Ajker Patrika

শাহবাগে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবরোধ, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৫৭
শাহবাগের শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহবাগের শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্য পদে নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। দাবি মানার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।

এর আগে ফার্মগেট এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন শিক্ষার্থীরা।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ২২ জানুয়ারি শাহবাগে গণজমায়েতের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবিগুলো পূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সেই সময়সীমা পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সংগঠন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আহমাদুল্লাহ মানসুর বলেন, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য জুলাই বিপ্লব সংগঠিত হলেও, ম্যাটস শিক্ষার্থীরা এখনো বৈষম্যের শিকার। আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু মন্ত্রণালয় আন্তরিকতার সঙ্গে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আজকের এই আন্দোলনে নেমেছি।’

তিনি আরও বলেন, এ আন্দোলনের দায়ভার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদকে নিতে হবে।’

তাঁরা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় ছাড়বেন না। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চারটি মূল দাবি হলো—

১. উচ্চশিক্ষার সুযোগ: ১৯৭৩-১৯৭৮ সালের বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে।

২. নতুন পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ: অনতিবিলম্বে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে শূন্যপদে নিয়োগ দিতে হবে এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নতুন পদ সৃষ্টি করতে হবে।

৩. ইন্টার্নশিপ পুনর্বহাল ও কোর্স কারিকুলাম সংশোধন: চার বছরের অ্যাকাডেমিক কোর্স বহাল রেখে এক বছরের ভাতাসহ ইন্টার্নশিপ পুনরায় চালু করতে হবে এবং কোর্স কারিকুলামের অসংগতিগুলো সংশোধন করতে হবে।

শাহবাগের শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহবাগের শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

৪. নতুন বোর্ড গঠন: অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল শিক্ষা বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন বোর্ড গঠন করতে হবে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬টি সরকারি ও প্রায় ২০০টি বেসরকারি ম্যাটস প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে ডিপ্লোমা মেডিকেল ডিগ্রি (ডিএমএ) কোর্স পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান ২০২২ এবং বিএমডিসির তথ্যমতে, সারা দেশে বর্তমানে ৬০ হাজারের বেশি ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থী রয়েছে এবং বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, বর্তমানে ৫ হাজার ৫০০ জন ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগবিধি সংশোধনের নামে টালবাহানা চলছে, ফলে হাজার হাজার ডিপ্লোমাধারী বেকার হয়ে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাদি, সিঙ্গাপুরে অস্ত্রোপচারে সম্মতি দিয়েছে পরিবার: ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি

সিঙ্গাপুরেই শরিফ ওসমান বিন হাদির জরুরি অস্ত্রোপচারের অনুমতি পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি বর্তমানে ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ রয়েছেন।

জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে হাদির ওপর হামলা হয়। চলন্ত একটি রিকশায় থাকা অবস্থায় চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী তাঁকে গুলি করেন। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদিকে দেখে বুধবার রাতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে অবহিত করেন। ফোনালাপে তিনি জানান, হাদির অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেওয়া আরেকটি পোস্টে সবাইকে দোয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘আল্লাহ যেন তাঁকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ নসিব করেন। আর ওসমান হাদী যদি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শহীদের কাতারে শামিল হন, সেক্ষেত্রে পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মজলুম জনতাকে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতকরণে শাহবাগে জড়ো হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

একই সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে এবং প্রয়োজন হলে পুরো বাংলাদেশ অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি দেওয়া হবে।

পোস্টে আরও বলা হয়, হামলার সঙ্গে জড়িত কেউ ভারতে পালিয়ে গেলে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যে কোনো মূল্যে তাকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ফয়সাল করিম মাসুদকে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, বাবা, মা, ও হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবীর এবং ফয়সাল করিমকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহ করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় আদালত প্রাঙ্গণে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

খুলনা প্রতিনিধি
র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার যুবক
র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার যুবক

খুলনায় আদালত প্রাঙ্গণে জোড়া খুনের ঘটনায় মো. এজাজুল হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নিস্তার আহমেদ।

গ্রেপ্তার এজাজুল রূপসা উপজেলার আইচগাতি এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। গতকাল বুধবার বিকেলে আইচগাতি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা নিস্তার আহমেদ বলেন, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা মহানগরীর আদালত চত্বরের প্রধান ফটকের সামনে ফজলে রাব্বী রাজন (৩০) ও হাসিব হাওলাদারকে (৪০) প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে র‍্যাব-৬-এর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তসমূহ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সংগ্রহ করে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জোড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে সরাসরি দৃশ্যমান এজাজুল হোসেন নামে এক অভিযুক্তকে রূপসার আইচগাতি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এজাজুল জোড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকা সাতজনের নাম প্রকাশ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে যাত্রা, পুলিশি বাধায় পণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে মার্চ টু ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে মার্চ টু ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে মার্চ টু ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কর্মসূচি পালন করেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরের ভদ্রা মোড় থেকে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয় পর্যন্ত মার্চ কর্মসূচি শুরু করে তারা। তবে মাঝপথে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মার্চ শুরু হলে সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের প্রায় ১০০ মিটার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলটি আটকে দেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নেন এবং সামনে অগ্রসর হওয়ার অনুমতি চান।

তবে প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পরও অনুমতি না পাওয়ায় তাঁরা জোরপূর্বক সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেন।

ঘটনার পর অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেডের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় তাঁরা সেখানে অবস্থান করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনোভাবেই সহকারী হাইকমিশন-সংলগ্ন সড়কে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি।

এ সময় জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক হযরত আনাস, রাজশাহী মহানগরের অব্যাহতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সদস্যসচিব সোয়েব আহমেদ, জেলা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা সাংগঠনিক সম্পাদক ইফফাত উদ্দিন আবির, জুলাই যোদ্ধা আবু রায়হান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাটোর জেলার মুখপাত্র বুশরাসহ ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পরে জুলাই যোদ্ধা মিফতাহুল জান্নাত বিভা জানান, ভারত পলাতক সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছে। তাই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। এ সময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভারতে সব পলাতক আসামিকে ফেরত পাঠাতে হবে, তাঁদের ফেরত না দিলে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনকে প্রত্যাহার বা স্থগিতাদেশ দিতে হবে এবং এই কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

এসব দাবি লেখা একটি কাগজ তাঁরা নগরের বোয়ালিয়া জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রাব্বানী শেখের কাছে হস্তান্তর করেন। গোলাম রাব্বানী শেখ বলেন, ‘তিনটি দাবির মধ্যে দুটি জাতীয় পর্যায়ের বিষয়। আমরা এই চিঠি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব। আর পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটা আমরা ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রঙের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত মিস্ত্রির মৃত্যু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধা পৌর শহরের এক বাসায় রঙের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে রাকিব মিয়া (২৩) নামের এক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে গাইবান্ধা পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাকিব মিয়া সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের পূর্ব কোমরনই গ্রামের মাহবুব আলম খাজার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আজ পৌর শহরের কলেজপাড়ায় সোহেল রানা নির্মাণাধীন বাসার পিলারের রং করছিলেন। কাজ করতে করতে অসাবধানতায় ঝুলন্ত তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায়, তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত