রিমেল সরকার
শাস্ত্রীয় সংগীত এক অনন্য জগৎ, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বিশিষ্ট সব ঘরানা। রাগ– রাগিণীর সুরে যে জগৎ পারে পাষাণের ঘুম ভাঙাতে, সে সংগীতের ধারাকে বলা হয় ‘দ্য হায়েস্ট ফরম অব মিউজিক’। সেই ধারাকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের এক শিল্পী। বলছি সংগীতাচার্য আলী এফ. এম. রেজওয়ান এর কথা।
গোয়ালিয়র-জয়পুর-আগ্রা ঘরানার এই শিল্পী প্রথম এবং একমাত্র অভারতীয় যিনি অখিল ভারতীয় গান্ধর্ব মহাবিদ্যালয় মণ্ডলের মর্যাদাপূর্ণ ‘সংগীতাচার্য’ উপাধি অর্জন করেছেন। এই উপাধিটি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদেরই দেওয়া হয়। এই মূল্যায়ন পরীক্ষায় তিনি ৫৬টি দুর্লভ রাগ নিয়ে তিন ঘণ্টার একটি পরিবেশনা উপস্থাপন করে আটটি স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন।
প্রথম যেবার মহান এই শিল্পীর সাক্ষাৎ পাই, তখন আমি অষ্টম বা নবম শ্রেণিতে পড়ি। অর্ক দার হাত ধরে সেই প্রথম গুরুজির কাছে যাওয়া। আজও মনে হয়, এই বিশেষ কারণে অর্ক দার প্রতি আমি চিরঋণী। গুরুজিকে প্রথমে কেবল একজন শিল্পী হিসেবেই জানতাম। কিন্তু তাঁর সান্নিধ্য যতই বাড়তে লাগল, ততই বুঝতে পারলাম তাঁর পরিধি— তিনি কেবল শিল্পী নন, আপাদমস্তক নন্দন, দর্শন, সংগীত।
গুরুজি যেদিন আমায় পুড়িয়া রাগের তালিম দিচ্ছিলেন, সেদিন বুঝেছিলাম তিনি এক ঐশ্বরিক তীব্র মধ্যম গাইতে পারেন। কত তাবড় তাবড় শিল্পীর খেয়াল শুনি কিন্তু গুরুজির মতো ভরাট আর অত্যাশ্চর্য তীব্র মধ্যম গাইতে কাউকে শুনিনি। এই তীব্র মধ্যম আমাকে বারবার বিষাদময় করে তোলে। তাঁর তীব্র মধ্যম গাইবার সময় ভাবি, অমন সুর কেমন করে আসে? এই সুর যেমন প্রাণ সঞ্চার করে তেমনি হৃদয়ে বিষাদের ছোঁয়া দেয়। গুরুজি শুধু সুর শেখান না। তিনি সুরকে প্রাণবন্ত করেন, দেখান কীভাবে প্রতিটি সুর বাতাসের মধ্যে ছবির সৃষ্টি করে। সুর কি শেখানো যায়? সুর তো চেনানো যায় কেবল। একবার গুরুজি নন্দন নিয়ে বলছিলেন, বোঝাচ্ছিলেন সুরকে কেমন করে আঁকতে হয়।
১৯৬৪ সালে মাগুরায় এ. বি. লুৎফি আলীর ষষ্ঠ সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করা ড. রেজওয়ানের সংগীতযাত্রা শুরু হয়েছিল এক সাধারণ পরিবেশে, ভোলানাথ ভট্টাচার্যের কাছে। সংগীতের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও জ্ঞানের তৃষ্ণা তাঁকে ভারত সরকারের আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি গোয়ালিয়র ঘরানায় পণ্ডিত নারায়ণ পাটওয়ারধন রাও, পণ্ডিত অনিলভাই বৈষ্ণব, পণ্ডিত শিকানাথ গারগে, পণ্ডিত দ্বারকানাথ ভোঁসলে এবং পণ্ডিত ঈশ্বরভাই যাদবের মতো দিকপালদের কাছে তালিম নেন। পাশাপাশি তিনি জয়পুর ঘরানায় সুভদা দেশাই ও কিরানা ঘরানার পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলাল বাপটের কাছে শিক্ষালাভ করেন।
পরবর্তীতে তিনি তাঁর সাধনা আরও গভীর করেন নৌহর বাণী ধ্রুপদে পণ্ডিত হরিশচন্দ্র চতুর্বেদীর কাছে তালিম নিয়ে এবং আগ্রা ঘরানায় বিদুষী কল্পনা ভট্টাচার্যের কাছ থেকে। মুম্বাইয়ে গবেষণার সময় তিনি পণ্ডিত ভি. আর. আথাওয়ালে, পণ্ডিত অরুণ কাশালকার এবং পণ্ডিত সুধীর এইচ. পোটের কাছে তালিম নিয়ে নিজের শৈলী গড়ে তোলেন। এই সংগীত শিক্ষা ঐতিহ্যের দৃঢ়তা এবং শিল্পীর উদ্ভাবনী চেতনার মিশ্রণ হয়ে দাঁড়ায়।
অসাধারণ সাফল্য সত্ত্বেও ড. রেজওয়ান নিজ দেশে অবহেলিত। যেখানে ভারত তাঁকে সংগীতাচার্য উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, সেখানে বাংলাদেশ এই কীর্তিকে যথাযথ মর্যাদা দেয়নি। এই উপেক্ষা দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি বৃহত্তর অবহেলার প্রতিফলন।
বাংলাদেশি হিসেবে আমার কাছে এটি গর্বের পাশাপাশি বেদনারও। এক সংগীতজ্ঞ এত কিছু অর্জন করেছেন অথচ নিজ দেশে তা উদ্যাপিত হয়নি। তিনি শুধু একজন সংগীতজ্ঞই নন, তিনি একজন দার্শনিক, গবেষক এবং মানবতাবাদী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অতিথি গুরু হিসেবে তিনি নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীদের গড়ে তুলছেন। তাঁর লেখা ‘রাগ সন্দর্শন’ এবং বাংলাদেশের লোকসংগীতে রাগের প্রভাব নিয়ে তাঁর গবেষণা শাস্ত্রীয় এবং লোক ঐতিহ্যের মধ্যে এক সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।
ড. আলী এফ. এম. রেজওয়ান শুধু একজন শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ নন; তিনি সংগীতের সেই সামগ্রিক ক্ষমতার উদাহরণ, যা ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক সীমানা অতিক্রম করতে সক্ষম। তাঁর জীবন ও কাজ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শিল্প সর্বজনীন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীরা কোনো একক দেশের অন্তর্গত নন, তাঁরা পুরো বিশ্বের সম্পদ।
গুরুজি আমাদের শিখিয়েছেন, সংগীতের সারকথা শুধু দক্ষতা অর্জন নয়, বরং অর্থের নিরন্তর অনুসন্ধানে নিহিত। এমন মানুষ বাংলা আর পাবে কিনা জানি না। আমরা যাঁরা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে নয় গুরু হিসেবে পেয়েছি, স্রষ্টা বোধ হয় আমাদের বেশিই ভালোবাসেন।
শাস্ত্রীয় সংগীত এক অনন্য জগৎ, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বিশিষ্ট সব ঘরানা। রাগ– রাগিণীর সুরে যে জগৎ পারে পাষাণের ঘুম ভাঙাতে, সে সংগীতের ধারাকে বলা হয় ‘দ্য হায়েস্ট ফরম অব মিউজিক’। সেই ধারাকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের এক শিল্পী। বলছি সংগীতাচার্য আলী এফ. এম. রেজওয়ান এর কথা।
গোয়ালিয়র-জয়পুর-আগ্রা ঘরানার এই শিল্পী প্রথম এবং একমাত্র অভারতীয় যিনি অখিল ভারতীয় গান্ধর্ব মহাবিদ্যালয় মণ্ডলের মর্যাদাপূর্ণ ‘সংগীতাচার্য’ উপাধি অর্জন করেছেন। এই উপাধিটি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদেরই দেওয়া হয়। এই মূল্যায়ন পরীক্ষায় তিনি ৫৬টি দুর্লভ রাগ নিয়ে তিন ঘণ্টার একটি পরিবেশনা উপস্থাপন করে আটটি স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন।
প্রথম যেবার মহান এই শিল্পীর সাক্ষাৎ পাই, তখন আমি অষ্টম বা নবম শ্রেণিতে পড়ি। অর্ক দার হাত ধরে সেই প্রথম গুরুজির কাছে যাওয়া। আজও মনে হয়, এই বিশেষ কারণে অর্ক দার প্রতি আমি চিরঋণী। গুরুজিকে প্রথমে কেবল একজন শিল্পী হিসেবেই জানতাম। কিন্তু তাঁর সান্নিধ্য যতই বাড়তে লাগল, ততই বুঝতে পারলাম তাঁর পরিধি— তিনি কেবল শিল্পী নন, আপাদমস্তক নন্দন, দর্শন, সংগীত।
গুরুজি যেদিন আমায় পুড়িয়া রাগের তালিম দিচ্ছিলেন, সেদিন বুঝেছিলাম তিনি এক ঐশ্বরিক তীব্র মধ্যম গাইতে পারেন। কত তাবড় তাবড় শিল্পীর খেয়াল শুনি কিন্তু গুরুজির মতো ভরাট আর অত্যাশ্চর্য তীব্র মধ্যম গাইতে কাউকে শুনিনি। এই তীব্র মধ্যম আমাকে বারবার বিষাদময় করে তোলে। তাঁর তীব্র মধ্যম গাইবার সময় ভাবি, অমন সুর কেমন করে আসে? এই সুর যেমন প্রাণ সঞ্চার করে তেমনি হৃদয়ে বিষাদের ছোঁয়া দেয়। গুরুজি শুধু সুর শেখান না। তিনি সুরকে প্রাণবন্ত করেন, দেখান কীভাবে প্রতিটি সুর বাতাসের মধ্যে ছবির সৃষ্টি করে। সুর কি শেখানো যায়? সুর তো চেনানো যায় কেবল। একবার গুরুজি নন্দন নিয়ে বলছিলেন, বোঝাচ্ছিলেন সুরকে কেমন করে আঁকতে হয়।
১৯৬৪ সালে মাগুরায় এ. বি. লুৎফি আলীর ষষ্ঠ সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করা ড. রেজওয়ানের সংগীতযাত্রা শুরু হয়েছিল এক সাধারণ পরিবেশে, ভোলানাথ ভট্টাচার্যের কাছে। সংগীতের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও জ্ঞানের তৃষ্ণা তাঁকে ভারত সরকারের আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি গোয়ালিয়র ঘরানায় পণ্ডিত নারায়ণ পাটওয়ারধন রাও, পণ্ডিত অনিলভাই বৈষ্ণব, পণ্ডিত শিকানাথ গারগে, পণ্ডিত দ্বারকানাথ ভোঁসলে এবং পণ্ডিত ঈশ্বরভাই যাদবের মতো দিকপালদের কাছে তালিম নেন। পাশাপাশি তিনি জয়পুর ঘরানায় সুভদা দেশাই ও কিরানা ঘরানার পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলাল বাপটের কাছে শিক্ষালাভ করেন।
পরবর্তীতে তিনি তাঁর সাধনা আরও গভীর করেন নৌহর বাণী ধ্রুপদে পণ্ডিত হরিশচন্দ্র চতুর্বেদীর কাছে তালিম নিয়ে এবং আগ্রা ঘরানায় বিদুষী কল্পনা ভট্টাচার্যের কাছ থেকে। মুম্বাইয়ে গবেষণার সময় তিনি পণ্ডিত ভি. আর. আথাওয়ালে, পণ্ডিত অরুণ কাশালকার এবং পণ্ডিত সুধীর এইচ. পোটের কাছে তালিম নিয়ে নিজের শৈলী গড়ে তোলেন। এই সংগীত শিক্ষা ঐতিহ্যের দৃঢ়তা এবং শিল্পীর উদ্ভাবনী চেতনার মিশ্রণ হয়ে দাঁড়ায়।
অসাধারণ সাফল্য সত্ত্বেও ড. রেজওয়ান নিজ দেশে অবহেলিত। যেখানে ভারত তাঁকে সংগীতাচার্য উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, সেখানে বাংলাদেশ এই কীর্তিকে যথাযথ মর্যাদা দেয়নি। এই উপেক্ষা দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি বৃহত্তর অবহেলার প্রতিফলন।
বাংলাদেশি হিসেবে আমার কাছে এটি গর্বের পাশাপাশি বেদনারও। এক সংগীতজ্ঞ এত কিছু অর্জন করেছেন অথচ নিজ দেশে তা উদ্যাপিত হয়নি। তিনি শুধু একজন সংগীতজ্ঞই নন, তিনি একজন দার্শনিক, গবেষক এবং মানবতাবাদী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অতিথি গুরু হিসেবে তিনি নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীদের গড়ে তুলছেন। তাঁর লেখা ‘রাগ সন্দর্শন’ এবং বাংলাদেশের লোকসংগীতে রাগের প্রভাব নিয়ে তাঁর গবেষণা শাস্ত্রীয় এবং লোক ঐতিহ্যের মধ্যে এক সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।
ড. আলী এফ. এম. রেজওয়ান শুধু একজন শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ নন; তিনি সংগীতের সেই সামগ্রিক ক্ষমতার উদাহরণ, যা ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক সীমানা অতিক্রম করতে সক্ষম। তাঁর জীবন ও কাজ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শিল্প সর্বজনীন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পীরা কোনো একক দেশের অন্তর্গত নন, তাঁরা পুরো বিশ্বের সম্পদ।
গুরুজি আমাদের শিখিয়েছেন, সংগীতের সারকথা শুধু দক্ষতা অর্জন নয়, বরং অর্থের নিরন্তর অনুসন্ধানে নিহিত। এমন মানুষ বাংলা আর পাবে কিনা জানি না। আমরা যাঁরা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে নয় গুরু হিসেবে পেয়েছি, স্রষ্টা বোধ হয় আমাদের বেশিই ভালোবাসেন।
লাতিন আমেরিকার বিখ্যাত ঔপন্যাসিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের জন্মদিন আজ। ১৯২৭ সালের আজকের এই দিনে, অর্থাৎ ৬ মার্চ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার অ্যারাকাতাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মার্কেজ তাঁর লেখায় ‘নিঃসঙ্গতা’ ফুটিয়ে তোলার জন্য বিখ্যাত।
২৪ দিন আগেআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত হয়েছে ইউনেস্কো বই প্রদর্শনী-২০২৫। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই প্রদর্শনী হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এহ্সান জন্ম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার করপাড়ায়, বেড়ে ওঠা বারুয়াখালীতে। পড়েছেন মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে, পরে ঢাকা কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। ক্যাম্পাসে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে। পেশা শুরু এনজিওতে অনুবাদক হিসেবে, বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকে কর্মরত। অবসরের চর্চার বিষয় জাপানি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫অমর একুশে বইমেলা-২০২৫-এ মোড়ক উন্মোচন হলো সরোজ মেহেদীর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘মায়াজাল’-এর। কবি, কথাসাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. সুমন রহমান বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় তিনি লেখককে শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘মায়াজাল’ বইটি পাঠকের...
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫