আমতলী পৌর নির্বাচন: বর্তমান মেয়রের ওপর হামলা চেষ্টার অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫: ৩২
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫: ৪৮

বরগুনার আমতলী পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে মোবাইল ফোন প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মো. মতিয়ার রহমানের ওপর হামলা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূজামণ্ডপের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মেয়র মতিয়ার রহমানের অভিযোগ, ‘ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমানের মা অসুস্থ। তাই গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম। তাঁকে দেখে ফেরার পথে হেঁটে রামকৃষ্ণ মন্দিরের সামনে এলে হ্যাঙ্গার প্রতীকের সমর্থক নয়ন মৃধা ও সোহেল গাজীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় দৌড়ে মন্দিরের ভেতরে গিয়ে আশ্রয় নিই। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’

মতিয়ার রহমানের দাবি, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র পদপ্রার্থী নাজমুল আহসান নান্নুর নির্দেশে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় মিজান, সোহাগ বিশ্বাস, সাইদুল, রনি, তারেক, ডালিমসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।’

এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী পৌর শহরে ঢুকেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলার চেষ্টা করেছিল। এই বহিরাগতদের কারণে নির্বাচনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’ তাদের ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান মতিয়ার রহমান।

এ বিষয়ে জানতে হ্যাঙ্গার প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল আহসান নান্নুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে তাঁর সমর্থক আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম ওসমানি হাসান বলেন, ‘রাতের আঁধারে ভোটারদের টাকা দিতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন মতিয়ার রহমান। এলাকাবাসী তাঁকে প্রতিরোধ করেছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মেয়র মতিয়ার রহমানকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত