ছাত্রদল-সাধারণ শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, আনন্দ মোহন কলেজ বন্ধ ঘোষণা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৪৮
Thumbnail image
ছাত্রদল-সাধারণ শিক্ষার্থী সংঘর্ষ

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আবাসিক হলের সিট নবায়নকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বিকেল ৫টা থেকে ক‍্যাম্পাসে সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

এদিকে ঘটনার পর কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম তিন দিন এবং আবাসিক হোস্টেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার কথা জানান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘হলের সিট নবায়ন ইস‍্যুতে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের মধ‍্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত। বর্তমানে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

জানতে চাইলে শিক্ষার্থী আকরাম হোসাইন অপু বলেন, ‘আমাদের আশপাশে যতগুলো কলেজ রয়েছে, তাদের সিট চার্জ পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু আমাদের দিতে হচ্ছে সাত হাজার টাকা। তা কমানোর জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।

‘এ বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে আজ বেলা আড়াইটার দিকে বসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা যথাসময়ে গেলেও স্যার আমাদের সঙ্গে না বসে ছাত্রদল ও সমন্বয়কদের সঙ্গে বসেন। পরে স্যার বিষয়টি নিয়ে আমাদের সরি বললে ছাত্রদল ও সমন্বয়কেরা খেপে গিয়ে চড়াও হয়, আমাদের ছাত্রলীগের ট্যাগ দিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের অন্তত পাঁচজন আহত হয়।’

কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হাজ্জাতুল হাসান মুন বলেন, ‘হোস্টেলে এখনো ছাত্রলীগের পদধারী নেতা-কর্মী রয়েছেন। তাঁরা অন্যায়ভাবে অধ্যক্ষ স্যারকে সরি বলাতে বাধ্য করে। বিষয়টিতে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কেরা রয়েছেন।’

সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরাও কাজ করছি। যা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণেই হচ্ছে।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীও রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত