কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিবছর বেড়াতে আসে লাখো পর্যটক। প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এখানে ভিড় জমায়। কিন্তু বর্তমানে সৈকতের যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। বিভিন্ন নিচু স্থানে দীর্ঘদিন ধরে জমে রয়েছে পানি। ফলে দূষিত হচ্ছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের পরিবেশ। পচা গন্ধে আগত পর্যটকদের চোখেমুখে দেখা দেয় বিরক্তির ছাপ। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট ও প্রতিনিয়ত সৈকত পরিচ্ছন্ন না করার কারণে এমন দুরবস্থা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকেরাই খাবারের অবশিষ্টাংশসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ফেলে রাখছেন সৈকতে। এ ছাড়া সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ফুচকা-চটপটি এবং ফিশ ফ্রাইয়ের দোকান। এসব দোকানের বর্জ্যও ফেলে রাখা হয় সৈকতে। বিশেষ করে সৈকতের বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন হোটেলের পানি এসে পড়ে সৈকতে। এসব পানি সৈকতের পশ্চিম পাশের নিচু স্থানে জমে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সৈকতে পড়ে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং পচা পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধে অনেকটা বিরক্ত প্রকাশ করেছে পর্যটকেরা।
এদিকে সৈকতের গঙ্গামতি, ঝাউবাগান ও লেম্বুর চরে প্রায়ই ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। এসব জেলি ফিশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালেও অপসারণে নেই কোনো উদ্যোগ।
লালমনিরহাট থেকে আসা পর্যটক আরিয়ান বলেন, আমরাই প্লাস্টিকের বোতলসহ খাবার ফেলে রেখে সৈকত অপরিচ্ছন্ন করে রাখছি। আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। এ ছাড়া এখানকার ব্যবসায়ীরাও ইচ্ছেমতো সৈকতটি ব্যবহার করছে। বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখছে। সার্বক্ষণিক সৈকত এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
খুলনা থেকে আসা নাবিল-রাইমা দম্পতি বলেন, সৈকতের পশ্চিম পাশে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে, যার ফলে বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে সমস্যা হচ্ছে।
সৈকতের চটপটি-ফুচকা ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন, ‘আমরা সৈকত সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। পৌরসভার কয়েকজন সপ্তাহে দুবার সৈকত পরিচ্ছন্ন করেন। তাঁদের আমরা টাকা দিই। কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে।
সৈকতের লাগোয়া কসমেটিকস ব্যবসায়ী মো. সুলতান বলেন, পৌরসভার কর্মীরা সঠিকভাবে সৈকত পরিচ্ছন্ন করেন না, যার ফলে সৈকতের আজ এই দুরবস্থা।
ওয়ার্ল্ড ফিশ ইকোফিস-২ অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘আমরা কুয়াকাটায় ব্লুগার্ড কর্মীদের মাধ্যমে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া জনগণকে সচেতন করতে নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, সৈকতের পরিচ্ছন্নতার কাজে ৪০ জন কর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া পৌরসভার কর্মী ও ব্লুগার্ডের সদস্যরাও এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তার পরও আমাদের মনে হচ্ছে সৈকতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে।
সদস্যসচিব আরও বলেন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির মাধ্যমে অচিরেই আরও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়ে কাজের গতি বাড়ানো হবে।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিবছর বেড়াতে আসে লাখো পর্যটক। প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এখানে ভিড় জমায়। কিন্তু বর্তমানে সৈকতের যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। বিভিন্ন নিচু স্থানে দীর্ঘদিন ধরে জমে রয়েছে পানি। ফলে দূষিত হচ্ছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের পরিবেশ। পচা গন্ধে আগত পর্যটকদের চোখেমুখে দেখা দেয় বিরক্তির ছাপ। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট ও প্রতিনিয়ত সৈকত পরিচ্ছন্ন না করার কারণে এমন দুরবস্থা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকেরাই খাবারের অবশিষ্টাংশসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ফেলে রাখছেন সৈকতে। এ ছাড়া সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ফুচকা-চটপটি এবং ফিশ ফ্রাইয়ের দোকান। এসব দোকানের বর্জ্যও ফেলে রাখা হয় সৈকতে। বিশেষ করে সৈকতের বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন হোটেলের পানি এসে পড়ে সৈকতে। এসব পানি সৈকতের পশ্চিম পাশের নিচু স্থানে জমে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সৈকতে পড়ে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং পচা পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধে অনেকটা বিরক্ত প্রকাশ করেছে পর্যটকেরা।
এদিকে সৈকতের গঙ্গামতি, ঝাউবাগান ও লেম্বুর চরে প্রায়ই ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। এসব জেলি ফিশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালেও অপসারণে নেই কোনো উদ্যোগ।
লালমনিরহাট থেকে আসা পর্যটক আরিয়ান বলেন, আমরাই প্লাস্টিকের বোতলসহ খাবার ফেলে রেখে সৈকত অপরিচ্ছন্ন করে রাখছি। আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। এ ছাড়া এখানকার ব্যবসায়ীরাও ইচ্ছেমতো সৈকতটি ব্যবহার করছে। বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখছে। সার্বক্ষণিক সৈকত এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
খুলনা থেকে আসা নাবিল-রাইমা দম্পতি বলেন, সৈকতের পশ্চিম পাশে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে, যার ফলে বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে সমস্যা হচ্ছে।
সৈকতের চটপটি-ফুচকা ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন, ‘আমরা সৈকত সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। পৌরসভার কয়েকজন সপ্তাহে দুবার সৈকত পরিচ্ছন্ন করেন। তাঁদের আমরা টাকা দিই। কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে।
সৈকতের লাগোয়া কসমেটিকস ব্যবসায়ী মো. সুলতান বলেন, পৌরসভার কর্মীরা সঠিকভাবে সৈকত পরিচ্ছন্ন করেন না, যার ফলে সৈকতের আজ এই দুরবস্থা।
ওয়ার্ল্ড ফিশ ইকোফিস-২ অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘আমরা কুয়াকাটায় ব্লুগার্ড কর্মীদের মাধ্যমে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া জনগণকে সচেতন করতে নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, সৈকতের পরিচ্ছন্নতার কাজে ৪০ জন কর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া পৌরসভার কর্মী ও ব্লুগার্ডের সদস্যরাও এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তার পরও আমাদের মনে হচ্ছে সৈকতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে।
সদস্যসচিব আরও বলেন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির মাধ্যমে অচিরেই আরও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়ে কাজের গতি বাড়ানো হবে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। তবে আক্রান্ত রোগীদের তালিকায় শিশুদের সংখ্যাই বেশি।
১ ঘণ্টা আগে‘বাজারে যে ব্যবস্থা আছে, তাতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম কমানো কঠিন। তবে আমরা প্রমাণ রাখতে চাই- মাছ ধরার উৎস থেকে সরাসরি বিক্রয়ের জায়গায় আনতে পারি, তাহলে এটার দাম কমানো সম্ভব। আমরা বাজারের মধ্যস্বত্বভোগী কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই...
১ ঘণ্টা আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিতে এলে তাঁকে আটক করা হয়। পরে আশুলিয়া থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ থেকে গাজীপুরগামী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানি তেল বহনকারী জাহাজ থেকে ৩৬০ মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তেল লুটে ব্যবহৃত এমভি ভূঁইয়া নামে একটি বাল্কহেড, তেল আনলোড করার শ্যালো মেশিনের দুটি পাইপ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র
২ ঘণ্টা আগে