পাসপোর্ট নেই, ৩১ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ছিন্নমূল জীবন বরিশালের সান্টুর

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি 
Thumbnail image
মালয়েশিয়ায় ছিন্নমূল হয়ে পথে পথে ঘুরছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সান্টু মিয়া। ছবি: সংগৃহিত

মালয়েশিয়ায় ছিন্নমূল হয়ে পথে পথে ঘুরছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সান্টু মিয়া। বিদেশি নারীকে বিয়ে করে সেখানেই সংসার পাতা সান্টু সব হারিয়ে এখন ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানুষের কাছে হাত পেতে যা পান, তা খেয়ে খোলা জায়গায় রাত্রি যাপন করছেন। দীর্ঘদিনেও তাঁর কোনো খোঁজ পাননি বাংলাদেশে থাকা পরিবারের লোকজন।

গত মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর শহরের বুকিবিন্তান এলাকায় সান্টুর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন আগৈলঝাড়ার শাহিন ফকির। সেই ভিডিও দেখে তাঁকে চিনতে পারেন পরিবারের লোকজন। তাঁরা ৩১ বছর আগে মালয়েশিয়া যাওয়া সান্টুকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাগধা গ্রামের আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে সান্টু ১৯৯৩ সালে মালয়েশিয়া যান। কিছুদিন পর ওই দেশের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। একপর্যায়ে স্ত্রীর ভাইয়েরা তাঁকে নেশা করার অভিযোগে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয়। অন্যদিকে প্রথম কর্মস্থলে তাঁর পাসপোর্ট জমা থাকায় অন্য কোথাও কাজ পাননি।

এরপরই তাঁর ভবঘুরে জীবন শুরু হয়। কয়েকবার জেলেও যান। এর মধ্যে ওই দেশে রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া ইউএন কার্ডে নিজেকে তালিকাভুক্ত করায় দেশে ফেরার পথও বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার তাঁর ভিডিও দেখার পর দুজন প্রবাসী আত্মীয় বুধ ও বৃহস্পতিবার ওই এলাকাসহ আশপাশে খুঁজেও তাঁর সন্ধান পাননি।

সান্টুর বড় ভাই সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সান্টু মিয়া ৩১ বছর আগে মালয়েশিয়া যায়। পাসপোর্ট না থাকা ও রোহিঙ্গা ইউএন কার্ড থাকার কারণে সে দেশে আসতে পারছে না।’

এ ব্যাপারে বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, ‘সান্টুকে মালয়েশিয়া থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁর পরিবার আমার সহযোগিতা চাইলে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত