পাথরঘাটায় মেয়ের সাবেক শাশুড়ির করা মামলায় বিএনপি নেতার ৩ বছরের সাজা

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ১৫: ৪৯

মেয়েকে তালাক দেওয়ার পর সাবেক জামাতা ও তাঁর মাকে মারধর এবং বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্যকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মহিউদ্দিন পান্না (৫০) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য। রায় ঘোষণার সময় মহিউদ্দিন পান্না আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

একই ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের খালেক খলিফার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানের মা রেণু বেগম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল মহিউদ্দিন পান্নাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন।

মামলার বাদীর অভিযোগ, মহিউদ্দিন পান্নার মেয়ে লায়লা আক্তার পপিকে বিয়ে করেন তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান। একপর্যায়ে নোমান তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন। এ কারণে ২০১৯ সালের ৭ জুন সকালে পান্নাসহ ৮-১০ জন নোমানের বাড়িতে ঢুকে মালামাল লুটে নেন। নোমান বাধা দিলে তাঁর মাথায় আঘাত করেন পান্না। এ সময় নোমানের মাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়।

নোমান বলেন, ‘আমার স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তালাক দিই। এ কারণে আমার সাবেক শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না দলবল নিয়ে আমাদের বসতঘরে ঢুকে আমার মাকে ও আমাকে মারধর করে। ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এখনো আমার বাড়ি পান্নার দখলে। আমি বাড়ি যেতে পারি না।’

মামলার রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণে ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি আপিল করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত