অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট কারচুপি মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে দ্রুত রায় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন কয়েকজন কৌঁসুলিদের মতে, এতে ট্রাম্পের বিচার বিলম্বিত হতে পারে। বিবিসিকে তারা বলেন, বারবার চ্যালেঞ্জ দায়েরের এই কৌশল কেবল ট্রাম্পের অনিবার্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিকেই পিছিয়ে দেবে। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর সময়সীমার ক্ষেত্রেও ঝামেলায় পড়তে পারেন ট্রাম্প।
তবে, এর বিপক্ষেও মত রয়েছে। বিচার বিলম্বের কৌশল ট্রাম্পের জন্য সাপেবর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভোটের কারচুপি মামলার বিচার থেকে ট্রাম্পের রেহাই পাবেন কিনা, সে বিষয়ে রায় দিতে গতকাল শুক্রবার অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বিচারপতিরা। বিষয়টি দ্রুত আমলে নেওয়ার জন্য বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ অনুরোধ করলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ইস্যুটি প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেননি সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের কার্যালয়ের জন্য বড় এক ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি তার কার্যালয়।
এই বিচার কত দিন পিছিয়ে যাবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনেরও পেছনে চলে যাবে কিনা এই বিচার, তাও বলা যাচ্ছে না। আগামী বছরের নভেম্বরে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন পেতে এখন লড়ছেন ট্রাম্প।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত আগস্টে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছিলেন বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। দ্রুত এই মামলা নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার সপক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, আপিলের এই প্রক্রিয়ায় বিচার শুরু হতে বিলম্ব হতে পারে। আগামী ৪ মার্চ এই বিচার শুরু হওয়ার কথা।
শুক্রবারের রায়ের অর্থ হচ্ছে—মার্কিন আপিল আদালতকে প্রথমে মামলাটি শুনতে হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টকে শেষ পর্যন্ত যেভাবেই হোক একটি রায় দিতেই হবে।
বিচারক তানিয়া চুটকান মামলার কার্যধারা স্থগিত করেছেন। তিনি বারবার বলেছেন যে, দাঙ্গার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সাংবিধানিক দায়িত্বে ছিলেন বলে তার বিচার থেকে রেহাই পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মার্কিন বিচার বিভাগে কয়েক দশক কাজ করা অভিজ্ঞ প্রাক্তন কৌঁসুলি জিন রসির কাছে সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত জ্যাক স্মিথের জন্য বিশাল এক ধাক্কা। তিনি বলেন, ট্রাম্পের রেহাই পাওয়ার আবেদন খুব একটা শক্তিশালী নয়। তবুও বেশ কয়েক মাস তাকে ক্যাপিটল হিল সম্পর্কিত কিছু শুনতে হবে না।
জিন রসির মতে, এই বিচার শেষ পর্যন্ত জুলাইয়ের শেষের দিকে বা আগস্টের শুরু পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়ে রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনের কাছাকাছি সময়েই হতে পারে। আসছে বছরের ১৫ জুলাই থেকে শুরু হবে রিপাবলিকানদের ন্যাশনাল কনভেনশন।
তিনি বলেন, এতে করে সময়সূচিতে জগাখিচুড়ি হবে। বিচারের সময় যদি বিচারক ভাবেন যে, ট্রাম্প একজন বিদ্রোহী, সেটা তার (ট্রাম্প) জন্য ভালো হবে না। ট্রাম্প কেবল তার অনিবার্য পরিণতিকেই বিলম্বিত করছেন।
আরেক প্রাক্তন কৌঁসুলি এবং কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কেভিন ম্যাকমুনিগাল সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে অবাক হননি। এতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে বিলম্ব হবে কিনা তা নিয়েও তিনি নিশ্চিত নন।
তবে প্রাক্তন কৌঁসুলি গ্রেগরি ওয়ালেস সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্পের জয় হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, এটা ট্রাম্পের জয়। কিন্তু ৬ জানুয়ারির ঘটনার (ক্যাপিটল হিল দাঙ্গা) ব্যাপারে তার রেহাই পাওয়ার আবেদন মামলার বিচারকার্যকে সামনের বছরের নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে কিনা, তার ওপর নির্ভর করেই বলা যাবে এটা ট্রাম্পের কত বড় জয়।
ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক কার্ল টোবিয়াস বিবিসিকে বলেন, ট্রাম্পের বিলম্ব কৌশল কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। যা কিছু হচ্ছে তাতে অনেক সময় লেগে যাবে। এবং মার্চের প্রথম দিকে বিচারক চুটকানের সামনে বিচার শুরু করার প্রচেষ্টাকেও জটিল করে তুলবে।
আগামী ৯ জানুয়ারি ডিসি সার্কিট কোর্টে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচন অবমাননার দুটি অভিযোগের একটি এই মামলা। আরও দুটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। একটি হচ্ছে গোপন নথি সংক্রান্ত মামলা, অপরটি টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার সঙ্গে যুক্ত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট কারচুপি মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে দ্রুত রায় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন কয়েকজন কৌঁসুলিদের মতে, এতে ট্রাম্পের বিচার বিলম্বিত হতে পারে। বিবিসিকে তারা বলেন, বারবার চ্যালেঞ্জ দায়েরের এই কৌশল কেবল ট্রাম্পের অনিবার্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিকেই পিছিয়ে দেবে। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর সময়সীমার ক্ষেত্রেও ঝামেলায় পড়তে পারেন ট্রাম্প।
তবে, এর বিপক্ষেও মত রয়েছে। বিচার বিলম্বের কৌশল ট্রাম্পের জন্য সাপেবর হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভোটের কারচুপি মামলার বিচার থেকে ট্রাম্পের রেহাই পাবেন কিনা, সে বিষয়ে রায় দিতে গতকাল শুক্রবার অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বিচারপতিরা। বিষয়টি দ্রুত আমলে নেওয়ার জন্য বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ অনুরোধ করলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ইস্যুটি প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেননি সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের কার্যালয়ের জন্য বড় এক ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি তার কার্যালয়।
এই বিচার কত দিন পিছিয়ে যাবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনেরও পেছনে চলে যাবে কিনা এই বিচার, তাও বলা যাচ্ছে না। আগামী বছরের নভেম্বরে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন পেতে এখন লড়ছেন ট্রাম্প।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত আগস্টে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছিলেন বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। দ্রুত এই মামলা নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার সপক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, আপিলের এই প্রক্রিয়ায় বিচার শুরু হতে বিলম্ব হতে পারে। আগামী ৪ মার্চ এই বিচার শুরু হওয়ার কথা।
শুক্রবারের রায়ের অর্থ হচ্ছে—মার্কিন আপিল আদালতকে প্রথমে মামলাটি শুনতে হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টকে শেষ পর্যন্ত যেভাবেই হোক একটি রায় দিতেই হবে।
বিচারক তানিয়া চুটকান মামলার কার্যধারা স্থগিত করেছেন। তিনি বারবার বলেছেন যে, দাঙ্গার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সাংবিধানিক দায়িত্বে ছিলেন বলে তার বিচার থেকে রেহাই পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মার্কিন বিচার বিভাগে কয়েক দশক কাজ করা অভিজ্ঞ প্রাক্তন কৌঁসুলি জিন রসির কাছে সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত জ্যাক স্মিথের জন্য বিশাল এক ধাক্কা। তিনি বলেন, ট্রাম্পের রেহাই পাওয়ার আবেদন খুব একটা শক্তিশালী নয়। তবুও বেশ কয়েক মাস তাকে ক্যাপিটল হিল সম্পর্কিত কিছু শুনতে হবে না।
জিন রসির মতে, এই বিচার শেষ পর্যন্ত জুলাইয়ের শেষের দিকে বা আগস্টের শুরু পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়ে রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনের কাছাকাছি সময়েই হতে পারে। আসছে বছরের ১৫ জুলাই থেকে শুরু হবে রিপাবলিকানদের ন্যাশনাল কনভেনশন।
তিনি বলেন, এতে করে সময়সূচিতে জগাখিচুড়ি হবে। বিচারের সময় যদি বিচারক ভাবেন যে, ট্রাম্প একজন বিদ্রোহী, সেটা তার (ট্রাম্প) জন্য ভালো হবে না। ট্রাম্প কেবল তার অনিবার্য পরিণতিকেই বিলম্বিত করছেন।
আরেক প্রাক্তন কৌঁসুলি এবং কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কেভিন ম্যাকমুনিগাল সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে অবাক হননি। এতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে বিলম্ব হবে কিনা তা নিয়েও তিনি নিশ্চিত নন।
তবে প্রাক্তন কৌঁসুলি গ্রেগরি ওয়ালেস সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্পের জয় হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, এটা ট্রাম্পের জয়। কিন্তু ৬ জানুয়ারির ঘটনার (ক্যাপিটল হিল দাঙ্গা) ব্যাপারে তার রেহাই পাওয়ার আবেদন মামলার বিচারকার্যকে সামনের বছরের নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে কিনা, তার ওপর নির্ভর করেই বলা যাবে এটা ট্রাম্পের কত বড় জয়।
ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক কার্ল টোবিয়াস বিবিসিকে বলেন, ট্রাম্পের বিলম্ব কৌশল কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। যা কিছু হচ্ছে তাতে অনেক সময় লেগে যাবে। এবং মার্চের প্রথম দিকে বিচারক চুটকানের সামনে বিচার শুরু করার প্রচেষ্টাকেও জটিল করে তুলবে।
আগামী ৯ জানুয়ারি ডিসি সার্কিট কোর্টে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচন অবমাননার দুটি অভিযোগের একটি এই মামলা। আরও দুটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। একটি হচ্ছে গোপন নথি সংক্রান্ত মামলা, অপরটি টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার সঙ্গে যুক্ত।
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
১৩ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
২১ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে