রুদ্র রুহান, বরগুনা
বরগুনা-১ আসনে (সদর-আমতলী-তালতলি) নৌকার বিপরীতে এবার প্রার্থী হয়েছেন তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা। টানা তিনবারসহ মোট পাঁচবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিপরীতে একই দলের এই তিন প্রার্থী প্রার্থী হওয়া এই তিন প্রার্থীকে নিয়ে এখন নির্বাচনী এলাকায় আগ্রহ ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। ২০০১ সালের মতো এই আসনে এবারও ভোটের মাঠে শম্ভুর লড়াইটা দলীয় প্রার্থীর বিপরীতেই হতে চলেছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতিকেরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্যমতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মো. জাহাঙ্গীর কবির (জাকের পার্টি) মো. শাহ মো. আবুল কালাম আজাদ, (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মাহবুবুর রহমান, (বাংলাদেশ পিপলস পার্টি) মো. মাসুদ কামাল (বিএনএম), গোলাম সরোয়ার টুকু, (স্বতন্ত্র), মো. খলিলুর রহমান (স্বতন্ত্র) গোলাম ছরোয়ার ফোরকান, মো. খলিলুর রহমান (জাতীয় পার্টি), মো. ইউনুস সোহাগ (তৃণমূল বিএনপি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)। তবে এই ১১ প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৭ জনের এলাকায় তেমন পরিচিতি নেই।
বরগুনা-১ আসন থেকে বিএনপি বা অন্য কোনো দলই ভোটের লড়াইয়ে জিততে পারেনি। এমনকি ১৯৮১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়েও বরগুনা-১ আসনে সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এই আসন থেকে এবারসহ মোট সাতবার মনোনয়ন পেয়েছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এর আগে ছয়বারের মধ্যে পাঁচবারই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত ধীরেন্দ্র দেনাথ শম্ভুর দখলে এ আসন। এবারই প্রথমবারের মতো শম্ভুর বিপরীতে তিন আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থী হয়েছেন।
তবে এবার ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই তিন আওয়ামী লীগ নেতাই দলের কাছে মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বরগুনা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান ও আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ছরোয়ার ফোরকান।
এই তিন নেতাই মনে করেন, দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। দলীয় নেতাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি অবশ্য ‘বৃহৎ দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা’ হিসেবেই দেখছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তবে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ, টানা তিনবারসহ মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েও এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন শম্ভু। মানুষের মানুষ পরিবর্তন চায় এবং সেই পরিবর্তনের প্রত্যাশা পূরণের চাপেই তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন।
শম্ভুর বিপরীতে প্রার্থী হওয়া গোলাম সরোয়ার টুকু বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বরগুনা সরকারি কলেজের ২ বার নির্বাচিত ভিপি, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘বরগুনা-১ সংসদীয় আসনের শতভাগ মানুষ পরিবর্তন চায়। বর্তমান সংসদ সদস্যর সীমাহীন ব্যর্থতায় মানুষ পরিবর্তন চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য এ বছর উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি এ সুযোগ নিয়েছি। আশা করি, ভোটের মাধ্যমে মানুষের পরিবর্তনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আরেক আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা। খলিলুর রহমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু গত ১৫ বছরে এলাকার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে মানুষ পরিবর্তন চায়। আমি এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য প্রার্থী হয়েছি। ভোট শান্তিপূর্ণ হলে আমি জয়লাভ করব।’
আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া অপর প্রার্থী মো. গোলাম ছরোয়ার ফোরকান আমতলী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি কেন্দ্র ঘোষিত আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। বিলুপ্ত বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলি) আসন থেকে ২০০১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ছেড়ে দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি প্রার্থী মতিউর রহমান তালুকদারের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জয়ের পেছনে আমতলী-তালতলীর মানুষ মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু তাঁরা এখন হতাশ এবং এবার পরিবর্তন চায়।’
দলীয় তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘আমি আজকে মনোনয়ন পাইনি, কালকে পাব, তাতে কি হইছে। এ জন্য স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে মূল দলকে ডিস্টার্ব করতে হইবে? ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছে, এতে দলের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এখানে দাঁড়ানোর উপযুক্ত হয়েছে, তাঁরা জনগণের কাছে বলবে আমি মনোনয়ন চাই, দোয়া করবেন। এর বাইরে কোনো কথা থাকতে পারে না। এর বাইরে যত কথা সবই দল বিরুদ্ধ।’
উন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে এমপি শম্ভু বলেন, ‘এটা একটা সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা। কোনটা কোনটা পিছিয়ে বলতে হবে। কিভাবে আমরা আওয়ামী লীগ এখানে পিছিয়ে আছি সেটা বলতে হবে। আমি বুঝলাম না কোথায় উন্নয়ন হয়নি, আসলে অনুন্নত আমরা মন মানসিকতায়’।
বরগুনা-১ আসনে (সদর-আমতলী-তালতলি) নৌকার বিপরীতে এবার প্রার্থী হয়েছেন তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা। টানা তিনবারসহ মোট পাঁচবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিপরীতে একই দলের এই তিন প্রার্থী প্রার্থী হওয়া এই তিন প্রার্থীকে নিয়ে এখন নির্বাচনী এলাকায় আগ্রহ ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। ২০০১ সালের মতো এই আসনে এবারও ভোটের মাঠে শম্ভুর লড়াইটা দলীয় প্রার্থীর বিপরীতেই হতে চলেছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতিকেরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার তথ্যমতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মো. জাহাঙ্গীর কবির (জাকের পার্টি) মো. শাহ মো. আবুল কালাম আজাদ, (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), মাহবুবুর রহমান, (বাংলাদেশ পিপলস পার্টি) মো. মাসুদ কামাল (বিএনএম), গোলাম সরোয়ার টুকু, (স্বতন্ত্র), মো. খলিলুর রহমান (স্বতন্ত্র) গোলাম ছরোয়ার ফোরকান, মো. খলিলুর রহমান (জাতীয় পার্টি), মো. ইউনুস সোহাগ (তৃণমূল বিএনপি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)। তবে এই ১১ প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৭ জনের এলাকায় তেমন পরিচিতি নেই।
বরগুনা-১ আসন থেকে বিএনপি বা অন্য কোনো দলই ভোটের লড়াইয়ে জিততে পারেনি। এমনকি ১৯৮১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়েও বরগুনা-১ আসনে সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এই আসন থেকে এবারসহ মোট সাতবার মনোনয়ন পেয়েছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এর আগে ছয়বারের মধ্যে পাঁচবারই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত ধীরেন্দ্র দেনাথ শম্ভুর দখলে এ আসন। এবারই প্রথমবারের মতো শম্ভুর বিপরীতে তিন আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থী হয়েছেন।
তবে এবার ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই তিন আওয়ামী লীগ নেতাই দলের কাছে মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বরগুনা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান ও আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ছরোয়ার ফোরকান।
এই তিন নেতাই মনে করেন, দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। দলীয় নেতাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি অবশ্য ‘বৃহৎ দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা’ হিসেবেই দেখছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তবে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ, টানা তিনবারসহ মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েও এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন শম্ভু। মানুষের মানুষ পরিবর্তন চায় এবং সেই পরিবর্তনের প্রত্যাশা পূরণের চাপেই তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন।
শম্ভুর বিপরীতে প্রার্থী হওয়া গোলাম সরোয়ার টুকু বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বরগুনা সরকারি কলেজের ২ বার নির্বাচিত ভিপি, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘বরগুনা-১ সংসদীয় আসনের শতভাগ মানুষ পরিবর্তন চায়। বর্তমান সংসদ সদস্যর সীমাহীন ব্যর্থতায় মানুষ পরিবর্তন চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য এ বছর উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি এ সুযোগ নিয়েছি। আশা করি, ভোটের মাধ্যমে মানুষের পরিবর্তনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আরেক আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা। খলিলুর রহমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু গত ১৫ বছরে এলাকার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে মানুষ পরিবর্তন চায়। আমি এলাকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য প্রার্থী হয়েছি। ভোট শান্তিপূর্ণ হলে আমি জয়লাভ করব।’
আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া অপর প্রার্থী মো. গোলাম ছরোয়ার ফোরকান আমতলী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি কেন্দ্র ঘোষিত আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। বিলুপ্ত বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলি) আসন থেকে ২০০১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ছেড়ে দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি প্রার্থী মতিউর রহমান তালুকদারের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জয়ের পেছনে আমতলী-তালতলীর মানুষ মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু তাঁরা এখন হতাশ এবং এবার পরিবর্তন চায়।’
দলীয় তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘আমি আজকে মনোনয়ন পাইনি, কালকে পাব, তাতে কি হইছে। এ জন্য স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে মূল দলকে ডিস্টার্ব করতে হইবে? ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছে, এতে দলের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এখানে দাঁড়ানোর উপযুক্ত হয়েছে, তাঁরা জনগণের কাছে বলবে আমি মনোনয়ন চাই, দোয়া করবেন। এর বাইরে কোনো কথা থাকতে পারে না। এর বাইরে যত কথা সবই দল বিরুদ্ধ।’
উন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে এমপি শম্ভু বলেন, ‘এটা একটা সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা। কোনটা কোনটা পিছিয়ে বলতে হবে। কিভাবে আমরা আওয়ামী লীগ এখানে পিছিয়ে আছি সেটা বলতে হবে। আমি বুঝলাম না কোথায় উন্নয়ন হয়নি, আসলে অনুন্নত আমরা মন মানসিকতায়’।
বাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
৯ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২৮ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে