মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা, খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ০৮
Thumbnail image
শহরের বড় বাজার এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। আজ শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি শীত মৌসুমে তৃতীয় দফায় গতকাল বৃহস্পতিবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। এদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। ভোর থেকে যেসব শ্রমজীবী মানুষের কাজ শুরু হয়, তাঁদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়েছে। অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না। অলস সময় পার করছেন ভ্যান ও ইজিবাইকচালকেরা। বোরো মৌসুম শুরু হলেও তীব্র শীতে কৃষকেরা ঠিকমতো কৃষিকাজ করতে পারছেন না।

শহরের বড় বাজার এলাকায় কাজ পাওয়ার অপেক্ষা করছিলেন খোকন আলী নামের এক মাটিকাটা শ্রমিক। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন শীত একটু কম ছিল। কাজকর্ম করতে পারছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আবার শীত বেশি পড়ছে। এ কারণে আমার মতো অনেকেই কাজ পাচ্ছে না। আবার যারা পাচ্ছে, তারাও সকালের দিকে কাজ করতে পারছে না।’

ইটভাটার শ্রমিক আশিকুর রহমান বলেন, ‘কাজ তো করছি। কিন্তু শীতের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে। হাত অবশ হয়ে আসছে।’

পাখি ভ্যানচালক অলোক মিয়া বলেন, ‘রাস্তাঘাটে লোকজন কম। এই শীতের মধ্যে বের হলেও যাত্রী পাই না। আয় রোজগার অনেক কমে গেছে।’

শহরের বড় বাজার এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শহরের বড় বাজার এলাকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ।’

জামিনুর রহমান আরও বলেন, পশ্চিমে ঝড় সরে যাওয়ার কারণে গতকাল থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর ১৪ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত