জাহাজের জ্বালানি অপসারণের উদ্যোগ, নদীতে পানি না ফেলার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ২২: ৩৫
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩, ২২: ৪৫

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের জ্বালানি তেল সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্টরা। এ লক্ষ্যে গঠিত ৮ সদস্যের কমিটি জাহাজের মালিককে চিঠি দিয়েছে। অপর দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জাহাজের জ্বালানি কিংবা পানি কোনোভাবেই নদীতে ফেলা যাবে না। তিন দফায় জাহাজের বিস্ফোরণের ঘটনায় আজ বুধবারও ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছিল।

জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন শিবলীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে অবশিষ্ট জ্বালানি নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কৌশল তৈরি করেছে কমিটি। জ্বালানি অপসারণের কাজ করবে জাহাজের মালিকপক্ষ। এই প্রক্রিয়া চলাকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্কেন্টাইল-১৩ এবং সাগর নন্দিনী-১ নামে দুটি জাহাজ ঘটনাস্থলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জ্বালানি অপসারণ কমিটির প্রধান মো. মামুন শিবলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটিতে পানি প্রবেশ করায় ভারী হয়ে কিছুটা দেবে গেছে। জাহাজটিকে ভাসিয়ে রেখে অবশিষ্ট জ্বালানি তেল সরিয়ে ফেলা নিশ্চিত করাই কমিটির মূল কাজ হবে। এই কাজ করবে জাহাজের মালিকপক্ষ। তবে পরিবেশের ক্ষতি না হয়, সেই দিকে খোয়াল রেখে এই কাজ করা হবে।

সাগর নন্দিনী-২-এর মালিক সৈয়দ বদরুল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রথম বিস্ফোরণের পর জাহাজে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়নি। জাহাজের সকল স্টাফ পদ্মা কোম্পানির ডিপোতে ছিল। আজ বুধবার সৈয়দ বদরুল আলমকে জাহাজ থেকে পানিমিশ্রিত তেলের নমুনা সংগ্রহ করে পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক এ এইচ এম রাশেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা সুগন্ধা নদীর ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এনেছেন। পরীক্ষা শেষে বলা যাবে পানির কতটা ক্ষতি হয়েছে। তবে জাহাজে এখনো পেট্রল আছে। এমনকি পানিও আছে। সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে, ওই পানি নদীতে ফেলা যাবে না।

গত শনিবার দুপুরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে চারজন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত