এম আবদুল আলীম
বিদ্যাসাগরচরিত রচনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মন্তব্য করেছিলেন, ‘মাঝে মাঝে বিধাতার নিয়মের এরূপ আশ্চর্য ব্যতিক্রম হয় কেন, বিশ্বকর্মা যেখানে চার কোটি বাঙালি নির্মাণ করিতেছিলেন, সেখানে হঠাৎ দুই-একজন মানুষ গড়িয়া বসেন কেন, তাহা বলা কঠিন।’ বঙ্গবন্ধুচরিত সম্পর্কেও এ কথা খাটে। বিধাতার নিয়মের আশ্চর্য ব্যতিক্রম হিসেবে পূর্ববঙ্গের সাত কোটি বাঙালির মধ্যে শেখ মুজিবের মতো মহান ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। যাঁর নেতৃত্বে বহু শতাব্দীর পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে এ অঞ্চলের মানুষ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ পথ সহজ ছিল না। যুগে যুগে এ মাটিতে অনেক বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। তাঁদের ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। কিন্তু বাঙালির জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গৌরব কেউ অর্জন করতে পারেননি। এখানেই বঙ্গবন্ধু তাঁদের থেকে আলাদা। ভাষার লড়াই থেকে স্বাধিকার-সংগ্রাম, অতঃপর মুক্তিযুদ্ধ; অবর্ণনীয় কষ্ট ও দীর্ঘ সংগ্রামের পথ অতিক্রম করে, রক্তসমুদ্র পাড়ি দিয়ে তিনি বাঙালিকে এনে দিয়েছেন লাল-সবুজের পতাকাসংবলিত স্বাধীন ভূখণ্ড। কেবল স্বাধীনতা অর্জনই নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি উপহার দিয়েছেন একটি আদর্শ সংবিধান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিষ্ঠা করেন দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি। এই মহান নেতাকে নিয়ে রচিত ও সম্পাদিত হয়েছে অসংখ্য গ্রন্থ। যার মধ্যে ড. মযহারুল ইসলামের বৃহৎকলেবর গ্রন্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু-তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পাদিত কয়েক সহস্র পৃষ্ঠার পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনও রয়েছে। তাঁর জন্মশতবর্ষ-স্মরণে প্রকাশিত হয়েছে শত শত বই। তবে সেগুলোর অধিকাংশেই তথ্যবিভ্রাট, স্তুতি-বন্দনা এবং পুনরাবৃত্তির গোলকধাঁধায় বঙ্গবন্ধুর মহাজীবনকে যেন পাওয়া যাচ্ছিল না। দরকার ছিল এমন একটি গ্রন্থের, যাতে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর জীবন সামগ্রিকভাবে ধরা পড়বে। অবশেষে সেই অভাব পূরণ করতে হিস্ট্রি এন্ড কালচার সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড সম্প্রতি প্রকাশ করেছে মুজিবপিডিয়া নামক মহাগ্রন্থ। গ্রন্থটির প্রধান সম্পাদক কামাল চৌধুরী, সম্পাদক ফরিদ কবির, নির্বাহী সম্পাদক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। ডিমাই সাইজের দুই খণ্ডের বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা দুই হাজার। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী আনিসুজ্জামান সোহেল। মূল্য আট হাজার টাকা।
প্রায় এক শ জন গবেষকের ৫৯১টি ভুক্তি এবং সাড়ে সাত শ আলোকচিত্র ও মনোগ্রাম দ্বারা গ্রন্থটি বিন্যস্ত। গ্রন্থের ভুক্তিগুলো রচনা করেছেন বাংলাদেশের খ্যতিমান গবেষক, ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ; যেগুলো পাঠে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। সম্পাদনাতেও রয়েছে দক্ষতা ও প্রজ্ঞার ছাপ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিজীবন ও পরিবারসংক্রান্ত ভুক্তিগুলো সম্পাদনা ও সংশোধন করেছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ গ্রন্থে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল অবধি বঙ্গবন্ধুর জীবন, সমকালের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ঘটনাবলি এবং তৎকালীন ইতিহাসের কীর্তিমান ব্যক্তিদের প্রসঙ্গও স্থান পেয়েছে।
ইতিহাসের খলনায়কদের কর্মকাণ্ডও বাদ যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে আবর্তিত করে বাংলাদেশের যে ইতিহাস গড়ে উঠেছে, সেই ইতিহাসের অনুপুঙ্খ বয়ান এ গ্রন্থে হাজির করা হয়েছে। বলা চলে, বিশাল ক্যানভাসে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনকে। তথ্যের প্রাচুর্য, অনুসন্ধানের ব্যাপ্তি, পর্যবেক্ষণের গভীরতায় মুজিবপিডিয়া হয়ে উঠেছে মহাজীবনের মহাগ্রন্থ। বোদ্ধা পাঠক এবং গবেষকদের অনুসন্ধিৎসু মনের খোরাক জোগানোর পাশাপাশি গ্রন্থটি নতুন প্রজন্মেকে দেবে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের সন্ধান।
বিদ্যাসাগরচরিত রচনা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মন্তব্য করেছিলেন, ‘মাঝে মাঝে বিধাতার নিয়মের এরূপ আশ্চর্য ব্যতিক্রম হয় কেন, বিশ্বকর্মা যেখানে চার কোটি বাঙালি নির্মাণ করিতেছিলেন, সেখানে হঠাৎ দুই-একজন মানুষ গড়িয়া বসেন কেন, তাহা বলা কঠিন।’ বঙ্গবন্ধুচরিত সম্পর্কেও এ কথা খাটে। বিধাতার নিয়মের আশ্চর্য ব্যতিক্রম হিসেবে পূর্ববঙ্গের সাত কোটি বাঙালির মধ্যে শেখ মুজিবের মতো মহান ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। যাঁর নেতৃত্বে বহু শতাব্দীর পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে এ অঞ্চলের মানুষ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ পথ সহজ ছিল না। যুগে যুগে এ মাটিতে অনেক বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। তাঁদের ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। কিন্তু বাঙালির জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গৌরব কেউ অর্জন করতে পারেননি। এখানেই বঙ্গবন্ধু তাঁদের থেকে আলাদা। ভাষার লড়াই থেকে স্বাধিকার-সংগ্রাম, অতঃপর মুক্তিযুদ্ধ; অবর্ণনীয় কষ্ট ও দীর্ঘ সংগ্রামের পথ অতিক্রম করে, রক্তসমুদ্র পাড়ি দিয়ে তিনি বাঙালিকে এনে দিয়েছেন লাল-সবুজের পতাকাসংবলিত স্বাধীন ভূখণ্ড। কেবল স্বাধীনতা অর্জনই নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি উপহার দিয়েছেন একটি আদর্শ সংবিধান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিষ্ঠা করেন দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি। এই মহান নেতাকে নিয়ে রচিত ও সম্পাদিত হয়েছে অসংখ্য গ্রন্থ। যার মধ্যে ড. মযহারুল ইসলামের বৃহৎকলেবর গ্রন্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু-তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পাদিত কয়েক সহস্র পৃষ্ঠার পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদনও রয়েছে। তাঁর জন্মশতবর্ষ-স্মরণে প্রকাশিত হয়েছে শত শত বই। তবে সেগুলোর অধিকাংশেই তথ্যবিভ্রাট, স্তুতি-বন্দনা এবং পুনরাবৃত্তির গোলকধাঁধায় বঙ্গবন্ধুর মহাজীবনকে যেন পাওয়া যাচ্ছিল না। দরকার ছিল এমন একটি গ্রন্থের, যাতে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর জীবন সামগ্রিকভাবে ধরা পড়বে। অবশেষে সেই অভাব পূরণ করতে হিস্ট্রি এন্ড কালচার সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেড সম্প্রতি প্রকাশ করেছে মুজিবপিডিয়া নামক মহাগ্রন্থ। গ্রন্থটির প্রধান সম্পাদক কামাল চৌধুরী, সম্পাদক ফরিদ কবির, নির্বাহী সম্পাদক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। ডিমাই সাইজের দুই খণ্ডের বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা দুই হাজার। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী আনিসুজ্জামান সোহেল। মূল্য আট হাজার টাকা।
প্রায় এক শ জন গবেষকের ৫৯১টি ভুক্তি এবং সাড়ে সাত শ আলোকচিত্র ও মনোগ্রাম দ্বারা গ্রন্থটি বিন্যস্ত। গ্রন্থের ভুক্তিগুলো রচনা করেছেন বাংলাদেশের খ্যতিমান গবেষক, ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ; যেগুলো পাঠে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। সম্পাদনাতেও রয়েছে দক্ষতা ও প্রজ্ঞার ছাপ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিজীবন ও পরিবারসংক্রান্ত ভুক্তিগুলো সম্পাদনা ও সংশোধন করেছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ গ্রন্থে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল অবধি বঙ্গবন্ধুর জীবন, সমকালের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ঘটনাবলি এবং তৎকালীন ইতিহাসের কীর্তিমান ব্যক্তিদের প্রসঙ্গও স্থান পেয়েছে।
ইতিহাসের খলনায়কদের কর্মকাণ্ডও বাদ যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে আবর্তিত করে বাংলাদেশের যে ইতিহাস গড়ে উঠেছে, সেই ইতিহাসের অনুপুঙ্খ বয়ান এ গ্রন্থে হাজির করা হয়েছে। বলা চলে, বিশাল ক্যানভাসে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনকে। তথ্যের প্রাচুর্য, অনুসন্ধানের ব্যাপ্তি, পর্যবেক্ষণের গভীরতায় মুজিবপিডিয়া হয়ে উঠেছে মহাজীবনের মহাগ্রন্থ। বোদ্ধা পাঠক এবং গবেষকদের অনুসন্ধিৎসু মনের খোরাক জোগানোর পাশাপাশি গ্রন্থটি নতুন প্রজন্মেকে দেবে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের সন্ধান।
হিমালয় পাই এর নতুন বই’ ডিটাচমেন্ট টু ডিপার্চার’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি বাজারে এনেছে জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ প্রকাশনী। বইটিতে মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহর পরিভ্রমণের প্রেক্ষিতে লেখকের সোশিওলজিকাল, পলিটিক্যাল কালচারাল, হিস্টরিকাল, এনথ্রোপলজিকাল যেসব পর্যবেক্ষণ তৈরি হয়েছে সেগুলোকেই সোশ্যাল থিসিসরূ
১ দিন আগে‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ স্লোগান নিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৫। আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কবিতার এই আসর। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এটি জানানো হয়েছে...
৮ দিন আগেবাংলা একাডেমি ২০২৪ সালের ষাণ্মাসিক ফেলোশিপ এবং ছয়টি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং ভাষা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, নাটক এবং কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য মোট ছয়টি পুরস্কার দেওয়া হচ্
২৩ দিন আগেসূক্ষ্মচিন্তার খসড়াকে ধারণ করে শিল্প-সাহিত্য ভিত্তিক ছোটকাগজ ‘বামিহাল’। বগুড়ার সবুজ শ্যামল মায়াময় ‘বামিহাল’ গ্রামের নাম থেকেই এর নাম। ‘বামিহাল’ বিশ্বাস করে বাংলার আবহমান জীবন, মানুষ-প্রকৃতি কিংবা সুচিন্তার বিশ্বমুখী সূক্ষ্ম ভাবনার প্রকাশই আগামীর সবুজ-শ্যামল মানববসতি বিনির্মাণ করতে পারে...
২১ ডিসেম্বর ২০২৪