Ajker Patrika

শ্রমিক সংকটে বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শ্রমিক সংকটে বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

আর মাত্র কয়েক দিন বাদে শুরু হবে বোরো ধান কাটা। এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু ধান কাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে বরে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। এ নিয়ে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক ঘরে ধান তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। 

জানা যায়, চলতি বছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হলেও করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছরে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, খুলনা, বাগেরহাট, শরণখোলা, মোড়লগঞ্জ জেলা-উপজেলার ধান কাটা শ্রমিকে আসেন। এবারও বেশির ভাগ শ্রমিক আসবেন না বলে কৃষকদের জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে আগৈলঝাড়ার কৃষকেরা মহাবিপদে পড়েছেন। 

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান পাকতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে এসব ধান কাটা শুরু হবে। 

শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান বেশ ভালো হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকেরা মনে করছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রোগবালাই না থাকায় ধানের অনেক ভালো ফলন হবে। 

কৃষকেরা বলেন, উপজেলা জুড়ে ধান কাটা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক আসে। তাঁরা ধান কেটে ঘরে তুলে দেন। কিন্তু এবার কি হবে! সময়মতো শ্রমিকেরা না আসলে কীভাবে ধান ঘরে উঠবে এমন দুশ্চিন্তাই কৃষকদের চোখে ঘুম নেই। এমন ভাবনা যেন আমাদের দুর্বল করে ফেলছে। 

উপজেলার গৈলা গ্রামের খলিলুর রহমান, কালুপাড়া গ্রামের পশিম সন্যামত, মধ্য শিহিপাশা গ্রামের জালাল সরদার, কোদালধোয়া গ্রামের নবীন হালদারসহ একাধিক কৃষকেরা বলেন, আমন আবাদে ধান পাকার পরেও ধান কাটতে হাতে কিছু সময় পাওয়া যায়। কিন্তু ইরি-বোরো মৌসুমে নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। ফলে ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়। 

কয়েক বছর ধরে এমনিতে ধান আবাদে নানা কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। এই মৌসুমেও যদি শ্রমিক সংকটে সময়মতো ধান ঘরে তোলা না যায় তাহলে ব্যাপক লোকসানের কবলে পড়তে হবে। তাই ধান ঘরে তুলতে কৃষি শ্রমিকদের আসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে। 

আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৮১৮ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে, ৯ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ হেক্টর বেশি। ফলে উপজেলা কৃষি বিভাগ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪৮ হাজার ১৪৮ টন চাল। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান বেশ ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রোগবালাই না থাকায় ধানের অনেক ভালো ফলন হয়েছে। ধান কাটা মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক এসে ধান কেটে ঘরে তুলে দিত। কিন্তু বিগত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে ধান কাটা শ্রমিক আসেননি। এবার ধান কাটা শ্রমিকেরা যাতে এসে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে পারেন সে বিষয়ে বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত