মনজুর রহমান, ভোলা
ভোলার লালমোহন উপজেলার জাহাজমারা গ্রামের কৃষকেরা আলু তোলার পর কিছু আলু খেতে পড়ে থাকে। পরে অবশিষ্ট আলু তুলে নেয় মো. রিফাত হোসেন, আপন মজুমদার ও ফজলে রাব্বির মতো একদল শিশু।
এ বিষয়ে রিফাত জানায়, ‘এ গ্রামেই আমাদের বাড়ি। বাবা মো. সেলিম ঢাকার কারওয়ান বাজারে সবজি আনা-নেওয়া করার ভ্যানচালক। বাবার স্বল্প আয় দিয়ে আমাদের সংসার চলে। আমি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি। স্কুল ছুটির পর আমরা বিকেলে খেত থেকে কৃষকের ফেলে যাওয়া অবশিষ্ট আলু কুড়িয়ে নেই। এ আলু সংগ্রহ করে সংসারের আলুর অভাব পূরণ করি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠ থেকে আলু তুলে বস্তায় ঢোকাতে ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিকেরা। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে রিফাতসহ আপন মজুমদার ও ফজলে রাব্বি মতো একদল শিশু কোদাল আর ব্যাগ নিয়ে খেতের আইলে বসে আছে। তারা জমি থেকে আলু ওঠানো শেষ হইতে না হইতে হুমড়ি খেয়ে মাটি খুঁড়ে কৃষকের ফেলে যাওয়া আলু নিজেদের ব্যাগে ঢোকাচ্ছে।
এ বিষয়ে আলুচাষিরা বলেন, ‘সাধারণত খেতে আলুশ্রমিক দিয়ে আলু তুলে থাকি। আলু তোলার সময় অসতর্কতার কারণে কিছু কিছু আলু মাটিতে চাপা পড়ে যায়। এদের টার্গেট হলো এই আলু সংগ্রহ করা। আলু তোলার আগে এরা খেতে প্রবেশ করতে পারে না। কৃষকেরা আলু নিয়ে যাওয়ার পর জমি তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তারা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে ভেতরে লুকিয়ে থাকা আলু বের করে আনে এবং পাশে থাকা ব্যাগে রাখে। মাঝেমধ্যে জমির মালিকের বকাঝকাও তাদের কপালে জোটে। যাদের জমিজমা নেই, কেবল তাদের পরিবারের সন্তানেরা এ কাজ করে।’
আলু কুড়াতে আসা উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামের ফজলে রাব্বির (১০) বলে, ‘আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। স্কুল ছুটির পর বিকেলে কোদাল আর ব্যাগ নিয়ে আলু টোগাইতে যাই। এক বিকেলে আলু টোগাইয়ে চার-পাঁচ কেজি আলু পাই। সব আলু জোগাড় করে আমাগো এক বছরের খাওয়ার আলু হয়ে যায়। আমাগো আর আলু কিনা লাগে না।’
জাহাজমারা গ্রামের কমলা রানী বলেন, ‘আপন মজুমদার ও কার্তিক মজুমদার দুজনেই আমার সন্তান। সারা দিন আলু তুলে মজুরি পায় ২৫০ টাকা। কাজে আসার সময় সঙ্গে সন্তানদের নিয়ে আসি, যাতে সারা দিন তারা আলু কুড়াতে পারে। কাজ শেষে সন্তানদের সঙ্গে আলু কুড়িয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরি। এই কুড়ানো আলু দিয়ে সারা বছর পার হয়ে যায়।’
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. এমাজউদ্দীন জানান, উপজেলায় এ বছর ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ভাগ আলু চাষ হয় পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নে। কৃষকেরা খেত থেকে আলু তুলে নেওয়ার পরে অবশিষ্ট কিছু আলু থেকে যায়। এই শিশুরা কোদাল দিয়ে সেই আলু কুড়িয়ে অনেকেই পরিবারের আলুর চাহিদা পূরণ করে।
ভোলার লালমোহন উপজেলার জাহাজমারা গ্রামের কৃষকেরা আলু তোলার পর কিছু আলু খেতে পড়ে থাকে। পরে অবশিষ্ট আলু তুলে নেয় মো. রিফাত হোসেন, আপন মজুমদার ও ফজলে রাব্বির মতো একদল শিশু।
এ বিষয়ে রিফাত জানায়, ‘এ গ্রামেই আমাদের বাড়ি। বাবা মো. সেলিম ঢাকার কারওয়ান বাজারে সবজি আনা-নেওয়া করার ভ্যানচালক। বাবার স্বল্প আয় দিয়ে আমাদের সংসার চলে। আমি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি। স্কুল ছুটির পর আমরা বিকেলে খেত থেকে কৃষকের ফেলে যাওয়া অবশিষ্ট আলু কুড়িয়ে নেই। এ আলু সংগ্রহ করে সংসারের আলুর অভাব পূরণ করি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠ থেকে আলু তুলে বস্তায় ঢোকাতে ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিকেরা। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে রিফাতসহ আপন মজুমদার ও ফজলে রাব্বি মতো একদল শিশু কোদাল আর ব্যাগ নিয়ে খেতের আইলে বসে আছে। তারা জমি থেকে আলু ওঠানো শেষ হইতে না হইতে হুমড়ি খেয়ে মাটি খুঁড়ে কৃষকের ফেলে যাওয়া আলু নিজেদের ব্যাগে ঢোকাচ্ছে।
এ বিষয়ে আলুচাষিরা বলেন, ‘সাধারণত খেতে আলুশ্রমিক দিয়ে আলু তুলে থাকি। আলু তোলার সময় অসতর্কতার কারণে কিছু কিছু আলু মাটিতে চাপা পড়ে যায়। এদের টার্গেট হলো এই আলু সংগ্রহ করা। আলু তোলার আগে এরা খেতে প্রবেশ করতে পারে না। কৃষকেরা আলু নিয়ে যাওয়ার পর জমি তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তারা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে ভেতরে লুকিয়ে থাকা আলু বের করে আনে এবং পাশে থাকা ব্যাগে রাখে। মাঝেমধ্যে জমির মালিকের বকাঝকাও তাদের কপালে জোটে। যাদের জমিজমা নেই, কেবল তাদের পরিবারের সন্তানেরা এ কাজ করে।’
আলু কুড়াতে আসা উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামের ফজলে রাব্বির (১০) বলে, ‘আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। স্কুল ছুটির পর বিকেলে কোদাল আর ব্যাগ নিয়ে আলু টোগাইতে যাই। এক বিকেলে আলু টোগাইয়ে চার-পাঁচ কেজি আলু পাই। সব আলু জোগাড় করে আমাগো এক বছরের খাওয়ার আলু হয়ে যায়। আমাগো আর আলু কিনা লাগে না।’
জাহাজমারা গ্রামের কমলা রানী বলেন, ‘আপন মজুমদার ও কার্তিক মজুমদার দুজনেই আমার সন্তান। সারা দিন আলু তুলে মজুরি পায় ২৫০ টাকা। কাজে আসার সময় সঙ্গে সন্তানদের নিয়ে আসি, যাতে সারা দিন তারা আলু কুড়াতে পারে। কাজ শেষে সন্তানদের সঙ্গে আলু কুড়িয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরি। এই কুড়ানো আলু দিয়ে সারা বছর পার হয়ে যায়।’
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. এমাজউদ্দীন জানান, উপজেলায় এ বছর ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ভাগ আলু চাষ হয় পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নে। কৃষকেরা খেত থেকে আলু তুলে নেওয়ার পরে অবশিষ্ট কিছু আলু থেকে যায়। এই শিশুরা কোদাল দিয়ে সেই আলু কুড়িয়ে অনেকেই পরিবারের আলুর চাহিদা পূরণ করে।
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে