নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বরগুনার দারুস সুন্নাহ হজ কাফেলা এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে একজন ভুক্তভোগী আজ বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। এর আগে কয়েকজন ভুক্তভোগী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও অভিযোগ করেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মুবিন আজকের পত্রিকাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
দারুস সুন্নাহ হজ কাফেলা এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জাকারিয়া বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ওলামাগঞ্জ এলাকার মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে। বরগুনা পৌর শহরের আল-মিজান শপিং কমপ্লেক্স অ্যান্ড মসজিদ মার্কেটের দারুস সুন্নাহ হজ ও ওমরাহ এজেন্সি অফিসের পরিচালক তিনি। জাকারিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টে বাগেরহাটের আলাদা ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বরগুনা থেকে দারুস সুন্নাহ হজ ও ওমরাহ এজেন্সির পরিচালক মাওলানা জাকারিয়ার মাধ্যমে আগস্ট মাসে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান ৩২ জন। সেখানে তাঁদের হাতখরচের প্রায় ২৮ লাখ টাকা ও বিমানের ফিরতি টিকিট না দিয়ে পালিয়ে যান জাকারিয়া। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় ১৪ দিনের প্যাকেজে ওমরাহ পালন করতে যান তাঁরা। এর আগে সেখানে গিয়ে খরচের জন্য টাকা ভাঙিয়ে সৌদি রিয়াল দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন জাকারিয়া।
ভুক্তভোগী পাথরঘাটার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সৌদি আরব গিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ ও স্ত্রীর জন্য গয়না কিনতে ইসলামী ব্যাংক পাথরঘাটা এজেন্ট শাখা থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বরগুনা ইসলামী ব্যাংকে জাকারিয়ার অ্যাকাউন্টে পাঠাই। কথা থাকে, এ টাকার পরিবর্তে মক্কায় গিয়ে রিয়াল দেবেন তিনি। কিন্তু রিয়াল না দিয়ে জাকারিয়া বলেন, মদিনায় মালামালের দাম কম, সেখানে গিয়ে রিয়াল দেবেন। পরে মদিনায় গিয়ে রিয়াল চাইলে বলেন, ব্যাংকের ঝামেলার কারণে টাকা পাস হচ্ছে না, দেশে গিয়ে টাকা দিয়ে দেবেন।’
তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে কয়েক দফা তাগাদা দিই। পরে বরগুনার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তাঁদের কাছে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর টাকা পরিশোধ করার কথা বলেন। নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করে গত ৪ ডিসেম্বর পুনরায় টাকা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ওই তারিখেও টাকা পরিশোধ না করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন জাকারিয়া। এর আগে ওমরাহ থেকে দেশে আসার সময় বিমানের ফিরতি টিকিট নিশ্চিত না করে সবাইকে বিমানবন্দরে রেখে সটকে পড়েন দিন। তখন ৩২ জন নিজ খরচে টিকিট কেটে দেশে ফেরেন।’
একই অভিযোগ করেন বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান খোকা। তিনি বলেন, ‘রিয়াল দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেন। একই ভাবে সৌদি আরবে অবস্থানকালে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দেশে ফিরে টাকা দেওয়ার কথা বলেন।’
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার এছাহাক আলী, আবদুল খালেক, রহমত আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসলিমা বেগম, আলেয়া বেগম, শাহনাজ পারভীন ও নাসিমা বেগমের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা; বরগুনার বামনা উপজেলার বাসিন্দা সোবাহান মাস্টার, কবির, নজরুল, আজহার উদ্দিন মাস্টার, হালিমা বেগম, ফিরোজা বেগম ও নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে ৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা নিয়েছেন। তা ছাড়া বরগুনা সদর ও বেতাগীর সাতজনের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নেন এম এম জাকারিয়া।
ওই ৩২ যাত্রীর ফিরতি টিকিটের বিমান ভাড়া ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা এম এ জাকারিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান মনজু বলেন, ‘আসামিরা ধর্মীয় বিশ্বাস কাজে লাগিয়ে মানুষকে হয়রানি করছেন। একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আমরা বাদীর ন্যায্য পাওনা আদায়ে আইনি লড়াই লড়ে যাব।’
বরগুনার দারুস সুন্নাহ হজ কাফেলা এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে একজন ভুক্তভোগী আজ বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। এর আগে কয়েকজন ভুক্তভোগী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও অভিযোগ করেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মুবিন আজকের পত্রিকাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
দারুস সুন্নাহ হজ কাফেলা এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জাকারিয়া বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ওলামাগঞ্জ এলাকার মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে। বরগুনা পৌর শহরের আল-মিজান শপিং কমপ্লেক্স অ্যান্ড মসজিদ মার্কেটের দারুস সুন্নাহ হজ ও ওমরাহ এজেন্সি অফিসের পরিচালক তিনি। জাকারিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টে বাগেরহাটের আলাদা ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বরগুনা থেকে দারুস সুন্নাহ হজ ও ওমরাহ এজেন্সির পরিচালক মাওলানা জাকারিয়ার মাধ্যমে আগস্ট মাসে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান ৩২ জন। সেখানে তাঁদের হাতখরচের প্রায় ২৮ লাখ টাকা ও বিমানের ফিরতি টিকিট না দিয়ে পালিয়ে যান জাকারিয়া। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় ১৪ দিনের প্যাকেজে ওমরাহ পালন করতে যান তাঁরা। এর আগে সেখানে গিয়ে খরচের জন্য টাকা ভাঙিয়ে সৌদি রিয়াল দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন জাকারিয়া।
ভুক্তভোগী পাথরঘাটার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সৌদি আরব গিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ ও স্ত্রীর জন্য গয়না কিনতে ইসলামী ব্যাংক পাথরঘাটা এজেন্ট শাখা থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বরগুনা ইসলামী ব্যাংকে জাকারিয়ার অ্যাকাউন্টে পাঠাই। কথা থাকে, এ টাকার পরিবর্তে মক্কায় গিয়ে রিয়াল দেবেন তিনি। কিন্তু রিয়াল না দিয়ে জাকারিয়া বলেন, মদিনায় মালামালের দাম কম, সেখানে গিয়ে রিয়াল দেবেন। পরে মদিনায় গিয়ে রিয়াল চাইলে বলেন, ব্যাংকের ঝামেলার কারণে টাকা পাস হচ্ছে না, দেশে গিয়ে টাকা দিয়ে দেবেন।’
তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে কয়েক দফা তাগাদা দিই। পরে বরগুনার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তাঁদের কাছে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর টাকা পরিশোধ করার কথা বলেন। নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করে গত ৪ ডিসেম্বর পুনরায় টাকা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ওই তারিখেও টাকা পরিশোধ না করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন জাকারিয়া। এর আগে ওমরাহ থেকে দেশে আসার সময় বিমানের ফিরতি টিকিট নিশ্চিত না করে সবাইকে বিমানবন্দরে রেখে সটকে পড়েন দিন। তখন ৩২ জন নিজ খরচে টিকিট কেটে দেশে ফেরেন।’
একই অভিযোগ করেন বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান খোকা। তিনি বলেন, ‘রিয়াল দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেন। একই ভাবে সৌদি আরবে অবস্থানকালে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দেশে ফিরে টাকা দেওয়ার কথা বলেন।’
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার এছাহাক আলী, আবদুল খালেক, রহমত আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসলিমা বেগম, আলেয়া বেগম, শাহনাজ পারভীন ও নাসিমা বেগমের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা; বরগুনার বামনা উপজেলার বাসিন্দা সোবাহান মাস্টার, কবির, নজরুল, আজহার উদ্দিন মাস্টার, হালিমা বেগম, ফিরোজা বেগম ও নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে ৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা নিয়েছেন। তা ছাড়া বরগুনা সদর ও বেতাগীর সাতজনের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নেন এম এম জাকারিয়া।
ওই ৩২ যাত্রীর ফিরতি টিকিটের বিমান ভাড়া ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা এম এ জাকারিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান মনজু বলেন, ‘আসামিরা ধর্মীয় বিশ্বাস কাজে লাগিয়ে মানুষকে হয়রানি করছেন। একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আমরা বাদীর ন্যায্য পাওনা আদায়ে আইনি লড়াই লড়ে যাব।’
হাতিয়া উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চরের খাসজমিগুলো ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান ও বড়লোকদের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বুড়িরচর ইউপির সাবেক এক মেম্বার ও তমরদ্দি ইউপির...
৮ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফরিদগঞ্জ বাজারে নিজের মালিকানাধীন ঝর্ণা হাসপাতালে মারা যান।
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপির কার্যালয়ে হামলার মামলায় পৌরসভার সাবেক চার কাউন্সিলরসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শহীদুল ইসলাম...
৩২ মিনিট আগেঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের স্বশিক্ষিত শিল্পী কাজী মনিরুল ইসলাম ঝিনু ৬ বছর ধরে কাঠখোদাই করে গড়ে তুলেছিলেন নানা শিল্পকর্ম। যার মধ্যে ছিল হাঁস, পাখি, নৌকা, মুক্তিযোদ্ধা, বায়োস্কোপ ইত্যাদি। এ কাজগুলো এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌরসভার খোন্দকারপাড়ায় শিল্পীর বাড়িতে আগুন লেগে পুড়ে কয়লা হয়
৪২ মিনিট আগে