বরগুনা সংবাদদাতা
বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় এখন বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। আলোচিত এই ঘটনার পর গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে অনেকেই ক্যামেরা, মোবাইল নিয়ে হাজির হচ্ছেন ভুক্তভোগীর বাড়িতে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিষয়ে অযাচিত প্রশ্ন করা হচ্ছে ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যদের। আইন অমান্য করে ভুক্তভোগীর ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে সামাজিকভাবে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরীকে (১৪) এক বখাটের নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন সকালে ওই কিশোরীকে স্থানীয় পার্কে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (৩৭) ওই দিন রাতেই বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি এলাকায় বাড়ির পাশের ঝোপে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর শিশুটির নিরাপত্তা বিবেচনা করে বাড়িতে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ওই বাড়িতে গেছেন। পরিবারটিকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিভিন্ন দল।
হাইকোর্টের নির্দেশে ১৮ মার্চ সন্ধ্যা থেকে মন্টু দাসের বাড়িতে বসেছে চারজন পুলিশের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা। কিন্তু এরপরও আইনের তোয়াক্কা না করে ভুক্তভোগী কিশোরীকে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করা হচ্ছে। অনেকেই ওই বাড়িতে যাচ্ছেন। পরিবারের অভিযোগ, অবান্তর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। এতে অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে পরিবারটির জীবনযাত্রা।
শিশুটির স্বজনেরা জানান, খবর সংগ্রহের জন্য মানুষজন আসেন। এতে তাঁরা অনেক বিরক্ত হচ্ছেন। ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিভিন্ন প্রশ্নে জর্জরিত করে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ারও চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমাদের খাওয়া নাই, দাওয়া নাই। আমরা কীভাবে বায়রায় (ঘরের বাইরে) যাব, রান্না করব, সাংবাদিকেরা ক্যামেরা চালু করে থাকে। এমনকি গোসল করতেও যেতে পারি না।’
সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সুশান্ত ঘোষ বলেন, ভুক্তভোগীদের বাড়িতে এসে অনেকেই ছবি তুলছে। সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে পরিবারটি কিন্তু আরেক সমস্যায় পড়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের বরগুনা জেলা কমিটির সদস্যসচিব জয়দেব রায় বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারটির সদস্যদের জীবনযাত্রা এখন আর স্বাভাবিক নেই। ঘরের বাইরে গিয়ে যে কাজ করবে, এমন পরিস্থিতি নেই তাঁদের।
এ বিষয়ে কথা হলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওই পরিবারের সদস্যদের নিকটস্থ পটুয়াখালী বা বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। তাদের মানসিক সেবাও লাগবে। পরিবারে যত সদস্য আছে, সবাইকে এই সেবার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় এখন বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। আলোচিত এই ঘটনার পর গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে অনেকেই ক্যামেরা, মোবাইল নিয়ে হাজির হচ্ছেন ভুক্তভোগীর বাড়িতে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিষয়ে অযাচিত প্রশ্ন করা হচ্ছে ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যদের। আইন অমান্য করে ভুক্তভোগীর ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে সামাজিকভাবে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরীকে (১৪) এক বখাটের নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন সকালে ওই কিশোরীকে স্থানীয় পার্কে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (৩৭) ওই দিন রাতেই বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি এলাকায় বাড়ির পাশের ঝোপে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর শিশুটির নিরাপত্তা বিবেচনা করে বাড়িতে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ওই বাড়িতে গেছেন। পরিবারটিকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিভিন্ন দল।
হাইকোর্টের নির্দেশে ১৮ মার্চ সন্ধ্যা থেকে মন্টু দাসের বাড়িতে বসেছে চারজন পুলিশের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা। কিন্তু এরপরও আইনের তোয়াক্কা না করে ভুক্তভোগী কিশোরীকে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করা হচ্ছে। অনেকেই ওই বাড়িতে যাচ্ছেন। পরিবারের অভিযোগ, অবান্তর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। এতে অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে পরিবারটির জীবনযাত্রা।
শিশুটির স্বজনেরা জানান, খবর সংগ্রহের জন্য মানুষজন আসেন। এতে তাঁরা অনেক বিরক্ত হচ্ছেন। ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিভিন্ন প্রশ্নে জর্জরিত করে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ারও চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমাদের খাওয়া নাই, দাওয়া নাই। আমরা কীভাবে বায়রায় (ঘরের বাইরে) যাব, রান্না করব, সাংবাদিকেরা ক্যামেরা চালু করে থাকে। এমনকি গোসল করতেও যেতে পারি না।’
সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী সুশান্ত ঘোষ বলেন, ভুক্তভোগীদের বাড়িতে এসে অনেকেই ছবি তুলছে। সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে পরিবারটি কিন্তু আরেক সমস্যায় পড়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের বরগুনা জেলা কমিটির সদস্যসচিব জয়দেব রায় বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারটির সদস্যদের জীবনযাত্রা এখন আর স্বাভাবিক নেই। ঘরের বাইরে গিয়ে যে কাজ করবে, এমন পরিস্থিতি নেই তাঁদের।
এ বিষয়ে কথা হলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওই পরিবারের সদস্যদের নিকটস্থ পটুয়াখালী বা বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। তাদের মানসিক সেবাও লাগবে। পরিবারে যত সদস্য আছে, সবাইকে এই সেবার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ক্ষমতার দৃশ্যপটে নেই আওয়ামী লীগ। তবে এখনো বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নিয়ন্ত্রণ করছে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, কৃষি উপকরণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানটির অধিকাংশ ডিলার সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। গত ৫ আগস্টের পর ওই সিন্ডিকেটের বাইরে গুদাম থেকে কোনো ডিলার ধানবীজ উত
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ও কমপ্লেক্সের ওপর চোখ পড়েছে ‘মুসল্লী পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের। উন্নয়নের নামে মসজিদের জমি লিখে নেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। আর এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
৫ ঘণ্টা আগেরাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে অস্থায়ী চাকরিতে সেলিম শেখ ঢুকেছিলেন ১৯৯৭ সালে। এখনো তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়নি। চোখের সামনে তিনি দেখেছেন, কয়েকজনের চাকরি স্থায়ী হয়ে গেছে আদালতের আদেশে। কিন্তু তিনিসহ ৬৭ জনের চাকরি স্থায়ী হয়নি। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জনের চাকরি স্থায়ী করার জন্য আদালতের আদেশ থাকলেও তা আমলে নেয়নি বোর্ড। চাকর
৬ ঘণ্টা আগে