স্ত্রীর মর্যাদা পেতে যুবকের বাড়িতে তরুণীর অনশন, যুবকের অস্বীকার

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২২, ১৯: ৩৯
আপডেট : ০৭ মে ২০২২, ২২: ০৬

পিরোজপুরের নাজিরপুর সাতকাছিমা গ্রামে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে মো. রবিউল ইসলাম খানের (২৬) বাড়িতে নুসরাত জাহান তন্নী (১৫) নামের এক কিশোরী অনশনরত অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক রবিউল ইসলামসহ তাঁর পরিবারের লোকজন ঘরে তালা লাগিয়ে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী একই গ্রামের মো. ফায়জুল খানের কন্যা ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম খান ওই গ্রামের মো. ছালেক খানের ছেলে।

আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ওই কিশোরী রবিউলের ঘরের দরজার সামনে অবস্থান করছে। এ সময় তার সঙ্গে কথা হলে প্রতিবেদককে বলে, ‘গত চার দিন ধরে স্বামী রবিউল ও তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই।’

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, তাঁর একমাত্র মেয়েকে বিয়ে করতে রবিউল ও তাঁর পরিবার তাঁকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়। পরে গত বছরের ৬ আগস্ট পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কিন্তু মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে তাঁরা স্থানীয় হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর থেকে জামাতা রবিউল যৌতুকের জন্য তাঁর মেয়েকে মারধরসহ চাপ দিতে থাকেন। পরে তাঁর চাহিদামতো ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ঈদের আগে আবারও ব্যবসার কথা বলে টাকা আনতে বললে তাঁর মেয়ে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানায়। এ কারণে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রবিউলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ওই কিশোরীকে বিয়ে করিনি। আমার বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন খান বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা আমার কাছে একটি মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। আমি তাঁকে ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।’

এ বিষয়ে ইউএনও শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল সাদীদ বলেন, ‘ওই কিশোরী ও তার মা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত