Ajker Patrika

রাজশাহীতে নারীদের টিসিবির কার্ড কেড়ে নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত

  • অভিযোগ অস্বীকার জামায়াতের।
  • বিএনপির দাবি কার্ড হালনাগাদের কাজ করছেন তারা।
  • দলীয় নেতাদের কথায় ওয়ার্ড সচিবকে বদলির অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ১৭
সংবাদ সম্মেলনে নারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে নারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) একটি ওয়ার্ডে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাড়ি বাড়ি লোক পাঠিয়ে টিসিবির কার্ড কেড়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাসিকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু নারী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলেন।

জামায়াত অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিলেও বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কার্ড কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। হালনাগাদ করার ব্যাপারে তারা কাজ করছে। আর এর সঙ্গে জামায়াতও রয়েছে।

বিএনপির দাবি, ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা। তাই কার্ড দেওয়ার সময় তিনি দলীয়করণ করেছিলেন। এখন তালিকা সংশোধন হওয়া প্রয়োজন।

রাসিকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবি কার্ডের সুবিধাভোগী ২ হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন দাসপুকুর মহল্লার নিলুফা বেগম, দোলকজান বেওয়া, জ্যেৎস্না বিবি, সালেহা বেগম, প্রতিবন্ধী মাসুমা আক্তার রিতু, সখিনা ইসলাম, সালেহা বিবি, নিমতলা মহল্লার রহিমা বেগম, ফাতেমা বেগম এবং ডিঙ্গাডোবার সাবিনা ইয়াসমিন।

লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রহিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমরা প্রতি মাসে একবার সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চাল টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে পেয়ে আসছি। গত নভেম্বরে আমরা টিসিবি কার্ড নিয়ে বরাদ্দ করা মালপত্র নেওয়ার সময় স্থানীয় বিএনপির নেতারা আমাদের বলেন, এই কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এই কার্ডে আর টিসিবি চলবে না।’

লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রহিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমরা প্রতি মাসে একবার সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চাল টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে পেয়ে আসছি। গত নভেম্বরে আমরা টিসিবি কার্ড নিয়ে বরাদ্দ করা মালপত্র নেওয়ার সময় স্থানীয় বিএনপির নেতারা আমাদের বলেন, এই কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এই কার্ডে আর টিসিবি চলবে না।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘মহানগর বিএনপির সদস্য তাজউদ্দীন সেন্টু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতের আমির মো. মনিরুজ্জামান এবং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতারা আমাদের এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কার্ড তুলে নিয়েছেন। আমরা আমাদের কার্ড দিইনি, আমরা ওয়ার্ড সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারি, ওয়ার্ড সচিবকে বদলি করা হয়েছে। তাজউদ্দীন সেন্টু কাউন্সিলর অফিসের সামনে বলেছেন, “আমরা বিএনপি-জামায়াত সমন্বয় করে কমিটি করেছি, অতীতের সব কার্ড বাতিল। ” আমাদের প্রশ্ন, এভাবে বাতিল করা যায় কি না?’

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা জানান, কয়েক দিন আগে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা রাসিকের ওয়ার্ড কার্যালয়ে যান এবং কার্ড বাতিলের চাপ দেন। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্ড বাতিল করতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা ওয়ার্ড কার্যালয়ের সচিব আহাদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে তাঁকে বদলি করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে আহাদ আলী বলেন, নগর ভবন তাঁকে বদলি করেছে। আজ বৃহস্পতিবার তিনি নতুন কার্যালয়ে যোগ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপির লোকজন তালিকা হালনাগাদ করছেন বলে জানি। একটি কমিটিও করা হয়েছে; কিন্তু আমরা (জামায়াত) এগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। কেউ যদি এ ধরনের কথা বলে থাকেন, তাহলে সেটা অমূলক।’

মহানগর বিএনপি সদস্য তাজউদ্দীন সেন্টু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন কাউন্সিলর থাকাকালে টিসিবির কার্ড দলীয়করণ করেছিলেন। এখন যেহেতু আওয়ামী লীগ নেই, আমরা তালিকা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিএনপি-জামায়াত সবাই মিলে কাজটা করছি। তবে আমরা কারও বাড়ি থেকে টিসিবির কার্ড কেড়ে আনছি না। আমরা শুধু বাড়ি বাড়ি তথ্য নিচ্ছি।’

তিনি জানান, টিসিবির কার্ড বাতিলের দাবি নিয়ে তাঁরা রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ উদ্দীনের কাছে যান। তখন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁকে (তাজউদ্দীন) আহ্বায়ক করে কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটিতে জামায়াতেরও লোক আছেন।

রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দীন কোনো কমিটি করে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো কমিটি করলে সিটি করপোরেশনের লোক দিয়ে করতে পারি, অন্য কাউকে দিয়ে তো কমিটি করতে পারি না। কার্ড হালনাগাদ করতে হলে সেটা সিটি করপোরেশনই করবে। অন্য কেউ তো এটা করতে পারবে না।’ তবে দলীয় নেতাদের কথায় ওয়ার্ড সচিব আহাদকে বদলি করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি।

শরীফ উদ্দীন বলেন, ‘৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পলিটিক্যাল লোকজন কার্ড বাতিলের আবেদন নিয়ে এলে আমি আমার দুজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিই। তাঁদের বলি, যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেটা হালনাগাদের উদ্যোগ নেওয়া হবে। দুই কর্মকর্তা সরেজমিন ঘুরে এসে আমাকে জানান, কোথাও কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা থাকলে তো তাঁরা আমাকে বলতেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গাড়ি আটকে ছাত্রসংগঠনের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাস্তা আটকে ছাত্রশক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, এনসিপি ও ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের নেতা-কর্মীরা এই দাবি জানান। পরে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে গাড়ির সামনে থেকে সরে যান তাঁরা।

এ দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ-৪-কে ছয়টি পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখান থেকে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি।

ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তার, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনে তদবির-বাণিজ্য বন্ধসহ সাতটি দাবি জানান।

পরে তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদি এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আপনারা সবাই তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন; যেন সে দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। পাশাপাশি আপনারা আরও যেসব দাবি জানিয়েছেন, তা সবই যৌক্তিক। আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলায় ডাকসু ভিপির জবাব চাইলেন বিএনপি নেতা, ভিডিও ভাইরাল

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত
পটিয়া উপজেলা বিএনপির সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের কাছে জবাব চাইলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি শুরুর আগে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে তাঁর এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে; যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির ওপর হামলার ঘটনায় কোনো কারণ ছাড়াই সাদিক কায়েম বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছেন। আবার জুমাদের নেতৃত্বেই দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন মির্জা আব্বাস হাসপাতালে মবের শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। হাদি ইস্যুতে জল ঘোলা করার দায় তাদেরই বেশি।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত একটি মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও পরে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচন কে করবে আর করবে না—সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ’র পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ’র পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘নিরাপত্তার’ অজুহাতে নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনপ্রক্রিয়া থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা জানি, এটা উনার ব্যক্তিগত কারণ। কে নির্বাচন করবে আর কে করবে না, সে কী জন্য করবে না, কেন করবে না—এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের বলার মতো কিছু নেই।’

আজ বুধবার বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জে শিল্প পুলিশ-৪ ও জেলা পুলিশকে ছয়টি পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপত্তা একটা বড় বিষয়। এখানে সবাই আসছেন। এখানে যাঁরা আসছেন, তাঁরা বলতে পারতেন—নিরাপত্তা সংকট আছে, আমরা কেউ আসব না। এটার ক্ষেত্রে বলা যায়, এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি নির্বাচন কেন করবেন না, এটা সাংবাদিকেরা অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে।’

নিরাপত্তার শঙ্কায় ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি।’

শরিফ ওসমান হাদি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন। আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। উনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা। দেশের জন্য উনার ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। আপনারা উনার জন্য খাস দিলে দোয়া করবেন।’

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিশেষ করে নিটওয়্যার খাত আমাদের জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এই খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য নিরাপদ শিল্পাঞ্চল, স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের সঙ্গে শিল্পমালিকদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।

‘বিকেএমইএ সেই সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এই পুলিশভ্যান উপহারের মাধ্যমে। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের অংশীদারত্ব দেশকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’

বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশের প্রধান গাজী জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির, শিল্প পুলিশ-৪-এর প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, বিকেএমইএর সহসভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মস্তিষ্ক ছাড়া সব অঙ্গ সক্রিয়, স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষা: ইনকিলাব মঞ্চ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মস্তিষ্ক সক্রিয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে।

আজ বুধবার সকালে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তাঁর শারীরিক অবস্থার এই হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা গুলি করলে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওসমান হাদির স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করতে হলে প্রথমে শরীরকে সম্পূর্ণভাবে স্থিতিশীল করতে হবে। চিকিৎসা সিঙ্গাপুরে অথবা ইংল্যান্ড—যে কোনো স্থানে হতে পারে। ব্রেন সক্রিয় করার জন্য অপারেশনের প্রয়োজন। বর্তমানে মূল লক্ষ্য হলো শরীর ও ব্রেনের মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা। ব্রেন ছাড়া শরীরের অন্যান্য সব অঙ্গ সক্রিয় রয়েছে।’

পরিবারের পক্ষ থেকে এই কঠিন সময়ে শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীর কাছে বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত