মধ্যরাতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে, দুই পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু 

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৪২
Thumbnail image

পিরোজপুরে একটি প্রাইভেট কার খালে পড়ে নারী শিশুসহ দুই পরিবারের আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ কে এম আসিফ আহমেদ। 

তিনি বলেন, ‘একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় আটজনকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সবাই পানিতে ডুবে মারা গেছেন।’ 

নিহতেরা হলেন—নাজিরপুরের হোগাবুনিয়া এলাকার মৃত আসাদ মৃধার ছেলে শাওন (৩২), তাঁর স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫), শিশু সন্তান শাহাদাত (১০) ও আব্দুল্লাহ (৩)। অপর পরিবারের শেরপুর সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ রঘুনাথপুর গ্রামের নাজিরুদ্দিনের ছেলে মো. মোতালেব (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও দুই বছর ছেলে শিশু সোয়াইব। দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার। ছবি: আজকের পত্রিকাশাওনের খালাতো ভাই মুরাদ আজকের পত্রিকাকে জানান, অবসরযাপনের জন্য শাওন ও তাঁর বন্ধু পরিবার নিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি নাজিরপুরের হোগলা বুনিয়া ফেরার পথে রাত তিনটার দিকে পিরোজপুর নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারটি খালে পড়ে যায়। শাওন নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিল। স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শাওনের মা মাইনুর বেগম দুর্ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ‘কী কারণে শাওন সপরিবারে নিহত হয়েছে, আপনি এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না! শাওনের পরিবারে আর কেউ রইল না!’ এই দুর্ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত কি না, এ বিষয় জানতে চান তিনি। 

শাওনের ভাই জাহিদ বলেন, ‘শাওন খুব ভালো গাড়ি চালাতো। সে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেই গাড়ি চালাতো। কি কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, বুঝতে পারছি না।’ 

পিরোজপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) শাহজাহান কবির আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ আবু নাসের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় রাতেই তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত