Ajker Patrika

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ৩৭
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে তাঁর ক্যাম্পাসের সামনেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, অছাত্র, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের মধ্যে ১১ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে এবং তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে বনানীর ১৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের পরিবেশ থমথমে। এর আগে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে খুন হন পারভেজ। তাই আজ সোমবারও শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার মুখে পারভেজ হত্যাকাণ্ডের আলোচনা।

কেউ কেউ ঘটনার সময় অনেকের নির্লিপ্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সৈকত নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনার সময় প্রধান ফটকে চারজন নিরাপত্তাকর্মী, আট-দশজন শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁরা কেউই পারভেজ ও তাঁর বন্ধুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। উল্টো সবাই যে যাঁর মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নিরাপদে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে পারভেজ হামলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে প্রধান ফটকের ভেতরে প্রবেশ করলে নিরাপত্তাকর্মীরা শাটার নামিয়ে দেন। তখনো হামলাকারীদের কেউ ধাওয়া দেননি। হামলার পর হামলাকারীরা নিরাপদে সেখান থেকে চলে যায়।

ঘটনাস্থলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টির চার নিরাপত্তাকর্মীর তিনজন হলেন মাহামুদুল, সোয়েব ও মনির। অপরজনের নাম জানা যায়নি। তিনজনই ফটকের ভেতরের দিকে ছিলেন। তবে হত্যাকাণ্ডের পর ওই নিরাপত্তাকর্মীদের কথা বলতে নিষেধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

অনেক অনুরোধের পর এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হামলাকারীরা প্রথমে পারভেজের সঙ্গে সড়কে ঝগড়া করে, কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর ঘটে হামলার ঘটনা। হামলা এত দ্রুত ঘটে শেষ হয়েছে যে, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা চলে যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। পারভেজকে কেউ বাঁচাতে এগিয়ে না আসায় অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের সমালোচনা করেন।

ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে

পারভেজের মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে গত শনিবার বেলা ৩টার দিকে পারভেজ তাঁর বন্ধু সুকর্ণ, তরিকুল, ইমতিয়াজসহ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে র‍্যানকন বিল্ডিংয়ের সামনের একটি পুরি-শিঙাড়ার দোকানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। বন্ধুরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছিলেন। তাঁদের পেছনেই দাঁড়ানো ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের দুই ছাত্রী ও তাঁদের বন্ধু প্রাইমএশিয়ার মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসান।

একপর্যায়ে পারভেজদের হাসাহাসি নিয়ে এই শিক্ষার্থীরা নোটিশ করেন। কেন তাঁদের কটাক্ষ করে হাসাহাসি করা হচ্ছে, তা তাঁরা জানতে চান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোশাররফ হোসেন বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁর উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষক সুষমা ছোঁয়াতী ও সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক আবুল হাশেম মীমাংসা করে দেন।

দুই পক্ষকে মিটমাট করে দেওয়ার পরও পারভেজের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে এবং তাঁকে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে পারভেজের সহপাঠীরা বলেছেন, হামলাকারীরা বান্ধবীদের কাছে নিজেদের ক্ষমতা ও আধিপত্য দেখাতে হামলা চালিয়ে পারভেজকে হত্যা করে।

হামলায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য

পারভেজ ও তাঁর বন্ধু তরিকুলের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্র থাকলেও কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যও ছিল। যারা বনানী, মহাখালী ও কড়াইল বস্তি এলাকায় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা ও হামলায় ১৫-২০ জন অংশ নিলেও এখন পর্যন্ত ১১ জনের নাম জানা গেছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় ও কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা।

এই ১১ জনের কারও কারও বিষয়ে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা মহাখালী, বনানী ও কড়াইল বস্তি এলাকায় ‘বেনসন গ্রুপ’ নামে একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। তারা ধাওয়া করে পারভেজ ও তাঁর বন্ধু তরিকুলের ওপর হামলা চালায়।

পারভেজ ও তরিকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এলে সেখানেই মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মাহাথির হাসানসহ কয়েকজন ছুরি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসান পারভেজকে শক্ত করে ধরে রাখেন এবং মেহেরাজ ইসলাম ছুরিকাঘাত করেন। পারভেজের বন্ধু তরিকুল ইসলামকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে তরিকুল তাঁর মাথায় ও বাঁ হাতের কনুইয়ে আঘাত পান। অপর দিকে পারভেজের বুকের বাঁ পাশে গভীর ছুরিকাঘাত করা হয়। দুজনকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের নাম পেয়েছে পুলিশ ও তদন্তসংশ্লিষ্টরা। তারা হলো মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মো. মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী, ফাহিম, আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি।

তাঁদের মধ্যে মেহেরাজ ইসলাম প্রাইমএশিয়ার বিবিএর শিক্ষার্থী। থাকেন মহাখালীর হাজারীবাড়ী এলাকায়। তিনি মহাখালীর নাসিম গ্যাংয়ের সদস্য। হামলার সময় যেসব বহিরাগত দেখা যায়, তারা মেহেরাজের পরিচিত।

অভিযুক্ত আবু জহর গিফফারি পিয়াস প্রাইমএশিয়ার এলএলবির শিক্ষার্থী। মহাখালী আমতলা কাঁচাবাজার এলাকায় বাসা তাঁর। কড়াইল বস্তিতেও তাঁর আড্ডা রয়েছে। এই পিয়াসই ধারালো অস্ত্র দিয়ে পারভেজকে আঘাত করেন। সিসি ক্যামেরায় সেই ফুটেজ ধরা পড়েছে।

এ ছাড়া মাহাথির হাসান প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁর গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি কাপাসিয়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাইমএশিয়ায় তাঁর সহপাঠীরা এই অভিযোগ করেছেন।

মাহাথির, মেহেরাজ ও পিয়াস মহাখালীর হাজারীপাড়া এলাকায় পরিচিত। তাঁদের সঙ্গে বেনসন কিশোর গ্যাং সদস্যদের সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষকদের মীমাংসার পর এই তিনজনই কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের খবর দেন। তাঁদের ডাকে হামলায় অংশ নেয় কিশোর গ্যাং সদস্য আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি, রিফাত, আলী ও ফাহিম। তারা সবাই মহাখালী ও বনানীর কড়াইল বস্তি এবং ওই এলাকার আশপাশে বসবাস করে।

তাদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, ছিনতাই ও এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্য কিশোর গ্যাংগুলো যেভাবে প্রচারণা চালায়, এই গ্রুপটিকেও সেভাবে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া হামলার সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্যসচিব হৃদয় মিয়াজিকে দেখা গেছে।

ভাইয়ের মামলা, গ্রেপ্তার তিনজন সাত দিনের রিমান্ডে

হত্যার ঘটনায় নিহত পারভেজের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেছেন। এই ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে গতকাল মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কামালের বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বিলদুড়িয়ার শেখপাড়ায়; আলভীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুরে; আর আল আমিনের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে। তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার বলেন, সিসিটিভি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যে হত্যাকাণ্ডে এ তিনজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাখালীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচিত। তাঁদের মাধ্যমে হত্যায় জড়িত পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার বলেন, আসামিদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ বলছে, খুনের ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে সেই কথিত ‘প্রেমিকাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের ওই ছাত্রীর বিস্তারিত নাম, পরিচয় ও ঠিকানা খোঁজা হচ্ছে।

মামলার বাদী ও নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বলেন, পরিবার হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। চাচা থাকেন কুয়েতে। সন্তানের মৃত্যুর খবরে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। পরিবারের দুই ভাই–বোনের মধ্যে পারভেজ ছিলেন বড়। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা দিশেহারা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের অভিযোগ

এদিকে পারভেজ হত্যার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, হত্যার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা জড়িত এবং এটি পরিকল্পিত। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল মানববন্ধন করে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে। এ সময় ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসিরুদ্দিন শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন ভূঁইয়া ইমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আক্তার শুভ প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ঘটনার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হৃদয় মিয়াজি ও সোহান তুষার নেয়াজ ছিলেন।

উামামা দাবি করেন, সেখানে তখন ছাত্রদল কর্মী তাওহিদ, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ইমতিয়াজ জাহিদ এবং আরও কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তবে তদন্তের আগে আমরা কোনোভাবেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাই না যে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই ছাত্রদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালে লিপ্ত হয়েছে, যা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত।’

নিহত পারভেজ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাইচান গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. জসীম উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে জসীম উদ্দিন ও পারভীন ইয়াসমিন দম্পতির ছিল সুখের সংসার। পারভেজ প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর ছোট বোন জুইমনি ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যমুনার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি

আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ
যমুনার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে অন্যের দেওয়া এই ডেরাঘরে আশ্রয় নিয়েছেন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
যমুনার ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে অন্যের দেওয়া এই ডেরাঘরে আশ্রয় নিয়েছেন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাদা দাড়িতে অর্ধেক মেহেদি, কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ। ডান পায়ে ফোঁড়ার// কারণে বাঁধা ব্যান্ডেজ। কাঠের টুলে বসে থাকা মানুষটির দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই—মাত্র এক বছর আগেও তিনি ছিলেন সাড়ে চার বিঘা আবাদি জমির মালিক।

৬৬ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের নাম আব্দুল রাজ্জাক। স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বয়স ৫৫। চার ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে একসময় ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। জমিতে বছরে বিভিন্ন সময়ে গম, ভুট্টা, খেসারি, কালাই ও বাদামের চাষ হতো। পরিশ্রম করেই চলত জীবন। তবে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে দেয় যমুনা নদীর ভাঙন।

ভিটেবাড়ি ও ফসলি জমি একে একে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আব্দুল রাজ্জাক দম্পতি কার্যত আশ্রয়হীন। একসময় যাঁর নিজের জমি ছিল, আজ তিনি অন্যের দেওয়া সামান্য জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন। বন, বস্তার চাটাই আর পলিথিনে মোড়ানো ছোট একটি ঘরই তাঁদের বর্তমান ঠিকানা। আব্দুল রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াখোলা ইউনিয়নের দোরতা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মৃত রহিজ তালুকদারের ছেলে।

শনিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেলে সিরাজগঞ্জ ক্রসবার এলাকায় প্লাস্টিকের টুলে বসে কথা বলছিলেন আব্দুল রাজ্জাক। তিনি জানান, তাঁর দাদার প্রায় ২৪ বিঘা জমি ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি পান সাড়ে চার বিঘা। গত বছরেও সেই জমিতে গম, ভুট্টা, কালাইসহ নানা ফসল আবাদ করেছিলেন। ‘বুড়া-বুড়ির ভালোই চলছিল,’ বলেন তিনি।

সন্তানদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ নীরব থাকেন আব্দুল রাজ্জাক। এরপর ধীর কণ্ঠে বলেন, ‘ওদের নিজেদেরই খুব কষ্ট। আমাদের দেখবে কীভাবে?’

বর্তমানে ফুফাতো ভাইয়ের জমির ওপর কোনোমতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। শীত এলে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আয়ের একমাত্র সম্বল পাঁচটি গরু। তবে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারেন না তিনি।

আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘তোমার চাচি যমুনার চরে গিয়ে গরুর জন্য ঘাস কেটে আনে। আর অন্যদের সামান্য সহযোগিতা আর মেয়েরা মাঝে মাঝে যা দেয়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে।’

কথার একপর্যায়ে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। শেষবারের মতো বলেন, ‘আমাকে যদি কেউ একটা ঘর আর মাসে মাসে একটু খাবার বা কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে সারা জীবন দোয়া করতাম।’

যমুনার ভাঙনে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য জীবনের ভিড়ে আব্দুল রাজ্জাক ও মর্জিনা বেগমের গল্পটি শুধু একটি উদাহরণ—নদীভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের নীরব দীর্ঘশ্বাসের গল্প।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনার পূর্ব রূপসায় যুবককে গুলি করে হত্যা

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পূর্ব রূপসায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাগর শেখ (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা চৌরাস্তা সিএনজি স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক গ্রিন বাংলা আবাসিকের পেছনের বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাগর বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত ১১টায় কয়েকজন যুবক তার গতি রোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। একটি গুলি তার মাথায় এবং অপরটি তার হাঁটুতে লাগে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তী সময়ে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রূপসা থানার এএসআই গৌতম বলেন, গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আ. রহমান রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে ৯৯৯ থেকে আমাদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।

রূপসা থানার এসআই সৌরভ দাশ বলেন, ‘রাতে জাপুসা এলাকায় ডিউটি করছিলাম। থানা থেকে ফোন আসলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারলাম তারা এখানে জায়গা কিনে নতুন বাড়ি করেছে।’ তবে কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার প্রকৃত কারণ তিনি বলতে পারেনি।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক মীর বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৫ দিনেও পরিচয় মেলেনি সীতাকুণ্ডে উদ্ধার হওয়া পোড়া নারীর মরদেহের

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া এক নারীর পোড়া মরদেহের পরিচয় ১৫ দিনেও শনাক্ত করা যায়নি। আঙুল আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ সম্ভব না হওয়ায় পরিচয় শনাক্তে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে মরদেহটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাত ওই নারীর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ ঘাটা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন একটি ডিপোর সামনে থেকে আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী এক নারীর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। তাঁদের ভাষ্য, ওই নারী কীভাবে ঘটনাস্থলে এলেন এবং কেন নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরালেন—তা বোধগম্য নয়। তাঁদের ধারণা, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মরদেহে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হতে পারে।

স্থানীয়রা আরও জানান, প্রযুক্তির আধুনিকতার এই সময়ে ১৫ দিনেও পরিচয় শনাক্ত না হওয়া কিংবা মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটন না হওয়ায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর পরিচয় ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।

ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. সোহেল রানা বলেন, আগুনে পুড়ে আঙুল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মরদেহটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর জানান, মরদেহের পরিচয় ও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে। কোনো স্বজন সামনে এলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হবে। এরপর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সোয়া ৭টায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান।

তিনি জানান, ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় তার এক আত্মীয় বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন পল্টন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়াসিন মিয়া।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

হামলার এ ঘটনার পর থেকে র‍্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁরা কেউ সরাসরি হামলাকারী নন।

গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, মানব পাচারে জড়িত চক্রের দুই সহযোগী, সন্দেহভাজন শুটার ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।

হাদির হত্যাচেষ্টাকে কেন্দ্র করে অভিযানে সর্বশেষ গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে র‍্যাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন, কে এই পথচারী

বাড্ডায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত