ঘুমন্ত স্বামীর পাশেই ‘বিদ্যুতায়িত’ হয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮: ১৩
Thumbnail image

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। মৃতের স্বামীর দাবি, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন। তবে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুর দাবি মানতে নারাজ মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা।

পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লতাচাপলি ইউনিয়নের গোড়া আমখোলাপাড়া এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর নাম রুবিনা বেগম (২৪)। তিনি ওই এলাকার আবু বক্কর ফরাজীর (৩০) স্ত্রী। রুবিনা লতাচাপলি ইউনিয়নের গোড়া আমখোলাপাড়া গ্রামের মো. আফজাল মৃধার মেয়ে।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার আবুল খায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্বামীর ভাষ্যমতে, তাঁরা রাতের খাবার শেষে একসঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। বিছানায় মাল্টিপ্লাগ দিয়ে ফ্যান চালানো ছিল। রাত ২টার দিকে ফ্যান বন্ধ থাকায় ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তিনি। পরে স্ত্রীকে ডাকলে কোনো সাড়া না পেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করলে লোকজন এসে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

ওসি আরও বলেন, ‘মৃতের হাতে মাল্টিপ্লাগের খাপযুক্ত পোড়া দাগ রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। আপাতত কাউকে আটক করা হচ্ছে না।’

মৃত রুবিনা বেগমের ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কিছুই বলতে পারছি না। আবু বক্কর ফরাজী যা বলছেন, তা বিশ্বাস হচ্ছে না। আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বামীর ভাষ্য অনুযায়ী মৃত্যুর কারণ রহস্যজনক মনে হচ্ছে। বিদ্যুতায়িতের যে বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে, তা কোনোভাবেই বিশ্বাস হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে মহিপুর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করেছি।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আট বছর আগে কুয়াকাটা পৌরসভার পশ্চিম কুয়াকাটা গ্রামের আব্দুল মালেক ফরাজী ছেলে আবু বক্কর ফরাজীর সঙ্গে রুবিনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশ কয়েক বছর তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ছিল। আদালতে মামলা হলে আবু বক্কর ফরাজী মাসখানেক জেলে ছিলেন। তবে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর গত দুই বছর যাবৎ তাঁরা সুখে-শান্তিতে ছিলেন। জিহাদ নামে তাদের ৬ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত