ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে বিরল প্রজাতির একটি কাঁকড়া ধরা পড়েছে। এটি দেখতে অনেকটা পানপাতা মাছের মতো। শক্ত পিঠের ওপর চোখ, নিচের অংশে মুখ ও ছোট অনেকগুলো পা এবং পেছনে রয়েছে একটি সরু লেজ। গতকাল শুক্রবার রাতে রাকিব মাঝি কাঁকড়াটি তাঁর বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাথান গ্রামে নিয়ে আসেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাট এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে রাকিব মাঝির জালে ধরা পড়ে এ কাঁকড়াটি।
রাকিব মাঝি জানান, মঙ্গলবার চরফ্যাশনের মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁর জালে ধরা পড়ে এই কাঁকড়াটি। পরে নৌকায় তুলে একটি পাত্রে রাখা পানির মধ্যে এটি রেখে দেন তিনি। রাকিব বলেন, ‘এ ধরনের কাঁকড়া এর আগে কখনো দেখিনি। লোকমুখে শুনেছি এই কাঁকড়ার দাম কয়েক লাখ টাকা। তাই বিক্রির আশায় সামরাজ ঘাট থেকে বাড়িতে আসার সময় পানির পাত্রে করে নিয়ে এসেছি এবং তাতেই রেখে দিয়েছি। এটি এখন অনেকেই দেখতে আসছেন। কাঁকড়াটির ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম।’
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘এটা “হর্সশু ক্র্যাব” (Horseshoe Crab) নামে একধরনের কাঁকড়া। এটি রাজ কাঁকড়া নামেও পরিচিত। এরা প্রধানত গভীর সমুদ্র ও নরম বালি বা কাদামাখা এলাকায় থাকে। ডাঙায় এগুলো সচরাচর দেখা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এগুলো খেলেও আমাদের দেশে এগুলো কেউ খায় না। এগুলোর দাম নিয়ে লোক মুখে যা শোনা যায় সব গুজব, কোনো ভিত্তি নেই।’
মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, এই কাঁকড়া সচরাচর দেখা যায় না। গভীর সমুদ্রে থাকে। তবে, বিরল কিংবা বিপন্ন নয়। কারণ, বিপন্ন হতে হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে হয়। এমন কোনো ঘোষণা করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ ফেডারেশনের তথ্যমতে, হর্সশু কাঁকড়া প্রায় ৩০ কোটি বছরেরও বেশি পুরোনো একটি প্রাণী। বলা হয়ে থাকে ডাইনোসরের চেয়েও বেশি পুরোনো এই প্রাণী। এগুলো দেখতে কাঁকড়ার মতো হলেও আদতে বিচ্ছু এবং মাকড়সার প্রজাতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। হর্সশু কাঁকড়ার একটি শক্ত আবরণ রয়েছে। এর শরীরে থাকা ১০টি পা। এটি সমুদ্রের তল বরাবর হাঁটার জন্য ব্যবহার করে। এই কাঁকড়ার নামকরণ করা হয় এর শরীরের আকৃতির কারণে।
এর মাথা ইংরেজি অক্ষর ‘ইউ’ আকৃতির মতো। অনেকটা ঘোড়ার ক্ষুরের নিচে পরানো পাতের মতো বলে এর নাম—হর্সশু। মূলত এই অংশেই এই প্রাণীর শরীরের মূল অঙ্গগুলো থাকে। মাথার এই অংশে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, মুখ, স্নায়ুতন্ত্র এবং গ্রন্থি রয়েছে—সবই একটি বড় প্লেট বা শক্ত আবরণ দ্বারা সুরক্ষিত। এই কাঁকড়ার নয়টি চোখ সারা শরীরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে এবং লেজের কাছে আরও কয়েকটি লাইট রিসেপ্টর থাকে। লাইট রিসেপ্টর হলো একটি অঙ্গ বা কোষ যা আলো, তাপ বা অন্যান্য বাহ্যিক উদ্দীপনায় সাড়া দিতে এবং সংবেদনশীল স্নায়ুতে একটি সংকেত পাঠাতে সক্ষম। নয়টি চোখের মধ্যে আকারে বড় দুটি চোখ যৌগিক এবং এই চোখজোড়া সঙ্গী খোঁজার কাজে ব্যবহার করে এই প্রজাতির কাঁকড়ারা। বাকি চোখগুলো এবং আলোক রিসেপ্টর চাঁদের আলোর গতিবিধি এবং পরিবর্তন বুঝতে কাজ করে।
হর্সশু কাঁকড়ার লেজকে বলা হয় টেলসন। এটি লম্বা এবং সূক্ষ্ম। দেখতে খানিকটা ভীতিকর হলেও এটি বিপজ্জনক, বিষাক্ত বা দংশনে অভ্যস্ত নয়। পিঠে কোনো কিছুর আঘাত বা ধাক্কা লাগলে লেজের সাহায্যে নিজেদের উল্টে ফেলে এই কাঁকড়ারা। স্ত্রী হর্সশু কাঁকড়া পুরুষদের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বড়। এই প্রজাতির স্ত্রী কাঁকড়া মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ১৮-১৯ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। আর পুরুষেরা প্রায় ১৪-১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।
ভোলার মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে বিরল প্রজাতির একটি কাঁকড়া ধরা পড়েছে। এটি দেখতে অনেকটা পানপাতা মাছের মতো। শক্ত পিঠের ওপর চোখ, নিচের অংশে মুখ ও ছোট অনেকগুলো পা এবং পেছনে রয়েছে একটি সরু লেজ। গতকাল শুক্রবার রাতে রাকিব মাঝি কাঁকড়াটি তাঁর বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাথান গ্রামে নিয়ে আসেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাট এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে রাকিব মাঝির জালে ধরা পড়ে এ কাঁকড়াটি।
রাকিব মাঝি জানান, মঙ্গলবার চরফ্যাশনের মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁর জালে ধরা পড়ে এই কাঁকড়াটি। পরে নৌকায় তুলে একটি পাত্রে রাখা পানির মধ্যে এটি রেখে দেন তিনি। রাকিব বলেন, ‘এ ধরনের কাঁকড়া এর আগে কখনো দেখিনি। লোকমুখে শুনেছি এই কাঁকড়ার দাম কয়েক লাখ টাকা। তাই বিক্রির আশায় সামরাজ ঘাট থেকে বাড়িতে আসার সময় পানির পাত্রে করে নিয়ে এসেছি এবং তাতেই রেখে দিয়েছি। এটি এখন অনেকেই দেখতে আসছেন। কাঁকড়াটির ওজন প্রায় ২০০ গ্রাম।’
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘এটা “হর্সশু ক্র্যাব” (Horseshoe Crab) নামে একধরনের কাঁকড়া। এটি রাজ কাঁকড়া নামেও পরিচিত। এরা প্রধানত গভীর সমুদ্র ও নরম বালি বা কাদামাখা এলাকায় থাকে। ডাঙায় এগুলো সচরাচর দেখা যায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এগুলো খেলেও আমাদের দেশে এগুলো কেউ খায় না। এগুলোর দাম নিয়ে লোক মুখে যা শোনা যায় সব গুজব, কোনো ভিত্তি নেই।’
মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, এই কাঁকড়া সচরাচর দেখা যায় না। গভীর সমুদ্রে থাকে। তবে, বিরল কিংবা বিপন্ন নয়। কারণ, বিপন্ন হতে হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে হয়। এমন কোনো ঘোষণা করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ ফেডারেশনের তথ্যমতে, হর্সশু কাঁকড়া প্রায় ৩০ কোটি বছরেরও বেশি পুরোনো একটি প্রাণী। বলা হয়ে থাকে ডাইনোসরের চেয়েও বেশি পুরোনো এই প্রাণী। এগুলো দেখতে কাঁকড়ার মতো হলেও আদতে বিচ্ছু এবং মাকড়সার প্রজাতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। হর্সশু কাঁকড়ার একটি শক্ত আবরণ রয়েছে। এর শরীরে থাকা ১০টি পা। এটি সমুদ্রের তল বরাবর হাঁটার জন্য ব্যবহার করে। এই কাঁকড়ার নামকরণ করা হয় এর শরীরের আকৃতির কারণে।
এর মাথা ইংরেজি অক্ষর ‘ইউ’ আকৃতির মতো। অনেকটা ঘোড়ার ক্ষুরের নিচে পরানো পাতের মতো বলে এর নাম—হর্সশু। মূলত এই অংশেই এই প্রাণীর শরীরের মূল অঙ্গগুলো থাকে। মাথার এই অংশে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, মুখ, স্নায়ুতন্ত্র এবং গ্রন্থি রয়েছে—সবই একটি বড় প্লেট বা শক্ত আবরণ দ্বারা সুরক্ষিত। এই কাঁকড়ার নয়টি চোখ সারা শরীরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে এবং লেজের কাছে আরও কয়েকটি লাইট রিসেপ্টর থাকে। লাইট রিসেপ্টর হলো একটি অঙ্গ বা কোষ যা আলো, তাপ বা অন্যান্য বাহ্যিক উদ্দীপনায় সাড়া দিতে এবং সংবেদনশীল স্নায়ুতে একটি সংকেত পাঠাতে সক্ষম। নয়টি চোখের মধ্যে আকারে বড় দুটি চোখ যৌগিক এবং এই চোখজোড়া সঙ্গী খোঁজার কাজে ব্যবহার করে এই প্রজাতির কাঁকড়ারা। বাকি চোখগুলো এবং আলোক রিসেপ্টর চাঁদের আলোর গতিবিধি এবং পরিবর্তন বুঝতে কাজ করে।
হর্সশু কাঁকড়ার লেজকে বলা হয় টেলসন। এটি লম্বা এবং সূক্ষ্ম। দেখতে খানিকটা ভীতিকর হলেও এটি বিপজ্জনক, বিষাক্ত বা দংশনে অভ্যস্ত নয়। পিঠে কোনো কিছুর আঘাত বা ধাক্কা লাগলে লেজের সাহায্যে নিজেদের উল্টে ফেলে এই কাঁকড়ারা। স্ত্রী হর্সশু কাঁকড়া পুরুষদের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বড়। এই প্রজাতির স্ত্রী কাঁকড়া মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ১৮-১৯ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। আর পুরুষেরা প্রায় ১৪-১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।
বরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেনওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষিসহ চারজন আহত হয়েছেন। এক ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
৩০ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৮ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে