বাস চলাচল বন্ধে ভোগান্তিতে কুয়াকাটার পর্যটকেরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৩৭
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৫০

পরিবারের সবাই মিলে কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে বিপাকে পড়েছেন সালমা বেগম। শুধু সালমা বেগম নন, মুন্সিগঞ্জের মোশারফ হোসেন, ঢাকার মাছুমসহ আরও অনেকে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। 

রংপুর থেকে আগত সালমা বেগম পটুয়াখালী শহরের বাসস্ট্যান্ডে বসে বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তির কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, `পরিবারের সবাই একসঙ্গে কুয়াকাটায় ঘোরার ইচ্ছা অনেক দিন থেকে ছিল। কিন্তু এসে বিপদে পড়লাম। আজ থেকে বাস বন্ধ এটি জানলে আসতাম না।’

ঢাকার মুন্সিগঞ্জ থেকে আগত মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কুয়াকাটা দেখব বলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ১২ জন বন্ধুরা মিলে পটুয়াখালী এসেছি। এখানে আসার পরে ভোগান্তির শেষ নেই। বাসভাড়া ১০০ টাকা, সেখানে অটো ভাড়া চাইছে জনপ্রতি ২০০ টাকা। এত ভোগান্তি আগে জানতাম না।’ 

সারা দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঘোষণা ছাড়াই সারা দেশে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক-শ্রমিকেরা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা মহাসড়কে কোনো বাস দেখা যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কুয়াকাটা ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। তবে বাস মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। ভাড়া বাড়ানো না হলে তারা রাস্তায় বাস নামাবেন না।

সকালে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ভোরে ধর্মঘট শুরু হলেও কিছু বাস-ট্রাক শেষ গন্তব্যে পৌঁছানোর দৌড়ে ব্যস্ত। তবে ছোট ছোট যান বিশেষ করে অটো, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল করছে। এরপর বাস বন্ধ থাকায় তিন চাকা ও দুই চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্য বেড়েছে মহাসড়কে। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে গুনতে হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া। 

ঢাকা থেকে আগত মো. মাছুম বলেন, ‘কুয়াকাটা যাব, কিন্তু বাস বন্ধ। এখন পটুয়াখালী চলেও আসছি, যাওয়ার সুযোগ নেই। বাস বন্ধ থাকায় পর্যটকদের কাছ থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছেন অটোচালকেরা।’

বাস স্টাফ সিহাব বলেন, ‘ডিজেল প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বেড়েছে। কিন্তু এখনো গাড়িভাড়া বাড়েনি। সেতুর টোল ৩৪০ টাকা।’ 

মুনসেফ পরিবহনের স্টাফ সোহাগ বলেন, ‘যদি তেলের দাম আগের দামে রাখে এবং টোল ভাড়া কমিয়ে দেয় তাহলে ভালো হবে। গাড়ি ভাড়া বাড়বে না। মালিক না বাঁচলে আমাগো বাঁচিয়ে রাখবে কেমনে?’ 

পটুয়াখালী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ মৃধা বলেন, ‘তেলের মূল্য ও টোলের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে বাস ধর্মঘট চলছে। গত সাত বছর ধরে সরকার বলছে গাড়িভাড়া বৃদ্ধি করবে, কিন্তু আদৌ বৃদ্ধি করতে দিচ্ছে না। লোকসান হওয়ায় সব মালিকের সিদ্ধান্তের কারণে বাস বন্ধ রয়েছে। কেউ লোকসান দিয়ে বাস চালাবে না।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত