কঠোর বিধিনিষেধের আগে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ

প্রতিনিধি, বাউফল (পটুয়াখালী)
Thumbnail image

আগামীকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সেই কঠোর বিধিনিষেধের আগেই পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মানুষ ঈদের দ্বিতীয়দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কর্মস্থলে ছুটছে। তবে কোন পরিবহনেই মানা হয়নি সরকারের নির্দেশনা। উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

পটুয়াখালীর নদী বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন উপজেলার প্রধান নদী বন্দর কালাইয়া লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় দুটি আবার ঢাকা থেকে কালাইয়া উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসে দুইটি ডাবল ডেকার লঞ্চ। প্রত্যেকটা পরিবহনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কালাইয়া লঞ্চঘাট থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে এমভি টিপু ও বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বন্ধন ও ধুলিয়া নামের দোতলা লঞ্চ। লঞ্চ গুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা বসে আছে। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত।

এমভি বন্ধন লঞ্চের প্রথম শ্রেণির যাত্রী মাহবুব রহমান বলেন, যাত্রী লঞ্চে যে যার মতন যেখানে পারছে বসে যাচ্ছে। কোন প্রকার শৃঙ্খলা নেই। দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীদের প্রথম শ্রেণির কেবিন করিডরে প্রবেশের নিয়ম না থাকলেও যাত্রীরা সেখানে ঢুকে বসে আছে।

লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘাটে লঞ্চ বাঁধা থাকা অবস্থায় সকাল থেকেই যাত্রীরা বসে আছে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে বিকেল চারটায় লঞ্চ ছেড়েছি। এ সময়ের মধ্যে যাত্রীরা উঠে গেলে আমরা কি করতে পারি বলেন। তবে আমরা চেষ্টা করছি সবাই যেন অন্ততপক্ষে মাস্কটি ব্যবহার করেন।

করোনা প্রতিরোধ ও সচেতনতা বিষয়ক কালাইয়া বন্দর কমিটির সদস্যসচিব প্রভাষক আসম কবিরুজ্জামান বলেন, আসলে পরিবহন গুলোতে এমন একটা অবস্থা হয়ে গেছে যে, একদিকে পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনিয়ম অপরদিকে যাত্রীদের তুলনায় পরিবহন কম। যেহেতু গাদা গাদি করে যাত্রীরা কর্মস্থলে যাচ্ছে আমি মনে তারা যেন লকডাউনের মধ্যে ঘরেই থাকেন। বিধিনিষেধ গুলো মেনে চলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত