৩১২ কোটির আবাসন প্রকল্প
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
রাজধানীর জিগাতলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৩১২ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। নথিপত্রে প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে সমাপ্ত করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প সমাপ্ত প্রতিবেদন (পিসিআর) প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় অর্থাৎ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখনো তা হয়নি। এ জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজপত্রে জিগাতলায় ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের এই প্রকল্প সমাপ্ত হলেও বাস্তবে ১৯ মাস পর এখনো কাজ চলছে। অথচ ঠিকাদারকে পুরো বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে একটা শোকজ হয়েছে; আমরা জবাব দিয়েছি। এখানে মূলত ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সমস্যা হয়েছে। তবে আগের সরকারকে খুশি করতে অসমাপ্ত প্রকল্প উদ্বোধন করেছি—এমন তথ্য সত্য নয়।’
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জিগাতলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মাণ করা আবাসন প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সে অনুযায়ী প্রকল্প সমাপ্তও করা হয়েছে। পরিশোধ করা হয়েছে প্রকল্পের সব অর্থ। এ প্রকল্পের কাজ পায় গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাগজপত্রে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প সমাপ্ত দেখানো হলেও বাস্তবে কাজ শেষ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে গণপূর্তের কর্মকর্তাদের সখ্যের অভিযোগও রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কাজ সম্পন্ন না হলেও সমাপ্ত ঘোষণার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তৎপর হয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গত ৫ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়, পিসিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পিসিআর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পরও পিসিআর দেওয়া হয়নি; যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। নির্ধারিত সময়ে কেন পিসিআর দেওয়া হয়নি, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় নোটিশে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়িয়ে নথিপত্রে সমাপ্ত দেখানো হয়েছে। বিধিমতে সব বিলও দেওয়া শেষ। কিন্তু কাজ অনেকাংশে বাকি রয়ে গেছে। পিপিআর না মেনে কাজের আগে বিল পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্টরা বড় ধরনের আর্থিক ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। রাজধানীর সোবহানবাগ জামে মসজিদের আধুনিকায়ন ও ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, স্থাপত্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, মিরপুরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, আজিমপুর সরকারি আবাসন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিজিএস কলোনিতে ১১টি পরিত্যক্ত বাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে।
জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের (নির্বাহী প্রকৌশলী, ঢাকা ডিভিশন-২) এ এস এম সানাউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ প্রায় সবই শেষ হয়েছে। এসব ভবনে বরাদ্দ পাওয়া লোকজন বসবাস শুরু করেছে। এখন সামান্য কিছু বাকি থাকলেও থাকতে পারে। তবে তা উল্লেখ করার মতো নয়।’
রাজধানীর জিগাতলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৩১২ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। নথিপত্রে প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে সমাপ্ত করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প সমাপ্ত প্রতিবেদন (পিসিআর) প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় অর্থাৎ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখনো তা হয়নি। এ জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজপত্রে জিগাতলায় ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের এই প্রকল্প সমাপ্ত হলেও বাস্তবে ১৯ মাস পর এখনো কাজ চলছে। অথচ ঠিকাদারকে পুরো বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে একটা শোকজ হয়েছে; আমরা জবাব দিয়েছি। এখানে মূলত ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সমস্যা হয়েছে। তবে আগের সরকারকে খুশি করতে অসমাপ্ত প্রকল্প উদ্বোধন করেছি—এমন তথ্য সত্য নয়।’
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জিগাতলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মাণ করা আবাসন প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সে অনুযায়ী প্রকল্প সমাপ্তও করা হয়েছে। পরিশোধ করা হয়েছে প্রকল্পের সব অর্থ। এ প্রকল্পের কাজ পায় গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাগজপত্রে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প সমাপ্ত দেখানো হলেও বাস্তবে কাজ শেষ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে গণপূর্তের কর্মকর্তাদের সখ্যের অভিযোগও রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কাজ সম্পন্ন না হলেও সমাপ্ত ঘোষণার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তৎপর হয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গত ৫ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে বলা হয়, পিসিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পিসিআর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পরও পিসিআর দেওয়া হয়নি; যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। নির্ধারিত সময়ে কেন পিসিআর দেওয়া হয়নি, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় নোটিশে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়িয়ে নথিপত্রে সমাপ্ত দেখানো হয়েছে। বিধিমতে সব বিলও দেওয়া শেষ। কিন্তু কাজ অনেকাংশে বাকি রয়ে গেছে। পিপিআর না মেনে কাজের আগে বিল পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্টরা বড় ধরনের আর্থিক ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। রাজধানীর সোবহানবাগ জামে মসজিদের আধুনিকায়ন ও ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, স্থাপত্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, মিরপুরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, আজিমপুর সরকারি আবাসন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিজিএস কলোনিতে ১১টি পরিত্যক্ত বাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে।
জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের (নির্বাহী প্রকৌশলী, ঢাকা ডিভিশন-২) এ এস এম সানাউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাজ প্রায় সবই শেষ হয়েছে। এসব ভবনে বরাদ্দ পাওয়া লোকজন বসবাস শুরু করেছে। এখন সামান্য কিছু বাকি থাকলেও থাকতে পারে। তবে তা উল্লেখ করার মতো নয়।’
সৌদিতে যাওয়ার জন্য মেনিনজাইটিসের টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওমরাহ বা পবিত্র হজ পালনে এবং ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে এই টিকার সনদ দেখাতে হবে এবং ভ্রমণকালে তা সঙ্গে রাখতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেবীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো মাসে মাসে ভাতা নয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিরা অর্থ সহায়তা হিসেবে সরকারের কিনে দেওয়া সঞ্চয়পত্র থেকে প্রতি মাসে মুনাফা পাবেন। প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকার এবং চার শ্রেণির আহতদের ১ থেকে ৫ লাখ টাকার করে
৪ ঘণ্টা আগেএকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৬ জনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
৭ ঘণ্টা আগেঅস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম...
৮ ঘণ্টা আগে