Ajker Patrika

স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে হত্যা মামলার বাদী সেই নারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ২০
মামলার বাদী কুলসুম আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
মামলার বাদী কুলসুম আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার কুলসুম আক্তারকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ঢাকা থেকে রুহুল আমিন গুলজার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের সূত্র ধরেই পরে শফিকুল ও কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রুহুল আমিন ও শফিকুলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রুহল আমিনের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ফুলহারা গ্রামে। তিনি ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় থাকেন। শফিকুল ইসলামের বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়া গ্রামে। তাঁরা একে অপরের পূর্বপরিচিত।

স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে দায়ের করা সেই মামলায় কুলসুম নিজেকে রুহুল আমিনের জামগড়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে উল্লেখ করেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্বামী আল-আমিন মিয়া (৩৪) নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে গত ২৪ অক্টোবর কুলসুম ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। পরে ৮ নভেম্বর তা আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুছ ছালাম, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

১২ নভেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে হাজির হন কুলসুম আক্তারের স্বামী আল-আমিন মিয়া। তাঁকে ‘নিহত’ দেখিয়ে মিথ্যা মামলা করে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। পুলিশকে তিনি বলেন, স্ত্রী কুলসুমকে নিয়ে তিনি দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় থাকেন। গত ৫ আগস্ট কুলসুম তাঁর সঙ্গে সিলেটেই ছিলেন। এর কয়েক দিন পরে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে কুলসুম মানিকগঞ্জ ঘিওরে তাঁর (কুলসুম) বাবার বাড়িতে চলে যান। এর পর তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ‘নিহত’ দেখিয়ে মামলা করেছেন।

কুলসুম আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেট থেকে আসার পর আমি চাকরি খোঁজার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে বাসে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তিনি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমার মোবাইল নম্বর নেন। এর কয়েক দিন পরে চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আমাকে আইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। আমি শফিকুলের সঙ্গে দেখা করলে শফিকুল ও রুহুল আমিন আমাকে মামলা করতে বলেন। মামলা করলে পাঁচ লাখ টাকা পাওয়া যাবে এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার করে টাকা ভাতা পাওয়া যাবে বলে জানান। আর মামলা না করলে আমার জেল ও ফাঁসি হবে বলে ভয় দেখান তাঁরা। এভাবে ব্ল্যাকমেল করে রুহুল আমিন ও শফিকুল আমাকে মামলা করতে বাধ্য করেছেন।’

গ্রেপ্তার রুহুল আমিন গুলজার ও শফিকুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার রুহুল আমিন গুলজার ও শফিকুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুলসুম আরও বলেন, ‘মিথ্যা মামলার বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর রুহুল আমিন ও শফিকুল আমাকে কক্সবাজার নিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখেন। তাঁরা আমার মোবাইল নিয়ে নেন। এ সময় তাঁরা আমাকে তিন-চারজনকে দিয়ে ধর্ষণ করিয়ে বিচে ফেলে রাখার প্ল্যান করেন। উদ্ধার হওয়ার পর যাতে আমি বলি মামলার আসামিরা আমাকে ধর্ষণ করেছেন। আমি তাতে রাজি না হলে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কয়েক দিন পরে নানা ভয়ভীতির মুখে আবার আমাকে কক্সবাজার যেতে বাধ্য করা হয়। তারা আমাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করেছিল।’

কুলসুমের বোন ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার বোন কোনো দিন আশুলিয়া থাকেনি। রুহুল আমিনকে চিনতই না। ওর স্বামীর সঙ্গে সিলেট থাকত। গত ৫ আগস্ট আমার বোন ওর স্বামীর সঙ্গে সিলেটেই ছিল। মিথ্যা মামলার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর রুহুল আমিন আমার বোনকে কক্সবাজার নিয়ে যায়। এর পর থেকে আমার বোনো রুহুল আমিনের হেফাজতেই ছিল। তার হেফাজত থেকেই পুলিশ আমার বোনকে আটক করে।’

আশুলিয়ার ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী সরকার বলেন, ‘কুলসুমের মামলায় আমি ৫৭ নম্বর আসামি। হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার বিষয়টি জানার পর আমি রুহুল আমিনের ছেলে কাউসারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দেন। এর পরে মামলা থেকে নাম কাটানোর জন্য টাকা দাবি করেন। আমি প্রথমে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দেই। পরে আরও ২০ হাজার টাকা দেই। আমার মতো আরও ২৫ জনে মিলে তাঁকে ২৭ থেকে ২৮ লাখ টাকা দিয়েছেন।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রকিবুল হোসেন বলেন, ‘প্রথমে ঢাকা থেকে রুহুল আমিনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে শফিকুল ও কুলসুমকে আটক করা হয়।’

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কুলসুমকে আটক করা হয়েছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাকে আজ শুক্রবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়েছে। রুহুল আমিন ও শফিককে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় রুহুল আমিন ও শফিকুল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য কুলসুম এসব অভিযোগ করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জে ধানের খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের কিতাব আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নিজামপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ধানের খড় শুকানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

রাবি প্রতিনিধি  
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহান বিজয় দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘হানাদার হান্ট’ নামে এ কর্মসূচি পালন করে শাখা ছাত্রদল।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মাটির হাঁড়িতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ লিখে সেখানে জুতা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জুতা নিক্ষেপ করে যাঁরা হাঁড়িতে লাগাতে পারছেন, তাঁদের চকলেট পুরস্কার দেওয়া হয়।

কর্মসূচির বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একাত্তরে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর দোসরেরা (রাজাকার, আলবদর, আলশামস) লাখ লাখ নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে, লাল-সবুজের পতাকার জন্য যাঁরা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও পাকিস্তানি দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজ মহান বিজয় দিবসে এসব ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।’

সুলতান আহমেদ রাহী আরও বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করে, এখনো পাকিস্তানপন্থী চেতনা ধারণ করে এবং বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হয়েছে।

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, ‘একাত্তরের ইতিহাসে যারা ঘাতক দালাল ছিল, যারা পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে, হত্যার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ এবং রাজাকারদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই উদ্যোগ।’

মাহমুদুল মিঠু আরও বলেন, ‘একাত্তরের দেশদ্রোহী রাজাকারদের যাদের ক্ষমা করা হয়েছিল, সেটি ছিল একটি চরম ভুল। সেই ভুলের মাশুল আজও আমাদের দিতে হচ্ছে। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তারাই নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করছে।’

এ সময় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে হত্যা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে স্বাধীন পাল (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার ঘটনা অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের (১৬) বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্ত্তিঙ্গা চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওই কিশোর স্বাধীনের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে স্বাধীন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেলায় মিলল ৬০ কেজি ওজনের কচু

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
৬০ কেজি ওজনের কচু। ছবি: আজকের পত্রিকা
৬০ কেজি ওজনের কচু। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিজয় মেলায় উপজেলা চত্বরে দেখা মিলেছে ৬০ কেজি ওজনের এ কচুর। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় মেলায় এটি দেখা যায়। কৃষক শহীদুল্লাহ্ তাঁর নিজ জমিতে উৎপাদিত কচুটি বিজয় মেলায় প্রদর্শন করেন। কচুটি দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

চাষি শহীদুল্লাহ্‌ কচুটির দাম হাঁকিয়েছেন আড়াই হাজার টাকা। মেলা শেষে এটি বিক্রি করে দেবেন তিনি। শহীদুল্লাহ্ উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের কুরাটি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, তিনি তাঁর ১০ শতাংশ জমিতে বিলাতি কচু চাষ করেছেন। দেড় বছর যাবৎ এমন কচু নান্দাইল ও পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি বাজারে বিক্রি করছেন।

চাষি শহীদুল্লাহ্‌ বলেন, দেড় বছর আগে কচু চাষ করেছিলাম। ১০ শতাংশ জায়গায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এখনো অনেক কচু রয়েছে। কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে আবারও চাষ করব।

চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই ভূঁইয়া বলেন, বিলাতি জাতের এ কচু ডাঁটাসহ ১২-১৫ ফুট উঁচু হয় এবং কচুর মূল অংশ ৬-৮ ফুট হয়। মেলায় প্রদর্শন করার পর থেকে অনেকেই এই কচু চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এমন বিশাল আকৃতির কচু কৃষক উৎপাদন করেছেন। বিলাতি কচুটি খুব সুস্বাদু। প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং আঁশ থাকে, যা স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে বিশাল বড় হওয়ায় একা খাওয়া সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

পটিয়ায় আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন, ক্ষুব্ধ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকারীরা

মামুন, চমক ও বান্নাহকে হত্যার হুমকি

আজকের রাশিফল: বাবা-মা আজ আবদার রাখবেন, সিঙ্গেলরা দ্রুত প্রোফাইল পিক বদলান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত