বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কি না, তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের।
নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকায় নাদেরিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর মেজো।
আরিফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে তো আর নেই। বাবারে শেষ দেখা দেখতেও পারলাম না। আমাদের বাঁচার অবলম্বনটুকু শেষ। এখন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি, আমরা যেন আমাগো আরিফের লাশটা পাইতে পারি। ক্ষতি যা হওয়ার হইছে, এহন পোলার লাশটা আইন্না দ্যান আমনেরা।’
গত বুধবার মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন হাদিস। বাড়িতে এসেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ ছিল তাঁর। জানিয়েছিলেন, আটকে থাকা জাহাজ ছাড়া পেলে শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ওই দিন বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ রাশিয়ার সৈন্যদের রকেট হামলার শিকার হলে নিহত হন হাদিসুর রহমান আরিফ।
আরিফ উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের পড়াশোনা শেষ করে বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে জিপিএ-৪.৬০ নিয়ে বেতাগী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। ২০১২ সালে সেখান থেকে সিজিপিএ ২.৬৮ নিয়ে বিএমএস পাস করে ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আরিফ ২০১৮ সাল থেকে ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে ছিল। শ্রীলঙ্কা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর সে ইউক্রেনের উদ্দেশে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, আরিফের মরদেহটি যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁর পরিবার যেন আর্থিক সহযোগিতা পায়।’
স্বজনেরা জানান, আট বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জাহাজে কর্মরত ছিলেন আরিফ। বুধবার জাহাজ থেকে ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্সকে ফোন করেন তিনি। নেটওয়ার্ক না থাকায় জাহাজের ওপরে উঠে প্রিন্সের সঙ্গে কথা বলার সময় জাহাজে একটি বিকট শব্দ হওয়ার পর আরিফের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরিফের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টায় সর্বশেষ ভাইয়ার সঙ্গে কথা হয়। রাশিয়ান সৈন্যদের হামলার সময় ভাইয়া বাইরে এসে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। কথা বলার সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পরে কিছুই শুনতে পাইনি। আমার ভাই ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান। আমার ভাইকে তো আর ফিরে পাব না, এখন আমরা শুধু লাশটা ফিরে পেতে চাই।’
নিহত আরিফের সেজো ভাই তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘আমার ভাই মারা গেছে দেশের জন্য। এবার বাড়ি ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তার। আমরা মেয়েও দেখে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন সব শেষ। সরকারের কাছে এখন একটাই দাবি, আমার ভাইয়ের লাশটা আমাদের কাছে ফিরিয়ে এনে দিন।’
হাদিসুর রহমানের মা রাশিদা বেগম বলেন, ‘বাবায় কইছিলে আমারে বিদেশ নিয়া যাইবে, জাহাজ ঘুরাইয়া দেখাইবে। কিন্তু তা আর হইল না, আল্লাহ তারে নিয়া গেল। আমার ছেলে তো আর বাইচ্চা নাই। এহন লাশটা যাতে পাইতে পারি সে জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ রইল। লাশ না পাইলে আমার বাবার চিহ্নটাই থাকবে না।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমরা নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছি। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা দেশের বাইরে। তাই তাঁর মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে যে প্রক্রিয়া, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আপনারা একটু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হাদিসুর রহমান আরিফের গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। এ সময় তিনি হাদিসের শোকার্ত পিতামাতাকে সান্ত্বনা দেন এবং মরদেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আরিফের মরদেহ দেশে আনার এবং সেখানে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, মরদেহটি চলে আসবে এবং সেখানে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হবে।
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নিহত হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে আসবে কি না, তা নিয়ে এখন শঙ্কা তাঁদের।
নিহত নৌ প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি ওই এলাকায় নাদেরিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে হাদিসুর মেজো।
আরিফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে তো আর নেই। বাবারে শেষ দেখা দেখতেও পারলাম না। আমাদের বাঁচার অবলম্বনটুকু শেষ। এখন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি, আমরা যেন আমাগো আরিফের লাশটা পাইতে পারি। ক্ষতি যা হওয়ার হইছে, এহন পোলার লাশটা আইন্না দ্যান আমনেরা।’
গত বুধবার মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন হাদিস। বাড়িতে এসেছিলেন মাস ছয়েক আগে। তবে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ ছিল তাঁর। জানিয়েছিলেন, আটকে থাকা জাহাজ ছাড়া পেলে শিগগিরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ওই দিন বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ রাশিয়ার সৈন্যদের রকেট হামলার শিকার হলে নিহত হন হাদিসুর রহমান আরিফ।
আরিফ উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের পড়াশোনা শেষ করে বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে জিপিএ-৪.৬০ নিয়ে বেতাগী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। ২০১২ সালে সেখান থেকে সিজিপিএ ২.৬৮ নিয়ে বিএমএস পাস করে ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের একটি জাহাজে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আরিফ ২০১৮ সাল থেকে ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে ছিল। শ্রীলঙ্কা থেকে গত ১২ ডিসেম্বর সে ইউক্রেনের উদ্দেশে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, আরিফের মরদেহটি যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয় এবং তাঁর পরিবার যেন আর্থিক সহযোগিতা পায়।’
স্বজনেরা জানান, আট বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জাহাজে কর্মরত ছিলেন আরিফ। বুধবার জাহাজ থেকে ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্সকে ফোন করেন তিনি। নেটওয়ার্ক না থাকায় জাহাজের ওপরে উঠে প্রিন্সের সঙ্গে কথা বলার সময় জাহাজে একটি বিকট শব্দ হওয়ার পর আরিফের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরিফের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টায় সর্বশেষ ভাইয়ার সঙ্গে কথা হয়। রাশিয়ান সৈন্যদের হামলার সময় ভাইয়া বাইরে এসে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। কথা বলার সময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পরে কিছুই শুনতে পাইনি। আমার ভাই ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান। আমার ভাইকে তো আর ফিরে পাব না, এখন আমরা শুধু লাশটা ফিরে পেতে চাই।’
নিহত আরিফের সেজো ভাই তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘আমার ভাই মারা গেছে দেশের জন্য। এবার বাড়ি ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল তার। আমরা মেয়েও দেখে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন সব শেষ। সরকারের কাছে এখন একটাই দাবি, আমার ভাইয়ের লাশটা আমাদের কাছে ফিরিয়ে এনে দিন।’
হাদিসুর রহমানের মা রাশিদা বেগম বলেন, ‘বাবায় কইছিলে আমারে বিদেশ নিয়া যাইবে, জাহাজ ঘুরাইয়া দেখাইবে। কিন্তু তা আর হইল না, আল্লাহ তারে নিয়া গেল। আমার ছেলে তো আর বাইচ্চা নাই। এহন লাশটা যাতে পাইতে পারি সে জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ রইল। লাশ না পাইলে আমার বাবার চিহ্নটাই থাকবে না।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমরা নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছি। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা দেশের বাইরে। তাই তাঁর মরদেহ ফেরত আনার বিষয়ে যে প্রক্রিয়া, সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আপনারা একটু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় হাদিসুর রহমান আরিফের গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। এ সময় তিনি হাদিসের শোকার্ত পিতামাতাকে সান্ত্বনা দেন এবং মরদেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। আরিফের মরদেহ দেশে আনার এবং সেখানে আটকে থাকাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, মরদেহটি চলে আসবে এবং সেখানে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হবে।
সম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
৫ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৩ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
১৬ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ৯ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
১৯ মিনিট আগে