Ajker Patrika

ববিতে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা, ছাত্রলীগ নামধারীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ববিতে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা, ছাত্রলীগ নামধারীদের বিক্ষোভ

রাতভর নির্যাতন করে হাত ভেঙে দেওয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদকে এবার শিবিরকর্মী আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ নামধারী হামলাকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেয়া গণিত বিভাগের আবিদ হাসান, আইন বিভাগের মাহামুদুল হাসান তমাল, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম এর আগে শেরে বাংলা হলে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। 

মানবন্ধনকারীরা দাবি করছেন, আহত শিক্ষার্থীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। মুকুল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের বিতর্কিত করতে এই পরিকল্পিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে মুকুল। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

জানা গেছে, গত ১২ অক্টোবর রাতে বঙ্গবন্ধু হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে ইংরেজি বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদকে রাতভর নির্যাতন করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী মঞ্জু ও সিহাবের বিরুদ্ধে। শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুকুল তার ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের ৮ম ব্যাচের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিদ মঞ্জু ও সিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ববিতে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি না থাকলেও তানজিদ এবং শিহাব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুকুল বলেন, তিনি মেসেঞ্জারে জুনিয়রদের বুঝিয়েছেন যে, ৮ম ব্যাচের ছাত্ররা বাড়াবাড়ি করছেন। তাঁদের ডাকে কারও সাড়া দেওয়া উচিত হবে না।—এমন অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের ৮ম ব্যাচের তাঞ্জিদ মঞ্জু এবং সিহাব উদ্দিন তাঁকে ১২ অক্টোবর  রাতে তাঁদের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত আটকে রেখে নির্যাতন করেন। পাইপ দিয়ে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙে দিয়েছেন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। সকালে সহপাঠীরা তাঁকে উদ্ধার করে গোপনে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শেবাচিম হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে গিয়ে কথা হয় চিকিৎসাধীন মুকুলের সঙ্গে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন বাবা–মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে, কিন্তু এখন পঙ্গু হতে চলেছেন। অথচ তাঁর পাশে কেউ নেই। কী জবাব দেবেন পরিবারকে!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

খামেনিকে চিঠি দিয়ে যে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী বাধ্যতামূলক ছুটিতে, মামলা এখন আদালতের এখতিয়ারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত