বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ড. শুচীতা শরমিন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ০০
Thumbnail image

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য অধ্যাপক ড. শুচীতা শরমিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত আজ সোমবারের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য।

ড. শুচীতা শরমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। দেশে গণ–অভ্যুথ্যান পরবর্তী তৎকালীন উপাচার্যের পদত্যাগের এক মাস পাঁচ দিন পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ভিসি পেল। অধ্যাপক ড. শুচীতা শরমিন ববির পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। 

জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. শুচীতা শরমিন আজ সোমবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে ববিতে যোগদান করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে গুছিয়ে আনতে একটু সময় লাগবে। তিনি তথ্য সংগ্রহে সব সময় সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন। 

ববির রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন উপাচার্য দেওয়ায় ববি নতুন উদ্যমে এবং পূর্ণাঙ্গ রূপে এগিয়ে যাবে বলে আশা করছি।’ 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ড. শুচীতা শরমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী আবুল কাসেম ফজলুল হকের মেয়ে। ড. শুচীতার ভাই প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন ২০১৫ সালে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের গুলিতে নিহত হন। 

প্রসঙ্গ, গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে গত ২০ আগস্ট পদত্যাগ করেন তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। এর পর থেকে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ভেঙে পড়ে এর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে প্রশাসনিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও নানা বিতর্ক দেখা দেয়। অবশেষে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ায় ববিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরে আসবে বলে একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা জানিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মো. হারুনর রশিদ খান। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য এস এম ইমামুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করায় তিনি তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ছুটিতে যেতে বাধ্য হন। তাঁর অনুপস্থিতিতে এ কে এম মাহবুব হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

পরবর্তীকালে মেয়াদ শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি তাঁর মেয়াদ শেষ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া উপাচার্য হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করার পর পূর্ণ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান। সবশেষ ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া পদত্যাগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত