Ajker Patrika

৬৮ বছর আগে কেনা জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ

  • এ ঘটনায় গতকাল শনিবার নগরের শাহ মখদুম থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে
  • ৩৩ কাঠার ওই জমিটির অবস্থান রাজশাহী নগরের বড়বনগ্রাম এলাকার নর্দান হাউজিংয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯: ৩৪
মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও বিরোধপূর্ণ জমিতে সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে ইট-বালু। ছবি: আজকের পত্রিকা
মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও বিরোধপূর্ণ জমিতে সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে ইট-বালু। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে এক ব্যক্তির ৬৮ বছর আগে কেনা জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ওই জমিতে ইট-বালু ফেলে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছেন। ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে হুমকিও।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম লুৎফর রহমান। রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার হাট গোদাগাড়ী এলাকার বাসিন্দা তিনি। তাঁর ৩৩ কাঠার ওই জমিটি রাজশাহী নগরের বড়বনগ্রাম এলাকার নর্দান হাউজিংয়ে। এলাকার একটি ভূমিদস্যু চক্র তাঁর জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন।

এ বিষয়ে লুৎফর রহমানের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন গতকাল শনিবার নগরের শাহমখদুম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শফিকুল আওয়াল খান ও তৌফিক নামের এক ব্যক্তি জমিটি দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, নগরের পবা নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা রহিম উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে লুৎফর রহমানের কাছে দুটি দলিলে ৫৫ শতক বা প্রায় ৩৩ কাঠা জমি বিক্রি করেন। কিন্তু ১৯৭২ সালের আরএস জরিপে ওই জমির রেকর্ড হয়ে যায় আগের মালিক রহিম উদ্দিনের নামেই। পরবর্তী সময়ে রহিম উদ্দিন আগেই বিক্রি করা জমি পুনরায় বিক্রি করেন মিনাউল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে মিনাউল হকের দলিল জাল করে জমির ক্রেতা সেজেছেন ফজলুল কাদের চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন চৌধুরী। তাঁদের কাছ থেকে মৌখিক বায়না করার কথা বলে জমিতে ইট-বালু ফেলে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করছেন তৌফিক।

অভিযোগকারী উজ্জ্বল হোসেন জানান, মিনাউল হকের কাছে দ্বিতীয় দফায় জমি বিক্রি এবং তাঁর (মিনাউল) দলিলের মাধ্যমে ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তাঁর ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী জমির মালিকানা দাবি করলে গত বছর রাজশাহীর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন উজ্জ্বল। মামলা চলমান অবস্থায় তৌফিক নামের এক ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রির বায়না দেখিয়ে প্রাচীর দিচ্ছেন ফজলুল ও জসিম।

জমির ক্রেতা তৌফিক বলেন, তিনি আগে জানতেন না যে এই জমি নিয়ে মামলা চলমান আছে। বায়না করার পরে এটা জেনেছেন। এখন যাঁর কাছ থেকে তিনি জমি কিনেছেন, তিনিই জমির সীমানাপ্রাচীর করে দিচ্ছেন।

মামলা চলমান অবস্থায় জমি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘এই জমি আমারই। যাঁরা মামলা করছেন, তাঁদের কোনো মালিকানা নেই। আমার জমি আমি বিক্রি করছি।’

শাহমখদুম থানার ওসি মাসুমা মোস্তারিন বলেন, জমি দখলের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত