মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় চলছে স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দখল-চাঁদাবাজি। উচ্ছেদ করতে যাওয়া প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, অভিযুক্তরা কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ও পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এ বি এম মোশারফ হোসেনের অনুসারী।
জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা এবং অভিযোগ দেওয়া হলেও দল থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পরে কুয়াকাটায় খাসজমিসহ সৈকত এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জেলা প্রশাসন ৫ নভেম্বর এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। তা ঠেকাতে ৬ নভেম্বর দুপুরে ভেকু ভাঙচুর এবং এর চালককে পিটিয়ে জখম করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্কের ভেতরে অবস্থানরত কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও পুলিশকে অবরুদ্ধ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তাঁরা। এ ঘটনায় ওই দিনই মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আ ন ম মূরাদুল ইসলাম বাদী হয়ে যুবদল, শ্রমিক দল, মৎস্যজীবী দলসহ ১৯ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। মামলা করা হয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপ আদালত দেখবেন।’
এ ছাড়া ৪ জানুয়ারি সাগরপারে মসজিদের সামনে উচ্ছেদ করা খাসজমিতে আবারও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা। পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বাধা দিলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন জসিম।
কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘উচ্ছেদ করা খাসজমিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার অজুহাত দিয়ে তারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। তবে তারা আমাকে কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি, তাই আমি কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জসিম ও আ. কাদের আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। এ ঘটনা পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অবগত রয়েছেন।’
সর্বশেষ গত রোববার পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা ও কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের নেতৃত্বে কুয়াকাটা চৌরাস্তায় এলাকায় দেশ রূপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি কে এম বাচ্চু খলিফা ও তাঁর বাবা ইউনুছ খলিফার ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
এর আগে ১৩ নভেম্বর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদস্য এবং আমাদের সময়ের কুয়াকাটা প্রতিনিধি মাসুদ পারভেজ সাগরের আবাসিক ‘হোটেল সাগরে’ হামলা চালান কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. জলিল চুকানী ও তাঁর লোকজন। এ ঘটনায়ও তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দল থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া পারিবারিক শত্রুতার জেরে ৫ আগস্ট একুশে টেলিভিশন ও যুগান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি মো. নাসির উদ্দীন বিপ্লবের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ও তাঁর ভাই মহিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আতিকুর রহমান মিলন এবং লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে।
ভুক্তভোগীর মতে, তাঁরা সবাই কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেনের অনুসারী। বর্তমানে নাসির উদ্দিন বিপ্লব পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ দেওয়া হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নাসির উদ্দিন বিপ্লব ফোনে বলেন, ‘মোশারফ ভাইকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি ওদেরকে বলেছেন কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি; ব্যবস্থাও নেয়নি। এ ছাড়া আমি মামলা করতে গেলে স্থানীয় নেতারা উল্টো আমাকে মামলার ভয় দেখাচ্ছে।’
এদিকে ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমানের মোবাইল ফোনে বাস কাউন্টার দখলে নেওয়ার কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন মিল্লা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হইছে, এখানে বিআরটিসির কুয়াকাটা এবং তুলাতলীর কাউন্টার ৯ ওয়ার্ডের বিএনপির কমিটি মিল্লা ভোগ করবে।’
ভিডিওতে বিআরটিসির কুয়াকাটা কাউন্টার ইনচার্জ আলী আহমদ শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির নেতা মতিউর রহমান। অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে তিনি বলেন, ‘এখন সভাপতি, সিনিয়রসহ আমাদের সবার সিদ্ধান্ত এক, কালকে হইতে আপনাদের কাউন্টার বন্ধ থাকবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুয়াকাটা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘যাত্রীর টিকিট কাটা নিয়ে ঝামেলা হয়; তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি কাউন্টার বন্ধ রাখতে বলেছি। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধের অভিযোগ সত্য নয়। বাচ্চুর ওপর হামলা নিজেদের মধ্যে হয়, ওটার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবং হোটেল সাগরে যারা হামলা করছে, তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ জেলায় পাঠিয়েছি।’
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন বলেন, ‘ইউএনও এবং এসি ল্যান্ড আওয়ামী লীগের ডিও লেটারে হয়েছে, তাদের লোক তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ স্থাপনা বসছে, কিন্তু এখন তারা উচ্ছেদ করতে আসছে। আমি জনগণের লোক, জনগণ বাধা দিয়েছে, আমি তাদের সাথে ছিলাম। তবে হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ছাড়া কাউন্টার দখলের বিষয়ে জানি না। ওগুলো স্থানীয় বিষয়। আমি আগে সভাপতি ছিলাম, এখন নেই।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নাসির উদ্দিন বিপ্লবের সাথে যেটা হয়েছে, সেটা তাদের পারিবারিক বিষয়, সাংবাদিক হিসেবে নয়। এটা তাদের দীর্ঘদিনের ঝামেলা, আমার সাথে তার কথা হয়েছে। এ ছাড়া বাচ্চু আমাদের ক্লোজ লোক, মূলত ওর বাবার সাথে চায়ের দোকানে বসে ঝামেলা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত গড়িয়েছে। দুই পক্ষই মামলা করেছে; এখন বিষয়টি আদালত দেখবেন।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় চলছে স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দখল-চাঁদাবাজি। উচ্ছেদ করতে যাওয়া প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, অভিযুক্তরা কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ও পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী এ বি এম মোশারফ হোসেনের অনুসারী।
জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা এবং অভিযোগ দেওয়া হলেও দল থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পরে কুয়াকাটায় খাসজমিসহ সৈকত এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন স্থানীয় বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জেলা প্রশাসন ৫ নভেম্বর এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। তা ঠেকাতে ৬ নভেম্বর দুপুরে ভেকু ভাঙচুর এবং এর চালককে পিটিয়ে জখম করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্কের ভেতরে অবস্থানরত কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও পুলিশকে অবরুদ্ধ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তাঁরা। এ ঘটনায় ওই দিনই মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আ ন ম মূরাদুল ইসলাম বাদী হয়ে যুবদল, শ্রমিক দল, মৎস্যজীবী দলসহ ১৯ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। মামলা করা হয়েছে, পরবর্তী পদক্ষেপ আদালত দেখবেন।’
এ ছাড়া ৪ জানুয়ারি সাগরপারে মসজিদের সামনে উচ্ছেদ করা খাসজমিতে আবারও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা। পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বাধা দিলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন জসিম।
কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘উচ্ছেদ করা খাসজমিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার অজুহাত দিয়ে তারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। তবে তারা আমাকে কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি, তাই আমি কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জসিম ও আ. কাদের আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। এ ঘটনা পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অবগত রয়েছেন।’
সর্বশেষ গত রোববার পৌর শ্রমিক দলের সহসভাপতি জসিম মৃধা ও কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকারের নেতৃত্বে কুয়াকাটা চৌরাস্তায় এলাকায় দেশ রূপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি কে এম বাচ্চু খলিফা ও তাঁর বাবা ইউনুছ খলিফার ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
এর আগে ১৩ নভেম্বর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদস্য এবং আমাদের সময়ের কুয়াকাটা প্রতিনিধি মাসুদ পারভেজ সাগরের আবাসিক ‘হোটেল সাগরে’ হামলা চালান কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. জলিল চুকানী ও তাঁর লোকজন। এ ঘটনায়ও তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দল থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া পারিবারিক শত্রুতার জেরে ৫ আগস্ট একুশে টেলিভিশন ও যুগান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি মো. নাসির উদ্দীন বিপ্লবের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ও তাঁর ভাই মহিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আতিকুর রহমান মিলন এবং লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে।
ভুক্তভোগীর মতে, তাঁরা সবাই কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেনের অনুসারী। বর্তমানে নাসির উদ্দিন বিপ্লব পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ দেওয়া হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নাসির উদ্দিন বিপ্লব ফোনে বলেন, ‘মোশারফ ভাইকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি ওদেরকে বলেছেন কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি; ব্যবস্থাও নেয়নি। এ ছাড়া আমি মামলা করতে গেলে স্থানীয় নেতারা উল্টো আমাকে মামলার ভয় দেখাচ্ছে।’
এদিকে ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমানের মোবাইল ফোনে বাস কাউন্টার দখলে নেওয়ার কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন মিল্লা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হইছে, এখানে বিআরটিসির কুয়াকাটা এবং তুলাতলীর কাউন্টার ৯ ওয়ার্ডের বিএনপির কমিটি মিল্লা ভোগ করবে।’
ভিডিওতে বিআরটিসির কুয়াকাটা কাউন্টার ইনচার্জ আলী আহমদ শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির নেতা মতিউর রহমান। অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে তিনি বলেন, ‘এখন সভাপতি, সিনিয়রসহ আমাদের সবার সিদ্ধান্ত এক, কালকে হইতে আপনাদের কাউন্টার বন্ধ থাকবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুয়াকাটা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘যাত্রীর টিকিট কাটা নিয়ে ঝামেলা হয়; তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি কাউন্টার বন্ধ রাখতে বলেছি। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধের অভিযোগ সত্য নয়। বাচ্চুর ওপর হামলা নিজেদের মধ্যে হয়, ওটার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবং হোটেল সাগরে যারা হামলা করছে, তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ জেলায় পাঠিয়েছি।’
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন বলেন, ‘ইউএনও এবং এসি ল্যান্ড আওয়ামী লীগের ডিও লেটারে হয়েছে, তাদের লোক তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ স্থাপনা বসছে, কিন্তু এখন তারা উচ্ছেদ করতে আসছে। আমি জনগণের লোক, জনগণ বাধা দিয়েছে, আমি তাদের সাথে ছিলাম। তবে হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ছাড়া কাউন্টার দখলের বিষয়ে জানি না। ওগুলো স্থানীয় বিষয়। আমি আগে সভাপতি ছিলাম, এখন নেই।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নাসির উদ্দিন বিপ্লবের সাথে যেটা হয়েছে, সেটা তাদের পারিবারিক বিষয়, সাংবাদিক হিসেবে নয়। এটা তাদের দীর্ঘদিনের ঝামেলা, আমার সাথে তার কথা হয়েছে। এ ছাড়া বাচ্চু আমাদের ক্লোজ লোক, মূলত ওর বাবার সাথে চায়ের দোকানে বসে ঝামেলা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত গড়িয়েছে। দুই পক্ষই মামলা করেছে; এখন বিষয়টি আদালত দেখবেন।’
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উদ্বোধনের এক মাস হয়ে গেলেও ফসল রক্ষা বাঁধের সংস্কারকাজ শুরু হয়নি। গত ১৫ ডিসেম্বর উপজেলার নলুয়ার হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের ৪ নম্বর প্রকল্পের সংস্কারকাজ উদ্বোধন করা হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরুই হয়ন
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসির (নেসকো) গ্রাহকদের সঙ্গে আয়োজিত একটি মতবিনিময় সভায় মাল্টিমিডিয়ায় মুজিব বর্ষের লোগো ব্যবহারের ঘটনায় তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নেসকোর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রহমত উল্লাহ-আল-ফারুক এই আদেশ জারি করেন।
৪ ঘণ্টা আগেদুপুরে মতিঝিলের মেট্রো স্টেশনের নিচে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামক একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে আসা লোকজন এই হামলা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুটি এস্কেভেটর জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের এস্কেভেটর দুটি শিকলবাহা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আসাদুজ্জামান কায়ছারের জিম্মায় রাখা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে