বেইলি রোডে আগুনে মারা যান ব্যাংক কর্মকর্তা দোলা ও তাঁর বোন মাহি

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ১৭: ১৮
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪, ১৮: ০৯

ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মো. কবির খান জুয়েল ও রাশিদা কবির মুক্তা দম্পত্তির দুই কন্যা ব্যাংক কর্মকর্তা দোলা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মাহি গত বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। তাঁরা থাকতেন ঢাকার মতিঝিলে এজিবি কলোনিতে। গতকাল শুক্রবার ঢাকায় তাঁদের লাশ দাফন করা হয়েছে। দুই মেয়েকে হারিয়ে শোকে স্তব্দ পরিবার।

মাহি ও দোলার সম্পর্কে চাচা হুমায়ুন কবির হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দোলা ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে আইএফআইসি ব্যাংকে চাকরি করত। বছর দুয়েক আগে তার বিয়ে হয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিস থেকে বাসায় ফিরে আসে। বিকেলে বান্ধবী স্মৃতি তাঁকে ফোন দিয়ে এজিবি কলোনির বাসা থেকে নিয়ে যায়। অনেক দিন পর দেখা দুই বান্ধবীর। হাটতে হাটতে বেইলি রোডে যায়। সে সময়ে বেইলি রোডে একটি টিউশনি শেষ করে দোলার ছোট বোন মাহি বের হয়। মাহিও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।’ 

তাঁরা তিনজন নৈশভোজ সারতে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইতে ঢোকেন। এরপর অকস্মাৎ নিচতলার ফাস্ট ফুডের দোকানে আগুন দেখেন দ্রুত ওপর ছড়িয়ে পড়ছে। হন্তদন্ত হয়ে সবাই প্রাণ বাঁচাতে ছোটেন। স্মৃতি যেকোনোভাবে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাহি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। দোলা তাঁকে তুলতে গিয়ে কয়েক সেকেন্ড বিলম্বের কারণে বের হওয়ার সুযোগ আর তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি। তাঁরা সেখানে মৃত্যু বরণ করেন। যখন তাঁরা সেখানে আটকা পড়েন, সে সময় তাঁদের মায়ের সঙ্গে একবার কথা হয়। জানালেন মা আমরা আটকা পড়েছি। এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 

মা-বাবা তাঁদের সন্ধানে ছুটে আসেন। কিন্তু তাঁদের আর পাননি। অবশেষে তাঁদের নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। গতকাল শুক্রবার ঢাকার শাজাহানপুর গোরস্থানে জানাজা শেষে মাহি ও দোলার লাশ দাফন করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত