Ajker Patrika

শ্রেণি কক্ষে ছাদের বিম ভেঙে ছিঁড়ে পড়ল ফ্যান, শিক্ষক আহত, আতঙ্কিত শিশু শিক্ষার্থীরা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
শ্রেণি কক্ষে ছাদের বিম ভেঙে ছিঁড়ে পড়ল ফ্যান, শিক্ষক আহত, আতঙ্কিত শিশু শিক্ষার্থীরা

বরগুনার তালতলী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চলাকালে ছাদের বিম ভেঙে ফ্যান ছিঁড়ে পড়ায় শিক্ষক আহত হয়েছেন। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ওই শ্রেণিতে থাকা অর্থ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় শিশু শিক্ষার্থীরা চিৎকার করে ক্লাস ছেড়ে চলে যায়। এতে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

এদিকে আহত শিক্ষককে অন্য শিক্ষকেরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। তালতলী উপজেলার বগীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পিইডিপি-২ প্রকল্পের অধীনে ২০০৬ সালে তালতলী উপজেলার বগীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ক্লাস চলাকালীন ভবনের বিম ভেঙে ফ্যান ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক আহত হন। আহত শিক্ষককে অন্য শিক্ষকেরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। 

অল্পের জন্য ওই শ্রেণি কক্ষে থাকা অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী রক্ষা পেয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা শ্রেণি কক্ষ ছেড়ে দৌড়ে যায়। খবর পেয়ে অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। এ ঘটনায় এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভবন নির্মাণের ১৮ বছরের মাথায় বিম ধসে ফ্যান ছিঁড়ে শিক্ষক আহত হওয়ায় ঘটনায় তদন্তের দাবি জানান এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও ত্রুটি ছিল। 

বিদ্যালয় অভিভাবক মো. নজরুল ইসলাম বিশ্বাস ও কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণের ১৮ বছরের মাথায় ভবনের বিম ভেঙে শিক্ষক আহতের ঘটনায় আমরা হতাশ। কীভাবে আমাদের শিশু সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাব? এতে অভিভাবকেরা বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। দ্রুত এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ 

আহত সহকারী শিক্ষক মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ক্লাসে পাঠদান করছিলাম, হঠাৎ বিম ধসে ফ্যান ছিঁড়ে আমার মাথায় পড়ে। এতে আমি বেশ জখম হয়েছে। অল্পের জন্য শিশু শিক্ষার্থীরা রক্ষা পেয়েছে।’ 

তালতলী উপজেলার বগীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভেঙে পড়া ফ্যান। ছবি: আজকের পত্রিকাবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক বলেন, ‘আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আতঙ্কিত। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে ফেরাতে কষ্ট হবে।’ 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মনিরুজ্জামান খান বলেন, শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিককে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত