নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করার পর থেকে উত্তেজনার শুরু। তাঁর সমর্থক একদল বিক্ষোভকারী প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁর প্রিজনভ্যান আটকে রাখে। পুলিশ সরাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজনদের মধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত সনাতন ধর্মাবলম্বী আইনজীবীরাও ছিলেন।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো ও রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে দিনভর পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও থমথমে ছিল। বিক্ষোভের মধ্যে অনেকের হাতে দা-বটিসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র থাকতে দেখা গেছে।
যেভাবে বিক্ষোভ ও সহিংসতার শুরু হয়
গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক বিএনপি নেতার (পরে বহিষ্কৃত) দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। এ সময় চিন্ময়ের আইনজীবীরা তাঁর জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান ও চেরাগি পাহাড় মোড়ে বিক্ষোভ হয়।
পুলিশের সূত্র জানায়, সোমবার রাতেই চিন্ময়কে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ বেলা ১১টার দিকে চিন্ময়কে আদালতে তোলা হয়। এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন তাঁর সমর্থকেরা। এ সময় আদালত জুড়ে পুলিশ, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল।
চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর
মঙ্গলবার সকালে আদালতে তোলার পর চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সনাতনী জাগরণ জোটের এই মুখপাত্রকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর বিকেল ৩টা নাগাদ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একপর্যায়ে আসামি চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে পুলিশের একটি পিকআপে তুলে প্রচলিত সড়ক দিয়ে না গিয়ে আদালতের পেছনে বিকল্প পথ দিয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়। তাঁকে যে গাড়িতে করে নেওয়া হয়, সেটির সামনে-পেছনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। তাঁকে কারাগারে নেওয়ার সময়ও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষিপ্তভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে।
বিক্ষোভকারীরা আদালতে যাওয়া-আসা সড়ক লালদীঘি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ঘটনাস্থলে থাকতে দেখা যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
আইনজীবী নিহতের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত
মঙ্গলবার বিকেলে সংঘর্ষে ১৯ জন হতাহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম নামে রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে লোহাগাড়া উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানান তাঁর সহকর্মী আদালতের আরেক সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেলে হতাহত ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের শরীরের লক্ষণ দেখে মনে হয়েছে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটা তদন্ত চলছে।’ নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত উপকমিশনার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ১২ জন সদস্য ও ৬ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে আমরা সর্বশেষ তথ্য পেয়েছি।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলাকালে চট্টগ্রাম আদালতের প্রবেশমুখের সামনে লালদীঘি সড়কে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তবে কে বা কারা এই হামলায় জড়িত ছিল তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের একটি দলকে দা-বটি দিয়ে সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় ইসকন সমর্থকেরা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে রঙ্গম টাওয়ার এলাকায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যার প্রতিবাদে বুধবার আদালতে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।’
এছাড়া বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আইনজীবীকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করার পর থেকে উত্তেজনার শুরু। তাঁর সমর্থক একদল বিক্ষোভকারী প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁর প্রিজনভ্যান আটকে রাখে। পুলিশ সরাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজনদের মধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত সনাতন ধর্মাবলম্বী আইনজীবীরাও ছিলেন।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো ও রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে দিনভর পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও থমথমে ছিল। বিক্ষোভের মধ্যে অনেকের হাতে দা-বটিসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র থাকতে দেখা গেছে।
যেভাবে বিক্ষোভ ও সহিংসতার শুরু হয়
গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক বিএনপি নেতার (পরে বহিষ্কৃত) দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। এ সময় চিন্ময়ের আইনজীবীরা তাঁর জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান ও চেরাগি পাহাড় মোড়ে বিক্ষোভ হয়।
পুলিশের সূত্র জানায়, সোমবার রাতেই চিন্ময়কে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ বেলা ১১টার দিকে চিন্ময়কে আদালতে তোলা হয়। এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন তাঁর সমর্থকেরা। এ সময় আদালত জুড়ে পুলিশ, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল।
চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর
মঙ্গলবার সকালে আদালতে তোলার পর চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সনাতনী জাগরণ জোটের এই মুখপাত্রকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর বিকেল ৩টা নাগাদ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একপর্যায়ে আসামি চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে পুলিশের একটি পিকআপে তুলে প্রচলিত সড়ক দিয়ে না গিয়ে আদালতের পেছনে বিকল্প পথ দিয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়। তাঁকে যে গাড়িতে করে নেওয়া হয়, সেটির সামনে-পেছনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। তাঁকে কারাগারে নেওয়ার সময়ও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষিপ্তভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে।
বিক্ষোভকারীরা আদালতে যাওয়া-আসা সড়ক লালদীঘি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ঘটনাস্থলে থাকতে দেখা যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
আইনজীবী নিহতের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত
মঙ্গলবার বিকেলে সংঘর্ষে ১৯ জন হতাহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম নামে রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে লোহাগাড়া উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানান তাঁর সহকর্মী আদালতের আরেক সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেলে হতাহত ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের শরীরের লক্ষণ দেখে মনে হয়েছে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটা তদন্ত চলছে।’ নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত উপকমিশনার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ১২ জন সদস্য ও ৬ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে আমরা সর্বশেষ তথ্য পেয়েছি।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলাকালে চট্টগ্রাম আদালতের প্রবেশমুখের সামনে লালদীঘি সড়কে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তবে কে বা কারা এই হামলায় জড়িত ছিল তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের একটি দলকে দা-বটি দিয়ে সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় ইসকন সমর্থকেরা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে রঙ্গম টাওয়ার এলাকায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যার প্রতিবাদে বুধবার আদালতে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।’
এছাড়া বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আইনজীবীকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করার পর থেকে উত্তেজনার শুরু। তাঁর সমর্থক একদল বিক্ষোভকারী প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁর প্রিজনভ্যান আটকে রাখে। পুলিশ সরাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজনদের মধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত সনাতন ধর্মাবলম্বী আইনজীবীরাও ছিলেন।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো ও রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে দিনভর পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও থমথমে ছিল। বিক্ষোভের মধ্যে অনেকের হাতে দা-বটিসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র থাকতে দেখা গেছে।
যেভাবে বিক্ষোভ ও সহিংসতার শুরু হয়
গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক বিএনপি নেতার (পরে বহিষ্কৃত) দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। এ সময় চিন্ময়ের আইনজীবীরা তাঁর জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান ও চেরাগি পাহাড় মোড়ে বিক্ষোভ হয়।
পুলিশের সূত্র জানায়, সোমবার রাতেই চিন্ময়কে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ বেলা ১১টার দিকে চিন্ময়কে আদালতে তোলা হয়। এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন তাঁর সমর্থকেরা। এ সময় আদালত জুড়ে পুলিশ, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল।
চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর
মঙ্গলবার সকালে আদালতে তোলার পর চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সনাতনী জাগরণ জোটের এই মুখপাত্রকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর বিকেল ৩টা নাগাদ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একপর্যায়ে আসামি চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে পুলিশের একটি পিকআপে তুলে প্রচলিত সড়ক দিয়ে না গিয়ে আদালতের পেছনে বিকল্প পথ দিয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়। তাঁকে যে গাড়িতে করে নেওয়া হয়, সেটির সামনে-পেছনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। তাঁকে কারাগারে নেওয়ার সময়ও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষিপ্তভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে।
বিক্ষোভকারীরা আদালতে যাওয়া-আসা সড়ক লালদীঘি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ঘটনাস্থলে থাকতে দেখা যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
আইনজীবী নিহতের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত
মঙ্গলবার বিকেলে সংঘর্ষে ১৯ জন হতাহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম নামে রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে লোহাগাড়া উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানান তাঁর সহকর্মী আদালতের আরেক সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেলে হতাহত ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের শরীরের লক্ষণ দেখে মনে হয়েছে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটা তদন্ত চলছে।’ নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত উপকমিশনার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ১২ জন সদস্য ও ৬ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে আমরা সর্বশেষ তথ্য পেয়েছি।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলাকালে চট্টগ্রাম আদালতের প্রবেশমুখের সামনে লালদীঘি সড়কে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তবে কে বা কারা এই হামলায় জড়িত ছিল তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের একটি দলকে দা-বটি দিয়ে সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় ইসকন সমর্থকেরা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে রঙ্গম টাওয়ার এলাকায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যার প্রতিবাদে বুধবার আদালতে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।’
এছাড়া বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আইনজীবীকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করার পর থেকে উত্তেজনার শুরু। তাঁর সমর্থক একদল বিক্ষোভকারী প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁর প্রিজনভ্যান আটকে রাখে। পুলিশ সরাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজনদের মধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত সনাতন ধর্মাবলম্বী আইনজীবীরাও ছিলেন।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো ও রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে দিনভর পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও থমথমে ছিল। বিক্ষোভের মধ্যে অনেকের হাতে দা-বটিসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র থাকতে দেখা গেছে।
যেভাবে বিক্ষোভ ও সহিংসতার শুরু হয়
গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক বিএনপি নেতার (পরে বহিষ্কৃত) দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। এ সময় চিন্ময়ের আইনজীবীরা তাঁর জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান ও চেরাগি পাহাড় মোড়ে বিক্ষোভ হয়।
পুলিশের সূত্র জানায়, সোমবার রাতেই চিন্ময়কে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ বেলা ১১টার দিকে চিন্ময়কে আদালতে তোলা হয়। এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন তাঁর সমর্থকেরা। এ সময় আদালত জুড়ে পুলিশ, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল।
চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর
মঙ্গলবার সকালে আদালতে তোলার পর চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সনাতনী জাগরণ জোটের এই মুখপাত্রকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর বিকেল ৩টা নাগাদ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একপর্যায়ে আসামি চিন্ময়কে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে পুলিশের একটি পিকআপে তুলে প্রচলিত সড়ক দিয়ে না গিয়ে আদালতের পেছনে বিকল্প পথ দিয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়। তাঁকে যে গাড়িতে করে নেওয়া হয়, সেটির সামনে-পেছনে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। তাঁকে কারাগারে নেওয়ার সময়ও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষিপ্তভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে।
বিক্ষোভকারীরা আদালতে যাওয়া-আসা সড়ক লালদীঘি এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ঘটনাস্থলে থাকতে দেখা যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
আইনজীবী নিহতের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত
মঙ্গলবার বিকেলে সংঘর্ষে ১৯ জন হতাহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম নামে রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে লোহাগাড়া উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানান তাঁর সহকর্মী আদালতের আরেক সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেলে হতাহত ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকিদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের শরীরের লক্ষণ দেখে মনে হয়েছে তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটা তদন্ত চলছে।’ নিহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত উপকমিশনার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ১২ জন সদস্য ও ৬ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে আমরা সর্বশেষ তথ্য পেয়েছি।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলাকালে চট্টগ্রাম আদালতের প্রবেশমুখের সামনে লালদীঘি সড়কে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তবে কে বা কারা এই হামলায় জড়িত ছিল তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের একটি দলকে দা-বটি দিয়ে সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় ইসকন সমর্থকেরা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে ধরে নিয়ে রঙ্গম টাওয়ার এলাকায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যার প্রতিবাদে বুধবার আদালতে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।’
এছাড়া বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আইনজীবীকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
৪ মিনিট আগে
ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’
২৬ মিনিট আগে
‘কে নির্বাচন করবে আর করবে না, সে কী জন্য করবে না, কেন করবে না—এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের বলার মতো কিছু নেই।’
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মস্তিষ্ক সক্রিয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাস্তা আটকে ছাত্রশক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, এনসিপি ও ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের নেতা-কর্মীরা এই দাবি জানান। পরে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে গাড়ির সামনে থেকে সরে যান তাঁরা।
এ দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ-৪-কে ছয়টি পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখান থেকে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি।
ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তার, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনে তদবির-বাণিজ্য বন্ধসহ সাতটি দাবি জানান।
পরে তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদি এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আপনারা সবাই তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন; যেন সে দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। পাশাপাশি আপনারা আরও যেসব দাবি জানিয়েছেন, তা সবই যৌক্তিক। আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ করব।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে রাস্তা আটকে ছাত্রশক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, এনসিপি ও ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের নেতা-কর্মীরা এই দাবি জানান। পরে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে গাড়ির সামনে থেকে সরে যান তাঁরা।
এ দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ-৪-কে ছয়টি পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখান থেকে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি।
ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তার, সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনে তদবির-বাণিজ্য বন্ধসহ সাতটি দাবি জানান।
পরে তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওসমান হাদি এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আপনারা সবাই তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন; যেন সে দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। পাশাপাশি আপনারা আরও যেসব দাবি জানিয়েছেন, তা সবই যৌক্তিক। আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ করব।’

চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
২৭ নভেম্বর ২০২৪
ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’
২৬ মিনিট আগে
‘কে নির্বাচন করবে আর করবে না, সে কী জন্য করবে না, কেন করবে না—এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের বলার মতো কিছু নেই।’
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মস্তিষ্ক সক্রিয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেপটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

রাজধানীতে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের কাছে জবাব চাইলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলায় বিএনপির বিজয় র্যালি শুরুর আগে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে তাঁর এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে; যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির ওপর হামলার ঘটনায় কোনো কারণ ছাড়াই সাদিক কায়েম বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছেন। আবার জুমাদের নেতৃত্বেই দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন মির্জা আব্বাস হাসপাতালে মবের শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। হাদি ইস্যুতে জল ঘোলা করার দায় তাদেরই বেশি।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত একটি মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও পরে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

রাজধানীতে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের কাছে জবাব চাইলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলায় বিএনপির বিজয় র্যালি শুরুর আগে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে তাঁর এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে; যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
তিন মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির ওপর হামলার ঘটনায় কোনো কারণ ছাড়াই সাদিক কায়েম বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছেন। আবার জুমাদের নেতৃত্বেই দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন মির্জা আব্বাস হাসপাতালে মবের শিকার হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। হাদি ইস্যুতে জল ঘোলা করার দায় তাদেরই বেশি।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত একটি মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও পরে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
২৭ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
৪ মিনিট আগে
‘কে নির্বাচন করবে আর করবে না, সে কী জন্য করবে না, কেন করবে না—এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের বলার মতো কিছু নেই।’
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মস্তিষ্ক সক্রিয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

‘নিরাপত্তার’ অজুহাতে নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনপ্রক্রিয়া থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা জানি, এটা উনার ব্যক্তিগত কারণ। কে নির্বাচন করবে আর কে করবে না, সে কী জন্য করবে না, কেন করবে না—এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের বলার মতো কিছু নেই।’
আজ বুধবার বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জে শিল্প পুলিশ-৪ ও জেলা পুলিশকে ছয়টি পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপত্তা একটা বড় বিষয়। এখানে সবাই আসছেন। এখানে যাঁরা আসছেন, তাঁরা বলতে পারতেন—নিরাপত্তা সংকট আছে, আমরা কেউ আসব না। এটার ক্ষেত্রে বলা যায়, এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি নির্বাচন কেন করবেন না, এটা সাংবাদিকেরা অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে।’
নিরাপত্তার শঙ্কায় ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি।’
শরিফ ওসমান হাদি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন। আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। উনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা। দেশের জন্য উনার ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। আপনারা উনার জন্য খাস দিলে দোয়া করবেন।’
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিশেষ করে নিটওয়্যার খাত আমাদের জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এই খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য নিরাপদ শিল্পাঞ্চল, স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের সঙ্গে শিল্পমালিকদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
‘বিকেএমইএ সেই সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এই পুলিশভ্যান উপহারের মাধ্যমে। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের অংশীদারত্ব দেশকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশের প্রধান গাজী জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির, শিল্প পুলিশ-৪-এর প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, বিকেএমইএর সহসভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল প্রমুখ।

‘নিরাপত্তার’ অজুহাতে নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনপ্রক্রিয়া থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা জানি, এটা উনার ব্যক্তিগত কারণ। কে নির্বাচন করবে আর কে করবে না, সে কী জন্য করবে না, কেন করবে না—এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের বলার মতো কিছু নেই।’
আজ বুধবার বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জে শিল্প পুলিশ-৪ ও জেলা পুলিশকে ছয়টি পুলিশভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপত্তা একটা বড় বিষয়। এখানে সবাই আসছেন। এখানে যাঁরা আসছেন, তাঁরা বলতে পারতেন—নিরাপত্তা সংকট আছে, আমরা কেউ আসব না। এটার ক্ষেত্রে বলা যায়, এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি নির্বাচন কেন করবেন না, এটা সাংবাদিকেরা অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে।’
নিরাপত্তার শঙ্কায় ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার জানা নেই। আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি।’
শরিফ ওসমান হাদি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন। আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। উনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা। দেশের জন্য উনার ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। আপনারা উনার জন্য খাস দিলে দোয়া করবেন।’
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিশেষ করে নিটওয়্যার খাত আমাদের জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এই খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য নিরাপদ শিল্পাঞ্চল, স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের সঙ্গে শিল্পমালিকদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
‘বিকেএমইএ সেই সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এই পুলিশভ্যান উপহারের মাধ্যমে। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের অংশীদারত্ব দেশকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশের প্রধান গাজী জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির, শিল্প পুলিশ-৪-এর প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, বিকেএমইএর সহসভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল প্রমুখ।

চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
২৭ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
৪ মিনিট আগে
ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’
২৬ মিনিট আগে
ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মস্তিষ্ক সক্রিয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মস্তিষ্ক সক্রিয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তাঁর শারীরিক অবস্থার এই হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা গুলি করলে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওসমান হাদির স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করতে হলে প্রথমে শরীরকে সম্পূর্ণভাবে স্থিতিশীল করতে হবে। চিকিৎসা সিঙ্গাপুরে অথবা ইংল্যান্ড—যে কোনো স্থানে হতে পারে। ব্রেন সক্রিয় করার জন্য অপারেশনের প্রয়োজন। বর্তমানে মূল লক্ষ্য হলো শরীর ও ব্রেনের মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা। ব্রেন ছাড়া শরীরের অন্যান্য সব অঙ্গ সক্রিয় রয়েছে।’
পরিবারের পক্ষ থেকে এই কঠিন সময়ে শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীর কাছে বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মস্তিষ্ক সক্রিয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তাঁর শারীরিক অবস্থার এই হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা গুলি করলে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওসমান হাদির স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করতে হলে প্রথমে শরীরকে সম্পূর্ণভাবে স্থিতিশীল করতে হবে। চিকিৎসা সিঙ্গাপুরে অথবা ইংল্যান্ড—যে কোনো স্থানে হতে পারে। ব্রেন সক্রিয় করার জন্য অপারেশনের প্রয়োজন। বর্তমানে মূল লক্ষ্য হলো শরীর ও ব্রেনের মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা। ব্রেন ছাড়া শরীরের অন্যান্য সব অঙ্গ সক্রিয় রয়েছে।’
পরিবারের পক্ষ থেকে এই কঠিন সময়ে শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীর কাছে বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
২৭ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মূল আসামিকে গ্রেপ্তারসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়ি আটকে রাখলেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
৪ মিনিট আগে
ভিডিওতে বিএনপি নেতা খোরশেদুল আলমকে ‘হাদির ওপর হামলা কেন, সাদিক কায়েম জবাব চাই’—এই স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তিনি ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমার কাছেও এ ঘটনার জবাব দাবি করে বলেন, ‘জুমা, তোমাকেও জবাব দিতে হবে।’
২৬ মিনিট আগে
‘কে নির্বাচন করবে আর করবে না, সে কী জন্য করবে না, কেন করবে না—এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের বলার মতো কিছু নেই।’
১ ঘণ্টা আগে