বৃদ্ধির লাগাম ঢিলে করে দিচ্ছে তখন তাঁদের সেই উদ্যোগও হোঁচট খাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী কয়লার চাহিদা রেকর্ড বাড়বে এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের মার্চে শেষ হওয়া প্রথম প্রান্তিকের মুনাফায় ৩০ শতাংশ উল্লম্ফনে বড় ভূমিকা রেখেছে কয়লার ঊর্ধ্বমুখী বাজার। আগের ছয় প্রান্তিকের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। আর পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে লাভ হয়েছে রিলায়েন্সের। তারাও সর্বোচ্চ ত্রৈমাসিক মুনাফার তথ্য দিয়েছে।
এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিলায়েন্স এবং আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম যথাক্রমে ১৯ শতাংশ এবং ৪২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। ওই সময় ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আদানির সম্পদ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ এখন প্রায় ১০৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময় আম্বানির সম্পদ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৯২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
অবশ্য যুদ্ধের বাজারে শুধু এই দুই ভারতীয় বিলিয়নিয়ারই লাভবান হচ্ছেন এমন নয়। মার্কিন তেল ও গ্যাস টাইকুন হ্যারল্ড হ্যাম, রিচার্ড কিন্ডার এবং মাইকেল এস. স্মিথ এবং ইন্দোনেশিয়ার লো টাক কওং, কয়লা খনি কোম্পানি পিটি বেয়ান রিসোর্সেসের বস—এরা সবাই এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ বাড়িয়েছেন।
রিলায়েন্সের আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে তেল পরিশোধন এবং পেট্রোকেমিক্যাল থেকে। মুকেশ আম্বানির প্রয়াত বাবা এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ২০০২ সালে উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি এটি পান। এরপর খুচরা ব্যবসা, টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগের বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে তেল-শোধনের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়েছেন।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ থেকে ভারত স্পট মার্কেটে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল উরাল ক্রুড কিনেছে। যদিও ভারতে রুশ তেলের সরবরাহ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই, এরপরও দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বারবার বলছে, ইউরোপের রুশ তেল কেনার তুলনায় তাদের আমদানি খুব কম এবং দেশের মোট জ্বালানি ব্যয়ের একটি ক্ষুদ্র অংশ। এই সুবিধাটির কারণে মুদ্রাস্ফীতির চাপের মধ্যে ভারত সরকার কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে। যেখানে এপ্রিলে ভারতে ভোগ্যপণ্যের দাম আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় ভারতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি রেকর্ড ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন ছিল। যেখানে ভারতে পরিশোধকেরা মার্চে ৩ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন টন ডিজেল রপ্তানি করেছে, যা ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। আর গ্যাসোলিন রপ্তানি পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে।
অপরদিকে গৌতম আদানি প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তা। কয়লাই তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের কেন্দ্র। তিনি ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার কয়লা খনিতে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে তাঁর কারমাইকেল খনি দীর্ঘদিন ধরে গ্রেটা থুনবার্গসহ পরিবেশবাদীদের সমালোচনার প্রধান লক্ষ্য হয়ে আছে। চলতি বছরই সেখান থেকে উত্তোলন শুরু হয়েছে।
গত ৪ মে আদানি এন্টারপ্রাইজ বলেছে, তারা ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে কারমাইকেল খনির বার্ষিক উত্তোলন সক্ষমতা ১৫ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে, যা বর্তমানের প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কয়লার বাজারকে আপাতত চাঙা রাখবে। তবে এটি কতক্ষণ স্থায়ী হবে তা বলা মুশকিল।
যুদ্ধের বাজারে কামিয়ে নিচ্ছে জ্বালানি খাতের দুই ভারতীয় মহারথী। চলতি বছরের শুরু থেকেই তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ শুরু করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ফলে বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে জ্বালানি পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। আর এই যুদ্ধের আগুনে আলু পোড়া খাচ্ছেন গৌতম আদানি আর মুকেশ আম্বানি। জীবাশ্ম-জ্বালানির ব্যবসা বাড়ছে তাঁদের। যদিও এশিয়ার এই শীর্ষ ধনী ব্যক্তিরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে তাঁদের উৎসাহের কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন।
কয়লার দাম এখন আকাশচুম্বী। আদানি গ্রুপ বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে অস্ট্রেলিয়ায় একটি বিতর্কিত খনির সম্প্রসারণ করছে। আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল পরিশোধন কমপ্লেক্সের জন্য যুদ্ধের কারণে বিপাকে পড়া কার্গোগুলো ডিসকাউন্ট মূল্যে কিনছে। এমনকি আরও বেশি পরিমাণ ডিজেল এবং পেট্রল পরিশোধন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পরিশোধন কমপ্লেক্সের পূর্ব নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ শিডিউল পিছিয়ে দিয়েছে রিলায়েন্স। এই কমপ্লেক্সের মার্জিন এখন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই দুই ভারতীয় টাইকুন এমন এক সময় এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে যখন অনেক উন্নত দেশ জ্বালানিতে রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা থেকে সরে গিয়ে বিকল্প উৎসের খোঁজে নেমেছে। চলতি মাসে সাতটি প্রধান শিল্পোন্নত দেশের গ্রুপ রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই ঘোষণা কয়লার চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্নকারী এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা এবং দীর্ঘ মেয়াদে সম্পূর্ণ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশগুলো।
গৌতম আদানি (৫৯) এবং মুকেশ আম্বানি (৬৫) কয়লা এবং জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আগামী কয়েক দশকের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে সম্মিলিতভাবে ১৪২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন। যদিও তাঁদের এই ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের মূল ভিত্তি জীবাশ্ম-জ্বালানি। কিন্তু সংঘাত যখন চাহিদা বৃদ্ধির লাগাম ঢিলে করে দিচ্ছে তখন তাঁদের সেই উদ্যোগও হোঁচট খাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী কয়লার চাহিদা রেকর্ড বাড়বে এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের মার্চে শেষ হওয়া প্রথম প্রান্তিকের মুনাফায় ৩০ শতাংশ উল্লম্ফনে বড় ভূমিকা রেখেছে কয়লার ঊর্ধ্বমুখী বাজার। আগের ছয় প্রান্তিকের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ। আর পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে লাভ হয়েছে রিলায়েন্সের। তারাও সর্বোচ্চ ত্রৈমাসিক মুনাফার তথ্য দিয়েছে।
এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিলায়েন্স এবং আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম যথাক্রমে ১৯ শতাংশ এবং ৪২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। ওই সময় ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হয়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আদানির সম্পদ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ এখন প্রায় ১০৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময় আম্বানির সম্পদ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৯২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
অবশ্য যুদ্ধের বাজারে শুধু এই দুই ভারতীয় বিলিয়নিয়ারই লাভবান হচ্ছেন এমন নয়। মার্কিন তেল ও গ্যাস টাইকুন হ্যারল্ড হ্যাম, রিচার্ড কিন্ডার এবং মাইকেল এস. স্মিথ এবং ইন্দোনেশিয়ার লো টাক কওং, কয়লা খনি কোম্পানি পিটি বেয়ান রিসোর্সেসের বস—এরা সবাই এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ বাড়িয়েছেন।
রিলায়েন্সের আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে তেল পরিশোধন এবং পেট্রোকেমিক্যাল থেকে। মুকেশ আম্বানির প্রয়াত বাবা এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ২০০২ সালে উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি এটি পান। এরপর খুচরা ব্যবসা, টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগের বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে তেল-শোধনের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়েছেন।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ থেকে ভারত স্পট মার্কেটে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল উরাল ক্রুড কিনেছে। যদিও ভারতে রুশ তেলের সরবরাহ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই, এরপরও দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বারবার বলছে, ইউরোপের রুশ তেল কেনার তুলনায় তাদের আমদানি খুব কম এবং দেশের মোট জ্বালানি ব্যয়ের একটি ক্ষুদ্র অংশ। এই সুবিধাটির কারণে মুদ্রাস্ফীতির চাপের মধ্যে ভারত সরকার কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে। যেখানে এপ্রিলে ভারতে ভোগ্যপণ্যের দাম আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় ভারতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি রেকর্ড ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন ছিল। যেখানে ভারতে পরিশোধকেরা মার্চে ৩ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন টন ডিজেল রপ্তানি করেছে, যা ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। আর গ্যাসোলিন রপ্তানি পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে।
অপরদিকে গৌতম আদানি প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তা। কয়লাই তাঁর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের কেন্দ্র। তিনি ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার কয়লা খনিতে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে তাঁর কারমাইকেল খনি দীর্ঘদিন ধরে গ্রেটা থুনবার্গসহ পরিবেশবাদীদের সমালোচনার প্রধান লক্ষ্য হয়ে আছে। চলতি বছরই সেখান থেকে উত্তোলন শুরু হয়েছে।
গত ৪ মে আদানি এন্টারপ্রাইজ বলেছে, তারা ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে কারমাইকেল খনির বার্ষিক উত্তোলন সক্ষমতা ১৫ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে, যা বর্তমানের প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কয়লার বাজারকে আপাতত চাঙা রাখবে। তবে এটি কতক্ষণ স্থায়ী হবে তা বলা মুশকিল।
সম্প্রতি ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলার-নির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
১ মিনিট আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৮ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে