আমার জায়গাই আমার দখলে, নদী দখল করিনি। নদীর পাশে আমার জমি, পানিতে জমির অনেক অংশ ভেঙে গেছে। মাঝখানে নদীর একটু জায়গা রয়েছে। আমি এখানে মাছ ধরতাম।
মতিন মিয়া, সুখাইজুড়ি নদীতে ঘের নির্মাতা
মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল করত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। পাশাপাশি মাটি ফেলে তৈরি করা হয়েছে বাঁধ। অনেক ঘের আবার লিজ বা ইজারা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সুখাইজুড়ি নদীর ৫ কিলোমিটার অংশ মৃতপ্রায়। নদীর পাশের জমির মালিকেরা নদী দখল করে নিয়েছেন। সুখাইজুড়ি সেতুর পূর্ব পাশে নদীর এক কিলোমিটারে তৈরি করা হয়েছে ঘের। এতে জড়িত আছেন দরিল্ল্যা গ্রামের খোকন মিয়া, ছোবহান মিয়া, মন্নান মিয়া, হান্নান, আব্দুস ছাত্তার, মামুন মিয়া, মতিন মিয়াসহ অনেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুখাইজুড়ি সেতুর পূর্ব দিকে বাঁশ ও জাল দিয়ে ছোট ছোট ৮০-৯০টি ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাটি খনন করে বানানো হয়েছে পুকুর। নদীতে আড়াআড়িভাবে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাঁধ। সেখানে দেখা যায়, একটি ঘেরে আটজন মিলে জাল টেনে মাছ ধরছেন। এর ছবি তুলতে দেখে দৌড়ে আসেন ঘের তৈরি করা ব্যক্তিদের একজন মামুন। তিনি জানান, নদীর একটি অংশে তাঁর নিজস্ব ঘের আছে। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী খোকনের দখলে থাকা আরেক অংশ তিনি ২ লাখ টাকায় লিজ নিয়েছেন।
ঘের লিজ নিয়ে মাছ চাষ করা ছমির উদ্দিন নামের একজন বলেন, ‘নদী তো লিজ নিছি মতিনের কাছ থাইক্কা। ৫০ হাজার টাকা পড়ে গেছে এই সিজনে। এখন মাছ ধরতেছি ঘের থাইক্কা।’ জানতে চাইলে মতিন বলেন, ‘আমার জায়গাই আমার দখলে, নদী দখল করিনি। নদীর পাশে আমার জমি, পানিতে জমির অনেক অংশ ভেঙে গেছে। মাঝখানে নদীর একটু জায়গা রয়েছে। আমি এখানে মাছ ধরতাম। এখন ছমির উদ্দিনকে মাছ ধরতে দিয়েছি, সে কিছু টাকা দিছে।’
এ নিয়ে কথা হলে স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, যাঁর যাঁর জমির সীমানা অনুযায়ী লিজ দিয়ে দিয়েছেন। নদীতে ঘের দেওয়াতে সাধারণ কেউ তো আর মাছ ধরতে পারবেন না। মাইন উদ্দিন নামের আরেকজন বলেন, ‘একসময় নদীতে নেমে মাছ ধরতাম। এখন তো অনেকেই দখলে নিয়েছেন। এটি তো অন্যায়। নদীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা দরকার।’
তবে রাজগাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেকার মোমতাজ ভূঁইয়া খোকন বলেন, ‘এটি দখল না, যাঁর যাঁর প্লট অনুযায়ী ভোগ করে খাচ্ছেন। ইউএনও স্যারকে আমি বলেছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে। আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারব না।’
যোগাযোগ করা হলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘নদী দখল ও লিজ দেওয়ার বিষয়ে খবর পেয়েছি। যাঁরাই জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল করত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। পাশাপাশি মাটি ফেলে তৈরি করা হয়েছে বাঁধ। অনেক ঘের আবার লিজ বা ইজারা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সুখাইজুড়ি নদীর ৫ কিলোমিটার অংশ মৃতপ্রায়। নদীর পাশের জমির মালিকেরা নদী দখল করে নিয়েছেন। সুখাইজুড়ি সেতুর পূর্ব পাশে নদীর এক কিলোমিটারে তৈরি করা হয়েছে ঘের। এতে জড়িত আছেন দরিল্ল্যা গ্রামের খোকন মিয়া, ছোবহান মিয়া, মন্নান মিয়া, হান্নান, আব্দুস ছাত্তার, মামুন মিয়া, মতিন মিয়াসহ অনেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুখাইজুড়ি সেতুর পূর্ব দিকে বাঁশ ও জাল দিয়ে ছোট ছোট ৮০-৯০টি ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাটি খনন করে বানানো হয়েছে পুকুর। নদীতে আড়াআড়িভাবে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাঁধ। সেখানে দেখা যায়, একটি ঘেরে আটজন মিলে জাল টেনে মাছ ধরছেন। এর ছবি তুলতে দেখে দৌড়ে আসেন ঘের তৈরি করা ব্যক্তিদের একজন মামুন। তিনি জানান, নদীর একটি অংশে তাঁর নিজস্ব ঘের আছে। সেই সঙ্গে প্রতিবেশী খোকনের দখলে থাকা আরেক অংশ তিনি ২ লাখ টাকায় লিজ নিয়েছেন।
ঘের লিজ নিয়ে মাছ চাষ করা ছমির উদ্দিন নামের একজন বলেন, ‘নদী তো লিজ নিছি মতিনের কাছ থাইক্কা। ৫০ হাজার টাকা পড়ে গেছে এই সিজনে। এখন মাছ ধরতেছি ঘের থাইক্কা।’ জানতে চাইলে মতিন বলেন, ‘আমার জায়গাই আমার দখলে, নদী দখল করিনি। নদীর পাশে আমার জমি, পানিতে জমির অনেক অংশ ভেঙে গেছে। মাঝখানে নদীর একটু জায়গা রয়েছে। আমি এখানে মাছ ধরতাম। এখন ছমির উদ্দিনকে মাছ ধরতে দিয়েছি, সে কিছু টাকা দিছে।’
এ নিয়ে কথা হলে স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, যাঁর যাঁর জমির সীমানা অনুযায়ী লিজ দিয়ে দিয়েছেন। নদীতে ঘের দেওয়াতে সাধারণ কেউ তো আর মাছ ধরতে পারবেন না। মাইন উদ্দিন নামের আরেকজন বলেন, ‘একসময় নদীতে নেমে মাছ ধরতাম। এখন তো অনেকেই দখলে নিয়েছেন। এটি তো অন্যায়। নদীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা দরকার।’
তবে রাজগাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেকার মোমতাজ ভূঁইয়া খোকন বলেন, ‘এটি দখল না, যাঁর যাঁর প্লট অনুযায়ী ভোগ করে খাচ্ছেন। ইউএনও স্যারকে আমি বলেছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে। আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারব না।’
যোগাযোগ করা হলে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘নদী দখল ও লিজ দেওয়ার বিষয়ে খবর পেয়েছি। যাঁরাই জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে যত রকম আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা যায়, তা-ই করছে সরকার।
৩ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদরের বাতপুকুরিয়া গ্রামে পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে রফিকুল ইসলাম রুবেল (৩৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৮ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাতের আঁধারে খননযন্ত্র দিয়ে নদীতীরের মাটি কেটে নেওয়ার অপরাধে চার ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের বংশাই নদীর ত্রিমোহন ও লৌহজং নদীর পাকুল্যা ঋষিপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন উপজ
১৭ মিনিট আগেমিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনা থেকে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে তল্লাশির কথা বলে কার্গোগুলো আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত জাহাজগুলো ছাড়েনি তারা।
২১ মিনিট আগে