Ajker Patrika

মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে বলায় ইমামকে মারধরের অভিযোগ

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে বলায় ইমামকে মারধরের অভিযোগ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক মসজিদের ইমাম মুসল্লিকে মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে বলায় মুসল্লি ইমামকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইমাম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তবে অভিযুক্ত মুসল্লির দাবি, দুই মাস আগে তিনি ওই ইমামকে এক মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়ায় পর মসজিদ কমিটির কাছে বিচার দিয়েছিলেন। কিন্তু মসজিদ কমিটি ঘটনার বিচার না করায় তিনি আর মসজিদে যান না। এরপর ওই ইমাম আবার বাড়িতে আসলে তাঁদের মধ্য হাতাহাতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ হালিম মারামাত ইমাম মাওলানা মো. ফেরদাউসুর রহমানকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মো. আনোয়ার সরদারকে জামাতে নামাজ পড়ার দাওয়াত দিতে তাঁর বাড়িতে পাঠান। নামাজের দাওয়াত দিতে তাঁর বাড়ি গেলে ইমামকে গালমন্দ করেন আনোয়ার। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায় ইমামকে মারধরসহ ঝাড়ু ছুড়ে মারেন আনোয়ার।

ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মাগরিবের নামাজের পরে উত্তর শিহিপাশা গুপ্তেরহাট বাজারের মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়রা জরুরি সভা করেন। একইদিন রাতে ইমাম মাওলানা মো. ফেরদাউসুর রহমান বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুসল্লি মো. আনোয়ার সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তর শিহিপাশা বাজারের জামে মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করে আসছি। ইমামের অনুপস্থিতিতে মসজিদে ২০০২ সাল থেকে মুয়াজ্জিন ও ইমামতি করে আসছি। দুই মাস পূর্বে ইমামের এক অসামাজিক কাজ নিজের চোখে দেখার পরে স্থানীয়দের কাছে বিচার দিয়ে সমাধান পাইনি। তাই ওই ইমামের পেছনে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিয়েছি।

আনোয়ার সরদার আরও বলেন, এরপর বুধবার ওই ইমাম আমার বাড়িতে আসে মসজিদে নামাজ পড়তে দাওয়াত দিতে। কিন্তু আমি মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে অসম্মতি জানালে ইমাম বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি আমার গায়ে হাত দিলে আমিও তাঁর গায়ে হাত দিয়েছি। আর আমি তাঁর দিকে ঝাড়ু ছুড়ে মারিনি, আমার ছোট মেয়ে না বুঝেই ঝাড়ু ছুড়েছে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাটি বৃহস্পতিবার জেনেছি। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসা করা হবে।’ ইউপি সদস্য শামীম হোসেন ফড়িয়া বলেন, ‘আমি বিষয়টি গৈলা ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। শিগগিরই বসে ঘটনাটি সমাধান করা হবে।’

মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ব্যক্তি হিসেবে কেমন তা এলাকার লোকজনই ভালো জানেন।’

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক মো. গোলাম ছরোয়ার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি আমি নিজে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত