‘প্রশাসন যদি সক্রিয় থাকত, তাহলে আলিফকে বাঁচানো যেত’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ১১
Thumbnail image
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর মেথরপট্টি গলির নিলয় স্বজন ভবনের সামনে এখনো ছোপ ছোপ রক্ত। ইসকন সমর্থকদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের রক্ত। এই ভবনের সামনেই তাঁকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও ইটে থেঁতলে হত্যা করা হয়। ইসকন সমর্থকেরা আলিফকে যখন মেথরপট্টির গলির পূর্ব দিক থেকে ধাওয়া দেয় তখন তিনি পা পিছলে পড়ে যান মাটিতে। তাঁর পায়ে আগে থেকে কিছুটা সমস্যা ছিল।

এ সময় তাঁর ঠিক সামনেই ছিলেন আরেক আইনজীবী শহীদ রাহাত। ইসকন সমর্থকেরা তাঁকে কোপ দিলে তিনিও আহত হন। আলিফ পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে রাহাতের কাছে সাহায্য চেয়ে ডাক দেন। যেটা রাহাত গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাঁর ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন।

তিনি ঠিক এভাবে লেখেন, ‘ভাইয়া আমার পা মচকে গেছে। আমাকে নিয়ে যান।’ কিন্তু সেই জীবন রক্ষাকারী ডাকে সাড়া দিতে পারেননি রাহাত। এ কারণে তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, ‘সাইফুল, ক্ষমা কইরো ভাই। তোমার ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো ঈমানি চেতনা আমাদের ছিল না। হায়েনাদের হাত থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না।’

এ বিষয়ে রাহাত বলেন, ‘প্রশাসন যদি সক্রিয় থাকত, তাহলে আলিফকে বাঁচানো যেত। কিন্তু তারা নিদারুণ নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে ছিল।’

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আল্লার কসম! প্রশাসনের নিদারুণ নিষ্ক্রিয়তার কারণে আজকে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ শহীদ হয়েছে।’

তথ্যমতে, গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর অনুসারীরা।

একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেটা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে (৩৫) খুন করে ইসকন সমর্থকেরা।

সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা হত্যা ও সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

সংবিধানের অস্তিত্ব নেই, প্রোক্লেমেশন না হলে বিপদ: বিচারপতি আব্দুর রহমান

পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন

কার্যালয় থেকে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ছবি সরানোর ব্যাখ্যা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত