ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন পরীক্ষা শেষ, সরবরাহে প্রস্তুত 

ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ১০: ০৯
Thumbnail image

ভোলায় নতুন আবিষ্কার ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন পরীক্ষা শেষ হয়েছে। গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গ্যাসক্ষেত্রটিকে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। জেলার সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালেরহাট এলাকায় এই গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত।

আজ মঙ্গলবার সকালে ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন পরীক্ষা শেষ হয়েছে বলে জানান বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের ২৯তম ভোলা সদরের ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র থেকে আমরা উৎপাদন পরীক্ষা শেষ করেছি। এই লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি বসিয়ে যা যা করার তা করে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। বাপেক্স আরও দুটি টেস্টিংয়ের কাজ শুরু করবে।’ 

ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্রে মোট ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) অথবা এরও বেশি ঘনফুট গ্যাস মজুত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব, তা চলবে প্রায় ২৬ বছর।’

বাপেক্স জানায়, ভোলায় বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয়েছে, যার সূত্র ধরেই ৯টি কূপ খনন হয়েছে। প্রতিটি কূপেই অনেক বেশি পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। আরও পাঁচটি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।

ভোলায় আরও একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাপেক্স। সেটি আবিষ্কৃত হলে গ্যাসক্ষেত্র খননের সংখ্যা আরও বাড়বে। এ ছাড়া চরফ্যাশন ও মনপুরায় গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে জরিপ করবে বাপেক্স। আরও নতুন পাঁচটি কূপ খননের অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে শাহবাজপুরে দুটি, ভোলা নর্থে দুটি ও ইলিশায় একটি। আরও গ্যাস অনুসন্ধানে জরিপ করবে বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগ।

১৯৯৩-৯৪ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে প্রথম শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ১৯৯৫ সালের দিকে উৎপাদনে যায় বাপেক্স। এরপর থেকেই উপকূলীয় এই দ্বীপ জেলা ভোলায় একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত