Ajker Patrika

কৃষক দলের সভাপতিকে কোপালেন যুবদল নেতা

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় কৃষক দলের সভাপতিকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চরবোরহান বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. মোমিন গাজী (৪৫) উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি। আর অভিযুক্ত মো. জুয়েল হোসেন রাকিব একই ইউনিয়নের যুবদল নেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। এতে চরবোরহান ইউনিয়নে মোমিন গাজী এককভাবে চূাড়ান্ত হন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ইউনিয়নের আবেদনকারী ও যুবদল নেতা রাকিব হোসেন অভিযোগ করেন, তাঁর নাম ষড়যন্ত্র করে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি নির্বাহী কর্মকর্তা, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা, খাদ্য পরিদর্শকসহ বাছাই কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করেন। তবে রাকিবের আবেদনে তথ্যগত ভুল থাকায় তিনি বাদ পড়েন।

ওই সময় থেকে রাকিক একের পর এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার অফিসের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুবদল নেতা রাকিবসহ সাত-আটজন মোমিন গাজীকে ডিলার হিসেবে তাঁর নাম (রাকিব) লিখে দেওয়ার জন্য বললে মোমিন অস্বীকার করেন। তখন মোমিনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত মোমিন গাজী বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার হওয়ার পর থেকে রাকিব বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দেয়। আমি উপজেলা প্রশাসনের লটারির মাধ্যমে ডিলার হয়েছি। শনিবার (আগামীকাল) চাল বিতরণ করব; সে জন্য টাকা জমা দিয়েছি। রাকিব আমার কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাভের একটি অংশ দাবি করলে আমি দিতে অস্বীকার করায় আমার ওপর রাকিব, হুমায়ন, হেলালসহ সাত-আটজন হামলা করে মাথায় ও পিঠে কোপায়।’

অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল হোসেন রাকিব বলেন, ‘আমি কোনো হামলা করিনি; বরং আমাকে মোমিন গাজী, তার ভাই ও ছেলে মারধর করেছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উপজেলা যুবদলের নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি।’

উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি। সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী কাজ করব।’

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, বিষয়টি জেনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত