জেমস পিনডেল
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অশান্ত। ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএস) একটি শাখা গতকাল বৃহস্পতিবার কাবুলে হামলা করেছে। এতে মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে, যা উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান এই পরিস্থিতি বুঝতে তিনটি বিষয়ের প্রেক্ষাপট জানার পাশাপাশি দুটি দিকে গভীর নজর রাখা দরকার। প্রথমত, আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে হলেও, তারা এর ক্ষমতায় নেই। সেখানে সক্রিয় প্রতিটি পৃথক পক্ষের দিকে নজর রাখাটা খুবই কঠিন। পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। আর মনে রাখা দরকার এই রাজনৈতিক পালাবদল এমন একটি দেশে ঘটছে, যার সীমান্ত নিশ্ছিদ্র নয়।
আফগানিস্তানে কী ঘটছে, তা বোঝার জন্য পালাবদলের ধরনটি বোঝাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, মাত্র ১১ দিনের মধ্যে পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের কাছ থেকে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবান নিয়েছে। কিন্তু তারা এখনো সরকার গঠন করেনি। সবকিছুই হচ্ছে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে। সেখানে কোনো প্রেসিডেন্ট নেই। কয়েক দিনের মধ্যেই দেশটির প্রশাসনের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো আফগানিস্তান কোনো উন্নত দেশ নয়, যেখানে কয়েক স্তরের (নগর, রাজ্য, কেন্দ্রীয়) প্রশাসন থাকে, যারা সংকটকালে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও নীতি বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে কাজ করে। কিন্তু তালেবানের এমন কাঠামো নেই। তাই বিমানবন্দর ও এর আশপাশের একটি অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া চুক্তি রক্ষায় তালেবান আন্তরিক যদি হয়ও, তা রক্ষার সক্ষমতা তাদের নেই।
দ্বিতীয়ত, আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণের যে যুদ্ধ এখন আমরা দেখছি, তার এক পক্ষে আছে তালেবান ও আল-কায়েদা এবং অন্য পক্ষে আছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএসআইএস-কে)। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কিছুদিন আগে শুরু হওয়া আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি এখন এমন দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধে পরিণত হয়েছে, যাদের উভয়েই সন্ত্রাসী তকমা পেয়েছে।
এটা সবাই জানে, তালেবান সর্বশেষ ক্ষমতায় থাকার সময় আল-কায়েদাকে আশ্রয় দিয়েছিল। সেই ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর হামলা চালিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন, যা যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে এনেছিল মাঠে। আর তারা ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।
গত কয়েক বছরে ক্ষমতায় ফিরতে চাওয়া তালেবান নিজেদের সুর বদলেছে। তারা আল-কায়েদার সংশ্লেষ ত্যাগ করেছে। এমনকি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে তারা এই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে যে, তারা ক্ষমতায় এলে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন দেবে না। যদিও এই প্রতিশ্রুতি কখনোই সত্য ছিল না।
তালেবানের নেতৃত্ব পিরামিডের মতো নয়। তারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর একটি সমন্বয়, যাদের কিছু অংশ অন্যদের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের যে অংশ আলোচনা করেছিল, তারা তালেবানের সামরিকসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্ষমতাধর অংশটি থেকে একেবারেই আলাদা। এই অংশটিই হাক্কানি নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত, যারা বৃহত্তর তালেবানের চেয়ে আলাদা। এক দশকের বেশি সময় ধরে এদের কারণেই তালেবানের গায়ে সন্ত্রাসী তকমা সেঁটে ছিল।
কাবুলসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের নিরাপত্তার বিষয়টি এই হাক্কানি নেটওয়ার্ক দেখভাল করে। আল-কায়েদা ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক গভীর।
এখানেই আসছে আইএসআইএস প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক অভিযানের পর আল-কায়েদা থেকেই জন্ম নিয়েছিল আইএস, যাদের নেতা মনে করেন, আল-কায়েদা অনেক বেশি উদার। এই মনে করা থেকেই জন্ম হয় সহিংস গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট, যারা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া।
সে সময় ইরাকে যা ঘটেছিল, এখন আফগানিস্তানে তাই ঘটতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান যতবার সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে, প্রতিবারই তাকে পশ্চিমাদের কাছে ইসলামের পরাজয় হিসেবে দেখেছে ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখা আইএসআইএস-কে। তারা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে তখন, যখন তারা দেখল মার্কিন সেনাদের থেকে কয়েক পা দূরে বন্দুক হাতে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা একটি গুলি পর্যন্ত ছুড়ছে না।
কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হওয়া বিস্ফোরণের মাধ্যমে আইএস তালেবানকে এই বার্তা দিল যে, তারা আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেই এবং তাদের মার্কিনদের প্রতি আরও আগ্রাসী হওয়া জরুরি।
তৃতীয়ত, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র থাকুক আর না থাকুক এমন বিস্ফোরণ এখন হামেশাই ঘটার শঙ্কা রয়েছে। কোনো সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম না হলেও এই সত্যকে তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে, চলতি বছর আইএসআইএস-কে তালেবানের ওপর প্রচুর হামলা করেছে। তারা গুপ্তহত্যা করেছে। মসজিদগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি এই পরিস্থিতিতে পরিকল্পনার চেয়েও দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করে, তবে তালেবান হয়তো অনেক বেশি খুশি হবে। কিন্তু তখনো তাদের সামনে নিরাপত্তাজনিত এক দীর্ঘ লড়াই অপেক্ষায় থাকবে।
এবার আসা যাক যেদিকে গভীর নজর রাখতে হবে, সে দুটি বিষয়ের কাছে। প্রথমত, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন উঠেছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র কত দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। এখন ৩১ আগস্টের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের চলে আসা উচিত কিনা, সে প্রশ্নকে বেশ উদ্ভট মনে হচ্ছে। বরং প্রশ্নটি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কত দ্রুত দেশটি ছাড়তে পারবে। যত দ্রুত বিমানবন্দরে অপেক্ষারত লোকেদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে, তত দ্রুতই চলমান সহিংসতার আপাত সমাপ্তি ঘটবে। যারা এখন বিমানবন্দরে আছে, তারা আফগানিস্তান ছাড়বে। কিন্তু মার্কিন সরকার সাধারণ মানুষকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করেছে।
দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বাইডেন কী করেন, সেদিকে তাকিয়ে থাকা। বৃহস্পতিবারের হামলায় কতজন মার্কিন নিহত হয়েছে বা সম্ভাব্য পরবর্তী হামলায় আরও কতজন নিহত হবে, তা নিশ্চিত হওয়া এখনই হয়তো সম্ভব নয়। এই অবস্থায় আফগানিস্তানের এই শেষ কয়েক দিনকে বাইডেন সবচেয়ে ভয়াবহ ও বিশৃঙ্খল আখ্যা দিয়ে অন্য দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন। আবার উল্টোটাও হতে পারে। কারণ, এরই মধ্যে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জেনারেল কেন ম্যাকেনজি বলেছেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা যদি আমরা জানতে পারি, তবে হ্যাঁ আমরা অবশ্যই এর প্রত্যুত্তর দেব। আর আমরা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই তাদের খুঁজছি।’
তাই আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধ শেষ হলেও সেখানে মার্কিন সম্পৃক্ততার শেষ হওয়ার গল্পটি একেবারেই আলাদা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম বোস্টন গ্লোবে প্রকাশিত জেমস পিনডেলের এই বিশ্লেষণ ইংরেজি থেকে অনূদিত
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অশান্ত। ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএস) একটি শাখা গতকাল বৃহস্পতিবার কাবুলে হামলা করেছে। এতে মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে, যা উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান এই পরিস্থিতি বুঝতে তিনটি বিষয়ের প্রেক্ষাপট জানার পাশাপাশি দুটি দিকে গভীর নজর রাখা দরকার। প্রথমত, আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে হলেও, তারা এর ক্ষমতায় নেই। সেখানে সক্রিয় প্রতিটি পৃথক পক্ষের দিকে নজর রাখাটা খুবই কঠিন। পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। আর মনে রাখা দরকার এই রাজনৈতিক পালাবদল এমন একটি দেশে ঘটছে, যার সীমান্ত নিশ্ছিদ্র নয়।
আফগানিস্তানে কী ঘটছে, তা বোঝার জন্য পালাবদলের ধরনটি বোঝাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, মাত্র ১১ দিনের মধ্যে পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের কাছ থেকে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবান নিয়েছে। কিন্তু তারা এখনো সরকার গঠন করেনি। সবকিছুই হচ্ছে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে। সেখানে কোনো প্রেসিডেন্ট নেই। কয়েক দিনের মধ্যেই দেশটির প্রশাসনের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো আফগানিস্তান কোনো উন্নত দেশ নয়, যেখানে কয়েক স্তরের (নগর, রাজ্য, কেন্দ্রীয়) প্রশাসন থাকে, যারা সংকটকালে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও নীতি বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে কাজ করে। কিন্তু তালেবানের এমন কাঠামো নেই। তাই বিমানবন্দর ও এর আশপাশের একটি অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া চুক্তি রক্ষায় তালেবান আন্তরিক যদি হয়ও, তা রক্ষার সক্ষমতা তাদের নেই।
দ্বিতীয়ত, আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণের যে যুদ্ধ এখন আমরা দেখছি, তার এক পক্ষে আছে তালেবান ও আল-কায়েদা এবং অন্য পক্ষে আছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএসআইএস-কে)। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কিছুদিন আগে শুরু হওয়া আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটি এখন এমন দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধে পরিণত হয়েছে, যাদের উভয়েই সন্ত্রাসী তকমা পেয়েছে।
এটা সবাই জানে, তালেবান সর্বশেষ ক্ষমতায় থাকার সময় আল-কায়েদাকে আশ্রয় দিয়েছিল। সেই ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে ২০০১ সালের ১ সেপ্টেম্বর হামলা চালিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন, যা যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে এনেছিল মাঠে। আর তারা ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।
গত কয়েক বছরে ক্ষমতায় ফিরতে চাওয়া তালেবান নিজেদের সুর বদলেছে। তারা আল-কায়েদার সংশ্লেষ ত্যাগ করেছে। এমনকি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে তারা এই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে যে, তারা ক্ষমতায় এলে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন দেবে না। যদিও এই প্রতিশ্রুতি কখনোই সত্য ছিল না।
তালেবানের নেতৃত্ব পিরামিডের মতো নয়। তারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর একটি সমন্বয়, যাদের কিছু অংশ অন্যদের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের যে অংশ আলোচনা করেছিল, তারা তালেবানের সামরিকসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্ষমতাধর অংশটি থেকে একেবারেই আলাদা। এই অংশটিই হাক্কানি নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত, যারা বৃহত্তর তালেবানের চেয়ে আলাদা। এক দশকের বেশি সময় ধরে এদের কারণেই তালেবানের গায়ে সন্ত্রাসী তকমা সেঁটে ছিল।
কাবুলসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের নিরাপত্তার বিষয়টি এই হাক্কানি নেটওয়ার্ক দেখভাল করে। আল-কায়েদা ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক গভীর।
এখানেই আসছে আইএসআইএস প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক অভিযানের পর আল-কায়েদা থেকেই জন্ম নিয়েছিল আইএস, যাদের নেতা মনে করেন, আল-কায়েদা অনেক বেশি উদার। এই মনে করা থেকেই জন্ম হয় সহিংস গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট, যারা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া।
সে সময় ইরাকে যা ঘটেছিল, এখন আফগানিস্তানে তাই ঘটতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান যতবার সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে, প্রতিবারই তাকে পশ্চিমাদের কাছে ইসলামের পরাজয় হিসেবে দেখেছে ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখা আইএসআইএস-কে। তারা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে তখন, যখন তারা দেখল মার্কিন সেনাদের থেকে কয়েক পা দূরে বন্দুক হাতে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা একটি গুলি পর্যন্ত ছুড়ছে না।
কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হওয়া বিস্ফোরণের মাধ্যমে আইএস তালেবানকে এই বার্তা দিল যে, তারা আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেই এবং তাদের মার্কিনদের প্রতি আরও আগ্রাসী হওয়া জরুরি।
তৃতীয়ত, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র থাকুক আর না থাকুক এমন বিস্ফোরণ এখন হামেশাই ঘটার শঙ্কা রয়েছে। কোনো সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম না হলেও এই সত্যকে তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে, চলতি বছর আইএসআইএস-কে তালেবানের ওপর প্রচুর হামলা করেছে। তারা গুপ্তহত্যা করেছে। মসজিদগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি এই পরিস্থিতিতে পরিকল্পনার চেয়েও দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করে, তবে তালেবান হয়তো অনেক বেশি খুশি হবে। কিন্তু তখনো তাদের সামনে নিরাপত্তাজনিত এক দীর্ঘ লড়াই অপেক্ষায় থাকবে।
এবার আসা যাক যেদিকে গভীর নজর রাখতে হবে, সে দুটি বিষয়ের কাছে। প্রথমত, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন উঠেছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র কত দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। এখন ৩১ আগস্টের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের চলে আসা উচিত কিনা, সে প্রশ্নকে বেশ উদ্ভট মনে হচ্ছে। বরং প্রশ্নটি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কত দ্রুত দেশটি ছাড়তে পারবে। যত দ্রুত বিমানবন্দরে অপেক্ষারত লোকেদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে, তত দ্রুতই চলমান সহিংসতার আপাত সমাপ্তি ঘটবে। যারা এখন বিমানবন্দরে আছে, তারা আফগানিস্তান ছাড়বে। কিন্তু মার্কিন সরকার সাধারণ মানুষকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করেছে।
দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বাইডেন কী করেন, সেদিকে তাকিয়ে থাকা। বৃহস্পতিবারের হামলায় কতজন মার্কিন নিহত হয়েছে বা সম্ভাব্য পরবর্তী হামলায় আরও কতজন নিহত হবে, তা নিশ্চিত হওয়া এখনই হয়তো সম্ভব নয়। এই অবস্থায় আফগানিস্তানের এই শেষ কয়েক দিনকে বাইডেন সবচেয়ে ভয়াবহ ও বিশৃঙ্খল আখ্যা দিয়ে অন্য দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন। আবার উল্টোটাও হতে পারে। কারণ, এরই মধ্যে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জেনারেল কেন ম্যাকেনজি বলেছেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা যদি আমরা জানতে পারি, তবে হ্যাঁ আমরা অবশ্যই এর প্রত্যুত্তর দেব। আর আমরা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই তাদের খুঁজছি।’
তাই আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধ শেষ হলেও সেখানে মার্কিন সম্পৃক্ততার শেষ হওয়ার গল্পটি একেবারেই আলাদা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম বোস্টন গ্লোবে প্রকাশিত জেমস পিনডেলের এই বিশ্লেষণ ইংরেজি থেকে অনূদিত
ইউক্রেনের ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র সারা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও, রাশিয়ার এ ধরনের আক্রমণকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে—যেমনটি ইসরায়েল উত্তর গাজাকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প ফিরে আসায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের ধারাবাহিকতাই বজায় থাকতে পারে, সামান্য কিছু পরিবর্তন নিয়ে। ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পেছনের সারিতে থাকলেও বাংলাদেশ,
৬ ঘণ্টা আগেড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন পুরো জাতি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে তাঁকে পরিষ্কারভাবে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে যে, তিনি কীভাবে দেশ শাসন করবেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
১ দিন আগেসম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
২ দিন আগে