প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার অভিযোগে মামলা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮: ৩৯
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ১৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য করার অভিযোগে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম ও বাদীর আইনজীবী হাফিজুর রহমান চুন্নু এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

উপজেলার পূর্ব মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হাসান মাহমুদ বাদী হয়ে একই গ্রামের মাসুম বিল্লাহ নামে রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০৭, ৪৯৯, ৫০৬ (খ) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় বলা হয়, গত ২ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি মামলায় হাজিরা শেষে আদালতের বাইরে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি সন্তোষজনক উত্তর দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় টিভিসহ বিভিন্ন চ্যানেল ভিডিওটি পোস্ট দেয়। ওই ভিডিও পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে অনেক দর্শক শেয়ার ও মন্তব্য করেন। 

তখন আসামি ভিডিওতে মন্তব্য করেন, ‘আপনাকে দেখে মনে হয় আমেরিকার দালাল।’ এতে বাদী হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। অতঃপর আসামি এলাকায় বসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সুদখোর, ইহুদি–পশ্চিমা দালাল বলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মানহানিমূলক উক্তি প্রকাশ করে। সর্বোপরি আসামি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একাকী পাইলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, বাদী তাঁর নালিশি মামলাটি প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারাসহ পেনাল কোডের ৩০৭, ৪৯৯, ৫০৬ (খ) ধারায় দাখিল করেন। এতে আদালত মামলাটি তার এখতিয়ার–বহির্ভূত এবং বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়েরের পরামর্শ দিলে বাদীর কৌঁসুলি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাটি কেটে দেন। 

এ বিষয়ে বিবাদী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বাদী হাসান মাহমুদ আমার আপন চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। গ্রামের স্কুলে নিয়োগ–সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ঘায়েল করতে এমন কাল্পনিক ইস্যুতে মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া ঘটনার তারিখ আমি গ্রামে নয়, অফিসে কর্মরত ছিলাম। অফিসের হাজিরা খাতায় আমার স্বাক্ষর রয়েছে।’ 

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোর্টের আদেশ পেয়েছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত